করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন

কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলতে আমরা কি বুঝি? কেন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বিষয়টি দুশ্চিন্তার? আউটব্রেক, এপিডেমিক এবং প্যানডেমিকের পার্থক্য কি? বাংলাদেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বর্তমান চিত্র কী?

গত বছরের শেষ দিকে চীনের উহান প্রদেশে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হওয়া সারস-কোভ-২ (SARS-COV-2) ভাইরাসটি এবং এর দ্বারা সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ (COVID-19) এর মহামারিকে সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বৈশ্বিক মহামারি বা প্যানডেমিক হিসেবে ঘোষণা করেছে। প্যানডেমিক কথাটি যতটা না রোগের ভয়াবহতা প্রকাশ করে তার চেয়ে বেশি প্রকাশ করে রোগটি কত দ্রুততার সাথে ছড়াবে। উদাহরণস্বরূপ স্মরণ করা যেতে পারে যে  এইচ১এন১ (H1N1) ফ্লু বা সোয়াইন ফ্লু এর মত রোগও প্যানডেমিক হিসেবে ঘোষিত হয়েছিল ২০০৯ সালে। বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় অনেক দেশেই কোভিড-১৯ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (Community Transmission) এর পর্যায়ে চলে গেছে। 

 

কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কি?

কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হলো একটি মহামারির সেই পর্যায় যখন একজন আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে রোগটি কোন উৎস থেকে ছড়িয়েছে সেটা সবার অজানা থাকে। একজন মানুষ না জেনেই কর্মক্ষেত্র অথবা অন্য কোন জায়গা থেকে আক্রান্ত হতে পারে। অথবা এমন কোন মানুষের কাছ থেকে আক্রান্ত হতে পারে যিনি হয়তো জানেনই না তার রোগটি আছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হওয়ার আগে কোন ব্যক্তি যদি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয় তাহলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে তিনি এমন দেশে ভ্রমণ করে এসেছেন যেখানে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। অথবা এমন কোন ব্যক্তির সাহচর্যে এসেছেন যিনি এই ভাইরাসটি বহন করছেন। কিন্তু যখন একটি বিরাট সংখ্যক মানুষের রোগের উৎস অজানা থাকে তখনই তাকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বলা হয়।


 

কেন কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বিষয়টি দুশ্চিন্তার? 

যখনই কোন ব্যক্তি করোনা ভাইরাস পজেটিভ হন তখনই তার সংস্পর্শে আসা সমস্ত মানুষকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। প্রয়োজনে প্রত্যেক ব্যক্তিকে আইসোলেশন বা পৃথক করা হয় যেন পরবর্তীতে রোগটি আরো ছড়িয়ে না পরে। এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় কন্টাক্ট ট্রেসিং (Contact Tracing)। কিন্তু কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে কন্টাক্ট ট্রেসিং ব্যপারটি ব্যপক ভাবে করার সুযোগ থাকেনা। যেহেতু রোগের মূল উৎস থাকে অজানা। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সকল মানুষের মধ্যে রোগটি ছড়িয়ে পরার আশংকা থাকে। তারা আবার ব্যাপকভাবে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের উৎস হতে পারে। এদেরকে আইসোলেশন বা পৃথক করার কোন সুযোগ থাকেনা।

 

আমরা কি রোগের নীরব বিস্ফোরণের অপেক্ষায় আছি? 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদিও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এপর্যন্ত বাংলাদেশের কম কিন্তু দ্রুতই এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে। এবং এ পরিবর্তন নীরবে ঘটতে পারে কারণ টেস্ট করা হচ্ছে খুবই কমসংখ্যক রোগীর। রোগীর প্রকৃত সংখ্যা তাই জানা অসম্ভব হয়ে পড়বে। দেশে কোভিড -১৯ আক্রান্ত প্রথম তিন জন রোগী সনাক্ত হয় মার্চের ৮ তারিখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন রোগীর পরিপূর্ণ বিস্ফোরণ খুব দূরে নয় কাছেই। এখনই রোগ নিয়ন্ত্রণের পরিপূর্ণ ব্যবস্থা না নেয়া হলে পুরো স্বাস্থ্যখাত ভেঙে পড়তে পারে। রাজধানীতে আক্রান্ত একজন রোগী কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের শিকার বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে ইতোমধ্যে অনেক লোক এ রোগের ভাইরাস বহন করছে। যা আরো বড় আকারে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটাবে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে অনেক রোগী রোগের কোন রকম লক্ষণ প্রকাশ না করেই ভাইরাস বহন করতে পারে এবং তা ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। যেটা আরো বড় রকমের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের কারণ হতে পারে।

