জীবাণুনাশক সাবান আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তো!

আমাদের অনেকের ভিতরই এমন একটি ভাবনা আছে যে, সাধারণ সাবানের চাইতে জীবাণু নাশক সাবানই যেন বেশি ভালো। যদি ব্যাক্টেরিয়া-ভাইরাসের জগৎ টা আপনার কাছে এখনো বেশ অস্পষ্ট লাগে (ধরে নিচ্ছি বেশিরভাগেরই তাই) এবং সঠিক তথ্য ও করণীয় জানতে আগ্রহী হন তবে লেখাটি আপনারই জন্য। এটি পড়ার পর আপনার জীবাণু সম্পর্কিত ধারণাই বদলে যাবে। তবে জানুন জীবাণু সম্পর্কিত আমাদের ভুল ধারণা গুলো।

মেরে ফেলুন ৯৯.৯৯% জীবাণু, মাত্র ১০ সেকেন্ডে! বুঝতেই পারছেন, বলছি সাবানের বিজ্ঞাপনের কথা। আমাদের দেশে দশটা সাবানের বড় কোম্পানী থাকলে তার অর্ধেকটা হলো এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান এবং সবগুলোই ৯৯.৯৯% জীবাণু মেরে ফেলার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। ব্যাপারটা রহস্য জনক নয় কি? সব সাবান একই রকম কার্যকরী কেন? আর বাকী ০.০০১% জীবাণু মরে না কেন! সে প্রশ্নের উত্তর এই লেখা পড়তে পড়তে পেয়ে যাবেন। মূলত ব্যাক্টেরিয়া সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতাকে পুঁজি এসব সাবানের কোম্পানী গুলো ব্যাবসা করে নিচ্ছে। এটিকে শুধু লোক ঠকানোই নয়, জন স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর মারাত্মক ঝুঁকি ডেকে আনছে।

এসব বিজ্ঞাপন তো আমরা অনেক আগে থেকেই দেখে আসছি। তারা এমন একটা ইমেজ তৈরি করেছে যেন ব্যাক্টেরিয়া আমাদের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকর জীব, এবং সুস্থ থাকার জন্য সবগুলো ব্যাক্টেরিয়া (৯৯.৯৯%) মেরে ফেলা আমাদের অবশ্য কর্তব্য। তাদের বিজ্ঞাপনের মত আমাকেও তাহলে বলতে হচ্ছে তাদের তৈরি ধারণা গুলো ৯৯.৯৯% ভুল। কেন বলছি? আগে অনুবীক্ষণিক জীব সম্পর্কে একটি সম্মুখ ধারণা দেওয়া প্রয়োজন।

আমাদের জীবনে ব্যাক্টেরিয়া

আমরা সবসময় শুনে আসি ব্যাক্টেরিয়া অণুবীক্ষণিক জীব। কিন্তু কতটা অনুবীক্ষনিক সেটা অধিকাংশ মানুষ ধারণাই করতে পারেন না। শীতকালে জানালা দিয়ে ঢোকা রোদে যে ধুলোর কণা দেখতে পাওয়া যায়, সেই একটি কণার ভেতরে শত শত ব্যাক্টেরিয়া থাকতে পারে। পৃথিবীর ভূ-ভাগের প্রায় প্রতিটি বস্তুতেই ব্যাক্টেরিয়ার বসবাস একমাত্র তা যদি ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধী, বা ব্যাক্টেরিয়া অবাসযোগ্য না হয়। আমরাও এর ব্যতিক্রম নই। কল্পনা এবং বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হতে পারে  যে, আমাদের শরীরে যতগুলো কোষ আছে তার চেয়ে বেশি ব্যাক্টেরিয়া আমাদের শরীরে বসবাস করে। গড়ে কোষের সংখ্যা হলো ১X১০^১৩ আর ব্যাক্টেরিয়া থাকে ১X১০^১৪ সংখ্যক। কোথায় নেই ব্যাক্টেরিয়া, আমাদের ত্বকে, মুখে, পাকস্থলিতে, কোষে, অন্ত্রে, মুত্রথলীতে, এমনকি কিছু ব্যাক্টেরিয়া আমাদের মস্তিষ্কেও বসবাস করতে পারে। ব্যাক্টেরিয়া যদি এত ক্ষতিকরই হয়ে থাকে তবে আমরা মরে যাচ্ছি না কেন?

