বাড়তি ওজন কমানোর প্রমাণিত ৮ টি উপায়!

আপনি কি অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলতার অধিকারী? তাহলে আপনার জন্য রয়েছে অশনি সংকেত! এখনই সতর্ক হন এবং জেনে নিন স্থুলতা এবং অতিরিক্ত ওজন আপনাকে কিভাবে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। আর নিজেকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

                                                “সু-স্বাস্থ্যই আপনার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ,

                                                          এবং আপনার সুখের প্রধান কারণ।”

সাধারণত সু-স্বাস্থ্য বলতে হালকা গড়ণের একটি রোগহীন স্বাস্থ্যের প্রতিচ্ছবি ধরা হয়। কিন্তু আমরা সচরাচর যে ভুল করি তা হল সু-স্বাস্থ্য বলতে আমরা একটি মোটা বা স্থুলকায় স্বাস্থ্য কে বুঝি। আদতে স্থুলকায় স্বাস্থ্য কোনো সু-স্বাস্থ্য নয় বরং এটি একটি অসুস্থতা।

স্থুলকায় স্বাস্থ্য বা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য জটিলতা বর্তমানে একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এই রোগীর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে -

  • গত ৪৫ বছরে বিশ্ব জুড়ে স্থুলকায় মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ গুণ।

  • ২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায় বিশ্বে প্রায় ২০০ কোটি প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষ অতিরিক্ত স্বাস্থ্যের অধিকারী। যাদের মধ্যে ৬৫ কোটি মানুষ স্থুলতার শিকার।

  • ২০১৬ সালে, ১৮ বছর এবং তার চেয়ে বেশি বয়সী  প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ৩৯ জনের ওজন বেশি ছিল এবং শতকরা ১৩ জন ছিল স্থুলকায়।

  • বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ বাস করে এমন দেশগুলিতে কম ওজনের কারণে মৃত্যু হওয়ার থেকে অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতার জন্য মানুষ বেশি মারা যায়।

  • ২০১৬ সালের ঐ গবেষণায় দেখা যায় বিশ্ব জুড়ে ৩৪ কোটি শিশু-কিশোর যাদের বয়স ৫-১৯ বছর; এরা অতি ওজন এবং স্থুলতার শিকার।

  • ২০১৯ সালে, ৫ বছরের কম বয়সী  ৩ কোটি ৮০ লক্ষ বাচ্চার ওজন বেশি বা স্থুলকায় ছিল।

  • স্থুলতার কারণে ক্যান্সার এর মত নানা রকম জটিল রোগ হয়।

  • স্থুলতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

স্থুলতা এবং অতিরিক্ত ওজন কী?

অতিরিক্ত স্বাস্থ্য বা স্থুলকায় স্বাস্থ্য হল এমন একটি স্বাস্থ্য যা আপনার শরীরের সঞ্চিত  অতিরিক্ত চর্বি এবং আপনার সু-স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আপনার বয়স এবং শরীরের উচ্চতার ভিত্তিতে আপনার শরীরের আদর্শ যে ওজন হওয়ার কথা তার থেকে বেশি হলে সেটি অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলকায় স্বাস্থ্য।

বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ওজন ও উচ্চতার জন্য একটি সাধারণ সূচক যা সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতার প্রকারভেদ করতে ব্যবহৃত হয়। 

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতা নিম্নলিখিত হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে-

  • কম ওজন - যাদের বিএমআই ১৮.৫ এর কম

  • স্বাভাবিক ওজন - যাদের বিএমআই ১৮.৫ থেকে ২৪.৯ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ

  • অতিরিক্ত ওজন - যাদের বিএমআই ২৫ এর চেয়ে বেশি বা সমান (২৫-২৯.৯)

  • স্থুলতা - যাদের বিএমআই ৩০ এর চেয়ে বেশি বা সমান (>=৩০)

  • রোগ গ্রস্থ বা চূড়ান্ত পর্যায়ের স্থুলতা - যাদের বিএমআই ৪০ বা তার বেশি (>=৪০)

অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতা নির্ণয়ের জন্য বিএমআই (BMI) সবচেয়ে দরকারী পরিমাপ সরবরাহ করে কারণ এটি উভয় লিঙ্গের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে একই। তবে এটিকে মোটামুটি গাইড হিসাবে বিবেচনা করা উচিত কারণ এটি বিভিন্ন ব্যক্তির ফ্যাট বা চর্বির সাথে সামঞ্জস্য নয়।

শিশু এবং কিশোরদের ক্ষেত্রে 

  • আপনার শিশু বা কিশোরীর বিএমআই জানতে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহকারীকে জিজ্ঞাসা করুন।

  • শিশু এবং কিশোরদের জন্য বিএমআই বড়দের তুলনায় আলাদাভাবে গণনা করা হয়। এর কারণ শিশুরা এখনও বেড়ে চলেছে এবং ছেলে ও মেয়েরা বিভিন্ন হারে পরিপক্ব হয়। শিশু বা কিশোরের উচ্চতা এবং ওজনকে তাদের বাড়ন্ত চার্টগুলির সাথে তুলনা করা হয় যা বয়স এবং লিংগকে বিবেচনা করা হয়। 

  • ৮৫ তম থেকে ৯৫ তম এর কম পার্সেন্টাইলকে অতিরিক্ত ওজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়

  • ৯৫ তম পারসেন্টাইল বা তার চেয়ে বেশিকে স্থুলতা বলে মনে করা হয়

বিএমাই নির্ণয় করবেন যেভাবে

এ পদ্ধতিতে আপনার শরীরের ওজন এবং আপনার শরীরের উচ্চতা জানতে হবে। শরীরের ওজনকে (কেজি) শরীরের উচ্চতার (মিটার) বর্গ দিয়ে ভাগ করলে আদর্শ ওজন এর হিসেব পাওয়া যায়। একে কেজি / মিটার২ দ্বারা প্রকাশ করা হয়। 

                                         বিএমআই = ওজন / (উচ্চতা)২

একটি উদাহরণ দিলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে।  মনে করি কোন ব্যক্তির শরীরের ওজন ৬০ কেজি এবং উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (৫’৬”)। তাহলে আগে উচ্চতাকে ইঞ্চিতে নিতে হবে। তারপর ইঞ্চিকে সেঃমিঃ এবং সেঃমিঃ কে মিটারে পরিণত করতে হবে।

 অর্থাৎ, ৫’৬’’ = (৫*১২)’’+৬’’ = ৬৬’’ (ইঞ্চি)

এবং, ৬৬’’ = ( ৬৬ * ২.৫৪ ) সেঃমি = ১৬৭.৬৪ সেঃমি = ( ১৬৭.৬৪/১০০ ) মিঃ = ১.৬৭৬৪ মিঃ

সুতরাং, বিএমআই  = ৬০/(১.৬৭৬৪)২ = ২১.৩৫ কেজি / মিটার২

অর্থাৎ ব্যক্তিটির ওজন স্বাভাবিক রয়েছে। 

অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতা সম্পর্কিত কিছু তথ্য 

একসময় অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতা উচ্চ-আয়ের দেশের সমস্যা হিসাবে বিবেচিত ছিল, কিন্তু এখন তা নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে , বিশেষত শহুরে এলাকায়। আফ্রিকাতে, ২০০০ সাল থেকে ৫ বছরের কম বয়সী অতিরিক্ত ওজনের বাচ্চাদের সংখ্যা প্রায় ২৪% শতাংশ বেড়েছে। ২০১৯ সালে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের যাদের অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতা রয়েছে তাদের প্রায় অর্ধেকই এশিয়ায় বাস করত।

৫-১৯ বছর বয়সী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতার প্রবণতা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে, যেখানে ১৯৭৫ সালে মাত্র ৪% থেকে বেড়ে ২০১৬ সালে হয়েছে ১৮%। এবং এই বৃদ্ধিটি ছেলে ও মেয়ে উভয়ের মধ্যে একইভাবে বৃদ্ধি ঘটেছিল।