 

কোভিড - ১৯ ভাইরাসটি চারটি ধাপে ছড়াতে পারে

ধাপ ১ঃ ইম্পোর্টেড কেসেস

যখন কোন ব্যক্তি রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে এমন কোন দেশ থেকে ভ্রমণ করে আসে। এবং সেসব ব্যক্তিরাই কেবল শ্বসনতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছে এবং টেস্ট পজেটিভ দেখাচ্ছে। এই ধাপে রোগটি স্হানীয়ভাবে ছড়িয়ে পরেনা।

ধাপ ২ঃ স্থানীয় সংক্রমণ

এই ধাপে রোগটি মৃদু আকারে স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পরে। কিন্তু এর উৎস সম্পর্কে জানা যায়। সংক্রমিত কোন দেশ থেকে ভ্রমণ করে আসা টেস্ট পজেটিভ রোগীর সাহচর্যে এধরণের সংক্রমণ ঘটেছে বলে নির্ধারণ করা যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ধাপে সংক্রমণ ছড়ায় ভাইরাস বহন করছে এমন কোন পরিবারের সদস্যের মাধ্যমে। এ ধাপে কন্টাক্ট ট্রেসিং সম্ভব এবং পরবর্তীতে সেল্ফ কোয়ারেন্টিনের মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে পরা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

ধাপ ৩ঃ কমিউনিটি ট্রান্সমিশন

এ ধাপে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে পরে। সংক্রমিত কোন দেশ থেকে ভ্রমন করে আসেনি কিংবা এমন কোন ব্যাক্তির সাহচর্যে আসেনি এমন ব্যাক্তির ক্ষেত্রেও টেস্ট পজেটিভ আসে। কন্টাক্ট ট্রেসিং সম্ভব হয়না এবং রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রোগটি মহামারী আকার ধারণ করতে চলেছে তা সহজেই অনুমান করা যায়।

ধাপ ৪ঃ এপিডেমিক

এই ধাপটি রোগের সর্বোচ্চ বিপজনক পর্যায়। রোগের প্রাদূর্ভাব দ্রুত ছড়িয়ে পরে। নিয়ন্ত্রণের সম্ভাবনা থাকেনা এবং ব্যাপক প্রাণহানী হয়।

 

কোভিড- ১৯ঃ আউটব্রেক, এপিডেমিক এবং প্যানডেমিকের পার্থক্য কি?

আউটব্রেক

যখন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কোন রোগ শুরু হয়। যেমন কোভিড -১৯ ভাইরাসটি যখন চীনের উহানে শুরু হয়েছিল।

এপিডেমিক

যখন একটি এলাকায় ব্যাপকভাবে রোগটির প্রাদূর্ভাব শুরু হয় এবং আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে।

প্যান্ডেমিক

যখন সেই রোগটি ওই নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশে ছড়িয়ে পরে।

 

বিশ্বব্যাপী কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের অবস্থা কি?