আমাদের দেহে ব্যাক্টেরিয়ার ভূমিকা

আমাদের দেহে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন (২০-৪০) ব্যাক্টেরিয়া থাকার পরও আমরা মারা যাচ্ছি না। কারণটা হলো এসব ব্যাক্টেরিয়া আমাদের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর না বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকারী। প্রকৃতিতে পাওয়া ব্যাক্টেরিয়ার অধিকাংশই হলো অক্ষতিকর। আমাদের শরীরেও তাই। এদেরকে মূলত ন্যাচারাল ফ্লোরা বলা হয়। এসব ব্যাক্টেরিয়া আমাদের শরীরের নিসৃত তেল, মৃত চামড়া ইত্যাদি থেকে পুষ্টি আহরণ করে থাকে। আর উপকারের কথা যদি বলি, 

  • ন্যাচারাল ফ্লোরা আমাদের শরীরে ভিটামিন কে, ল্যাকটিক এসিড ও ভিটামিন বি ১২ উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।

  • ধরুন, একটা মুরগির ফার্মে ১০ টা কুকুর পাহারা দেয়, বিনিময়ে মুরগীর মালিক কুকুরদের খেতে দেয়। যদি দুটো একটা শেয়াল আসে, তবে কস্মিনকালেও একটা মুরগী ছুঁতে পারবে? তেমনটাই ঘটে আমাদের ক্ষেত্রে। আমাদের ত্বকে এত সাধারণ ব্যাক্টেরিয়া যে, যদি কোন ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া শরীরে চলেও আসে, সাধারণ ব্যাক্টেরিয়ার সাথে প্রতিযোগীতায় কুলিয়ে উঠতে পারে না। এরপর তো আমাদের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছেই। ফলে আমরা নিরাপদ থাকি। আমরা দৈনিক হাজারো ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার সংস্পর্শে আসি। কিন্তু রোজ কি অসুস্থ হই!

  • আমাদের দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে এসব ব্যাক্টেরিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। ন্যাচারাল ফ্লোরা যে দুধে ধোয়া তুলসিপাতা তাও নয়! মূলত এরা সুযোগ সন্ধানী কিন্তু দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভালো থাকলে, এরা ড্রাগনের তৃতীয় মাথার মত। ধরুন কোথাও কেটে গেলো, এবং আপনার ইমিউন সিস্টেম দুর্বল। সেক্ষেত্রে সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইনফেকশন ঘটিয়ে ফেলতে পারে। সে জন্য শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যদি এসব ব্যাক্টেরিয়ার সাথে পরিচিত না হয়ে থাকে, তবে সেটাকে দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বলতে হবে। (এইডস হলে মানুষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তখন সামান্য ঠাণ্ডা লেগেই মানুষ মারা যায়!)

  • আমাদের পাকস্থলী ও অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া খাবার হজম ও ভাঙার ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৯৯.৯৯% ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেললে কি হবে?

এখন আসুন মূল বিষয়ে। যদি প্রায় সব ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলেন, তাহলে আপনার শরীর ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার সংস্পর্শে এলেই অনায়াসে সংক্রমণ ঘটাতে পারবে। কোন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে, শত্রু পক্ষ যেকোনো সময় আক্রমন করতে পারে পারে, সে সময়ে ৯৯.৯৯% সেনাকে এক বারে ছুটিতে পাঠানোর মত ব্যাপার টা হয়ে গেল না? এর ফলে ব্যাক্টেরিয়ার থেকে পাওয়া ভিটামিন থেকেও বঞ্চিত হবেন সাথে চর্মরোগে ভোগার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে অনেক গুণ। নিয়মিত যদি এমনটা চালিয়ে যান, আপনার ইমিউন সিস্টেমও হাবাগোবা থেকে যাবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এ বিষয়টা আরও গুরুতর হতে পারে। যেমন, কেউ কেউ সারা জীবনই ছোটখাটো অসুখে ভোগে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দুর্বলতার জন্য। ছোটবেলায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালোভাবে গড়ে না ওঠার কারণে এমনটা হয়। এজন্য অনেক বিশেষজ্ঞ বাচ্চাদের নিয়মিত গোসল করাতে নিষেধ করেন। যেহেতু সাবানের প্রসঙ্গ, গোসলের প্রসঙ্গেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকবে লেখাটির শেষ অংশে।

করোনা কালীন এন্টিব্যাক্টেরিয়াল আইটেম প্রসঙ্গে 

করোনার প্রথম দিকের কথা নিশ্চই মনে আছে। মানুষ, এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান, হ্যান্ডওয়াশ কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আমরাও ঘন্টায়-ঘন্টায়  ৩০ সেকেন্ড ধরে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান দিয়ে হাত ধুয়েছি এবং ধুচ্ছি। এখন যদি শোনেন, এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান ভাইরাস মারে না! আসলেও তাই, এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান, লিকুইড শুধু ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে। সব কি তবে বেকার খাটনী?