১৯৭৫ সালে ৫-১৯ বছর বয়সী শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মাত্র ১% এর চেয়ে কম স্থুল ছিল, যেখানে ২০১৬ সালে প্রায় ১২.৫ কোটি শিশু ও কিশোর-কিশোরী (৬% মেয়ে এবং ৮% ছেলে) স্থুল ছিল।

বিশ্বব্যাপী কম ওজনের কারণে মৃত্যুর চেয়েও অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতার কারণে বেশি মৃত্যু হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী কম ওজনের লোকের চেয়ে স্থুলকায় বেশি লোক রয়েছে, তবে এটি সাহারা আফ্রিকা এবং এশিয়ার অংশগুলি বাদে প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে ঘটে। 

স্থুলতা এবং অতিরিক্ত ওজনের কারণ কী? 

অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলকায় স্বাস্থ্যের মূল কারণ হল শরীরে ক্যালরি অর্জন এবং ব্যয় এর মধ্যকার অসামঞ্জস্যতা। যদি শরীরে ক্যালরি ব্যয় এর চেয়ে অর্জন বেশি হয় তবে শরীরে ওজন বাড়ে। এছাড়া আরও যে সব উল্লেখযোগ্য কারণে স্বাস্থ্য অস্বাভাবিক রুপে মোটা হয় তা হল -

  • প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার খেলে স্বাস্থ্যে ওজনাধিক্য হয়। আপনার শরীরে যতটুকু ক্যালরি দরকার এবং যতটুকু ক্যালরি প্রতিদিন ব্যয় হয় তার হিসেবে খাওয়া উচিত। যত ক্যালরি ব্যয় হয় তার থেকে বেশি খেলে শরীরে ক্যালরি চর্বি হিসেবে জমা হয়।

  • ওজন বাড়ার পেছনে বড় ভূমিকা রয়েছে প্রক্রিয়াজাত খাবার, পরিশোধিত শস্যের মধ্যে। গবেষকরা বলেন, শুধু মাত্র ফ্রেঞ্চ ফ্রাই (আলু ভাজা)  খাওয়ার কারণে প্রতি চার বছরে দেড় কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়তে পারে।   

  • উচ্চ ফ্যাট ও চিনি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার কারণে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়। যা একসময় স্থুলতায় পরিণত হয়।

  • জেনেটিক বা বংশগত কারণে শিশুরা মোটা হয়। বাবা-মা স্থুলকায় হলে তাদের সন্তানদের স্থুলকায় হবার সম্ভাবনা প্রায় ৮০%।  

  • নগরায়ন এর প্রভাবে মানুষের জীবন যাত্রায় ব্যাপক মাত্রায় পরিবর্তন চলে আসছে। যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মানুষের শারীরিক পরিশ্রম করার প্রবণতা কমে গেছে। এতে মানুষের জীবনে আলস্য চলে আসছে। মানুষ ধীরে ধীরে স্থুলকায় হয়ে যাচ্ছে।

  • বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবনে মানুষের শরীরের ওজন বাড়ে। যেমন- বাত,থাইরয়েড সমস্যা, জন্ম বিরতিকরন পিল খেলে মানুষ আস্তে আস্তে মোটা হয়ে যায়।

  • ডিপ্রেশন বা অতিরিক্ত উদ্বেগ এর কারণেও ওজন বাড়তে পারে।

  • কোমল পানীয়, অ্যালকোহল গ্রহণ করলে ওজন বাড়ে। এসব পানীয়র মধ্যে প্রচুর চিনির দ্রবন থাকে। যা ওজন বাড়ায়।

  • থাইরয়েড ফাংশন, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম এর মত রোগে শরীরের ওজন বাড়ে।

  • সু-স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা না থাকায় মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষার অতি প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে পারে না। এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ন বিষয়।

অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতার ক্ষতিকর প্রভাব 

আমাদের স্বাস্থ্য যদি স্থুলতার শিকার হয় তবে নানা রকম রোগ বালাই বাসা বাধে শরীরে। স্থুলতা থেকে যে সব মারাত্মক রোগ সৃষ্টি হয় তা হল-