চীনে উৎপত্তির পর থেকে করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে আমরা ইরান, সাউথ কোরিয়া, ইতালি, স্পেন এবং এখন যুক্তরাষ্ট্রের কথা শুনছি। এছাড়াও ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং অন্য মহাদেশ গুলোতেও বিভিন্ন মাত্রায় কমিউনিটি সংক্রমণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত ভাইরোলজিস্ট ডেভিড হোর মূল্যায়ন আমরা শুনে নিতে পারি, যিনি ১৯৯৬ সালের এইডস মহামারীর বিরুদ্ধে কাজের জন্য টাইম ম্যাগাজিনের 'পার্সন অব দ্য ইয়ার' নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি উদাহরণস্বরূপ নিউইয়র্ক শহরের কথা বলেন যেটা আমেরিকায় কমিউনিটি সংক্রমনের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রস্থল হিসেবে এখন বিবেচিত হচ্ছে। নিউইয়র্ক শহরে মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে, এবং মার্চের২০ তারিখের দিকে দেখা যায় প্রতি দুই থেকে তিন দিনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তিনগুণ হয়ে যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ নিউইয়র্ক প্রেসবিটারিয়ান হাসপাতালের কথা যদি বলা হয়, এ সময় দেখা যায় সেখানে যত করোনা পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যেই ২৫ শতাংশই করোনা পজিটিভ আসছে। নিউইয়র্ক এর শহরতলী এলাকায় দেখা যায় সকল পরীক্ষার মধ্যে ১০ শতাংশ পজিটিভ হারে আসছে। এর মানে হলো নিউইয়র্ক এ ব্যাপকভাবে কমিউনিটি সংক্রমণ হচ্ছে এবং ভাইরাস সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে।

 

কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের প্রথম উদাহরণ চীনের হুবেই প্রদেশ কেমন আছে?

ধারণা করা হয় বিশ্বে বর্তমানে আলোচিত নভেল করোনাভাইরাস প্রথম কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের শুরু করে চীনের হুবেই প্রদেশে,২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের দিকে। চীনের মাঝে অবস্থিত এই প্রদেশের উহান শহর ছিল ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল এবং এই কারণে এই প্রদেশটি চীনের সকল করোনা কেসের ৮০ শতাংশেরও বেশির জন্য দায়ী ছিল। ৫ কোটি মানুষের পুরো প্রদেশটির শাটডাউন, ব্যাপকভাবে টেস্টিং এবং আক্রান্তদের শনাক্ত এবং কোয়ারান্টিন করার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এখানে মহামারীর পিক দেখা যায় যখন দিনে প্রায় ৪০০০ করে রোগী শনাক্ত হচ্ছিল। বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সেটা মার্চের শেষের দিকে কমে আসে। এখন প্রশ্ন হল চীন যে ভয়াবহ কঠিন পদক্ষেপগুলো নিয়েছিল এবং জনগণ সেটা সম্পূর্ণরূপে মেনে নিয়েছিল সেটা কি বাকি বিশ্বে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে? চিনে এখন শঙ্কা হল যদিও তারা হুবেই প্রদেশের কড়াকড়ি আস্তে আস্তে শিথিল করছে, কিন্তু এখন গোটা বিশ্বে এই ভাইরাসটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় বাইরে থেকে মহামারির একটা দ্বিতীয় ধাক্কা চীনে আবার আসবে কিনা!

 

কমিউনিটি সংক্রমণ রোধে টেস্ট এর ভূমিকা কি?

যেকোনো প্যানডেমিক এর কমিউনিটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য টেস্টিং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হয়। একমাত্র টেস্টিং এর মাধ্যমেই কোন এলাকায় কমিউনিটি সংক্রমণ কি পর্যায়ে আছে তা বোঝা সম্ভব। কোভিড-১৯ টেস্ট করার জন্য গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে PCR (polymerase chain reaction) টেস্টের কথা বলা হয় যেখানে নাক এবং গলার গভীর থেকে swab নমুনা সংগ্রহ করে ভাইরাল আরএনএ সনাক্ত করা হয়। এই টেস্টের সীমাবদ্ধতা হলো এই সংক্রান্ত যন্ত্রগুলো খুবই ব্যয়বহুল এবং টেস্টের রেজাল্ট পেতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় লাগে, যা অনেক ক্ষেত্রে এক থেকে তিন দিন পর্যন্ত গড়াতে পারে। তাই এখন অনেক দেশ মনোযোগ দিচ্ছে পয়েন্ট অফ কেয়ার (POC) টেস্টের প্রতি যার মাধ্যমে অনেক কম সময়ে রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব, যদিও এই টেস্টগুলোর সেনসিটিভিটি বা নির্ভুলতা PCR টেস্টের সমতুল্য নয়। এর মধ্যে শোনা যাচ্ছে এন্টিবডি টেস্টের কথা যার মাধ্যমে বোঝা যাবে কারো ইতিপূর্বেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কিনা, বা কোন ব্যক্তি নতুন ভাইরাসটার বিরুদ্ধে রোগের কোনো লক্ষণ না দেখিয়েও প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে কিনা। POC অনেক ক্ষেত্রে কিছুটা প্রেগনেন্সি টেস্টের মতো, যা একটা টেস্ট কিট এ এক ফোঁটা রক্ত ঢেলে ১৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে এন্টিবডি রেসপন্স সনাক্ত করে। এই সংক্ষিপ্ত টেস্টগুলো গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড PCR টেস্টের সাথে তুলনীয় করার জন্য নিরন্তর গবেষণা চলছে।

 

বাংলাদেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বর্তমান চিত্র

কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা হল, টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট। অর্থাৎ যত বেশি সংখ্যক রোগীর কোভিড- ১৯ পজেটিভ কিনা তা পরীক্ষা করা হবে ততই তাদের আইসোলেশন সম্ভব হবে। এটাই রোগের প্রাদূর্ভাব নিয়ন্ত্রণের উপায়। বাংলাদেশে ৭ এপ্রিল, ২০২০ পর্যন্ত টেস্টের সংখ্যা ৪,২৮৯। আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৪ এবং মৃতের সংখ্যা ১৭। বিগত চব্বিশ ঘন্টায় টেস্ট করা হয়েছে ৬৭৯ জন রোগীর। হেলথ্ সার্ভিস ডিরেক্টর জনাব হাবিবুর বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার সনাক্ত হওয়া ত্রিশোর্ধ্ব এবং সত্তরোর্র্ধ নতুন দুজন রোগীর সংক্রমণের উৎস জানা যায়নি। তার মানে বাংলাদেশে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটছে। এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না হলে রোগের ব্যপকতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ইতোমধ্যে প্রতিদিন ১০০০ টেস্টের নির্দেশনা এসেছে। ১৬ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে যদিও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবু টেস্টের সঠিক ফলাফল জানা গেলে হয়ত কমিউনিটি ট্রান্সমিশন কী আকারে ঘটছে সেটা কিছুটা অনুমান করা সম্ভব হবে।


এমতাবস্থায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্য সেবাকর্মীদের যথাযথ ও যৌক্তিকভাবে পিপিই ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেছে।। সেই সাথে যথেষ্ট পরিমাণে পিপিই ও চিকিৎস সামগ্রী মজুদ, স্বাস্থ্য সেবাকর্মীদের প্রশিক্ষণ, ঘনঘন ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া, আশেপাশের পরিবেশ জীবাণুমুক্তকরণ, সামাজীক দূরত্ব বজায় রাখা, শ্বাসকষ্ট জ্বর ইত্যাদি করোনা লক্ষণজনিত রোগীদের সাথে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি সম্পর্কে সতর্ক হতে আহ্বান জানিয়েছে।

Default user image

প্রকৃতি চক্রবর্ত্তী, লেখক, আস্থা লাইফ

পেশাগত ভাবে একজন ফার্মাসিস্ট এবং মনোজগতে একজন স্বপ্নচারী।ফার্মেসীর উপর স্নাতকোত্তর করার পর পাঁচ বছরেরও বেশী সময় ধরে কাজ করছেন দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য ঔষধ শিল্প প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট বিভাগে।পাশাপাশি ভালবাসেন বই পড়তে ও লিখতে।প্রবলভাবে বিশ্বাস করেন একদিন সব অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের বেড়াজাল ভেঙে সুশিক্ষার আলো আসবেই।স্বপ্ন দেখেন বিশ্বপর্যটক হবার আর মানুষের জন্য কিছু করার।

Related Articles