  • টাইপ-২ ডায়াবেটিস

  • উচ্চ রক্তচাপ

  • স্ট্রোক

  • করোনারি আর্টারি ডিজিজ (হৃদরোগ)

  • পালমুনারি ইনসাফিসিয়েনসি (ফুসফুস জনিত রোগ)

  • আর্থাইটিস বা বাত রোগ

স্থুলকায় নারীদের রয়েছে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি। স্থুলতার কারণে নারীদের নানান জটিল রোগ হয়। এসব রোগের মধ্যে রয়েছে -

  • মাসিক অনিয়মিত ও বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হওয়া

  • প্রজনন সমস্যা

  • ব্রেস্ট ক্যানসার

  • জরায়ু ক্যানসার

  • পিত্তথলির ক্যানসার

  • অন্ত্র ও ডিম্বাশ্বয়ের ক্যানসার

কীভাবে অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতা হ্রাস করা যায়?

আমাদের নিজেদের সু-স্বাস্থ্যের জন্য স্থুলতা প্রতিরোধ করা একান্ত জরুরী। স্থুলতা প্রতিরোধ বা ওজন কমানোর জন্য প্রথমে ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য তালিকা করে সেটা মানতে হবে। তাছাড়া আরও যা যা করা যেতে পারে স্থুলতা কমানোর জন্য তা হল -

  • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে ( দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাস )।

  • পরিমিত ভাত খেতে হবে। বেশি বেশি শাক সবজি খেতে হবে। কিছু কিছু তাজা ফল খেতে হবে প্রতিদিন।

  • বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্ত মানুষের দৈনিক ২০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করা উচিৎ। তবে তার ৩০% এর ও কম চর্বি যুক্ত খাবার থেকে আসা উচিৎ।

  • ক্যালরি হিসেব করে খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন কি পরিমান ক্যালরি শরীরে ব্যয় হয় সে হিসেব করে খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হলে ওজন বাড়ে।  

  • প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। কমপক্ষে ৩০ মিনিট একটানা হাঁটার অভ্যাস করা জরুরী।

  • নিয়মিত আঁশ যুক্ত খাবার খেতে হবে। আঁশ যুক্ত খাবার খেলে খাবার দীর্ঘ সময় পেটে থাকে। এতে করে ক্ষুধা কম লাগে, খাওয়া কম হয়। ওজনও বাড়ে কম।

  • সব ধরণের কোমল পানীয় এবং চিনি জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

  • চর্বি জাতীয় ও চকলেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

 

পরিশেষে, আপনার বিএমআই ফলাফল যদি এমন হয় যে আপনি অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী তবে আর দেরি নয়। এখনই সচেতন হতে হবে। নিজেকে স্থুলতা থেকে মুক্ত রাখার জন্য এখনই চেষ্টা করতে হবে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর কাছে যেতে হবে পরামর্শের জন্য। প্রয়োজনে যেতে হবে বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের কাছে। মনে রাখতে হবে, শুধু স্বাস্থ্যবান হলে চলবে না, সু-স্বাস্থ্যবান হতে হবে। সু-স্বাস্থ্যই সম্পদ।

 

Default user image

খন্দকার মোঃ শওকত হোসেন, লেখক, আস্থা লাইফ

বরিশাল এর নিভৃত ও মনোরম একটি গ্রামে জন্ম। সাহিত্য অনুরাগী মা-বাবার কাছেই লেখালেখির হাতেখড়ি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করলেও লেখালেখির দিকেই ঝোঁকটা বেশি। তাই অবসরে লেখালেখির চেষ্টা করি। লেখনীর মাধ্যমে যদি কারো উপকার করা যায় কিংবা কোন পরিবর্তনের সূচনা করা যায়, তাহলে তৃপ্তিটা আসে মন থেকে। এই উদ্দেশেই আস্থা লাইফ পরিবারে যোগ দেয়া। আমার লেখার মাধ্যমে কারো মধ্যে কিঞ্চিৎ সচেনতাও যদি সৃষ্টি করতে পারি, সেইটাই হবে পরম পাওয়া।

Related Articles