সাধারণ সাবান বনাম জীবাণু নাশক সাবান

জি না। খাটনী বেকার যায় নি। সাধারণ সাবান ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলতে না পারলেও স্বাভাবিক ধর্ম অনুযায়ী হাত থেকে ধুয়ে ফেলে দেয়। একটু গভীর ভাবে বলতে গেলে বলব, সাবানের দুটো অংশ থাকে, একটি পোলার অংশ একটি ননপোলার অংশ, যেটা পানিতে দ্রবণীয় বা অদ্রবণীয় সব রকম ময়লা দ্রবীভূত করে দেয়, যা পানির সাহায্যে সহজেই ধুয়ে যায়। শুধু দরকার একটু ধৈর্য ধরে ২০-৩০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়া। জীবাণু নাশক সাবানেও একই রকম ধর্ম থাকে, এবং একই ভাবে ময়লা ধুয়ে ফেলে। কিন্তু এতে জীবাণু মেরে ফেলে এমন কিছু পদার্থ দেওয়া থাকে। যে জন্য মূলত এটাকে জীবাণুনাশক সাবান বলে। 

জীবাণু নাশক সাবান ব্যবহার বিপদ

মিউটেশন: করোনা ভাইরাসের রূপ পরিবর্তনের কথা নিশ্চয় শুনে থাকবেন, এটাকে মিউটেশন বলে। মিউটেশন ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষেত্রেও ঘটে থাকে। এরা সরল জীব এবং এক দিনের ভেতরই হাজার হাজার প্রজন্ম পার করে ফেলে। তাই ব্যাক্টেরিয়া প্রতিকূল পরিবেশে তার কোন একটি বৈশিষ্ট পরিবর্তন করে ফেলতে পারে, যা তাকে প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করবে। Food and Drug Adminstration এর গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে জীবাণু নাশক দ্রব্যের ব্যবহার এন্টিবায়োটিক নিরোধী ব্যাক্টেরিয়া জন্ম দেয়। এর ফলে ভবিষ্যতে নতুন নতুন এন্টিবায়োটিক-নিরোধী ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে যেটা কোন ঔষধ দ্বারা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। World Health Organization এটিকে "সম্ভাব্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট" বলে অভিহিত করেছে। এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবানে রয়েছে ট্রাইক্লোস্যান নামক একটি পদার্থ যা ব্যাক্টেরিয়া হত্যার জন্য দায়ি। এটি ব্যাক্টেরিয়ার কোষপ্রচীর ভেঙে দেয়। অনেক গুলো এন্টিবায়োটিক ঔষধও একই উপায়ে কাজ করে। উল্লেখ্য, একটু জ্বর জ্বর লাগলো, অনুমানে একটা এন্টিবায়োটিক গিলে ফেললাম, এরূপ স্বভাবও আপনার শরীরে এন্টিবায়োটিক-নিরোধী ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটাতে পারে।

ট্রাইক্লোস্যান (Triclosan) এর স্বাস্থঝুঁকি: ৬৬% এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান ও হ্যান্ডওয়াশ এরই সক্রিয় উপাদান হলো ট্রাইক্লোস্যান। এটি মূলত হাসপাতালের যন্ত্রপাতি জীবানুমুক্ত করতে ব্যবহার হয়। এই উপাদানটি মানুষের শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হয়। প্রাথমিক গবেষণায় উঠে আসে এটি মানুষের দেহের স্নায়ুর সংকেত বাধাগ্রস্থ করে, ও হরমোন জনিত রোগ সৃষ্টি করে। দীর্ঘমেয়াদে মানুষের শরীরে কি প্রভাব রাখে সেটা এখনো গবেষণাধীন। তবে ভালো কিছু যে হবে না, বলাই যায়। Food abd Drug Adminstration সাবানে ট্রাইক্লোস্যান ব্যবহার উপকারীরা জানাতে ও স্বাস্থ্যঝুঁকির নেই এমন নিশ্চয়তা চেয়ে সাবান কোম্পানী গুলোকে নোটিশ পাঠিয়েও কোন সন্তোষ জনক উত্তর পায় নি।

ট্রাইক্লোস্যান এর পরিবেশ ঝুঁকি: আমরা যে এন্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করি, তা ড্রেন হয়ে নদী, সাগর কিংবা মাটিতে মিশে যাচ্ছে। ট্রাইক্লওসেন গাছের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও মাটির অনুর্বরতার কারণ। এটি পানির সাধারণ ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলে ফলে জলজ খাদ্য চক্রে ব্যাঘাত ঘটে। এটি মাছেদের জন্য দূষণীয়। মোটকথা, এটি ঘুরে ফিরে মাছ, সবজি ও ফলের মাধ্যমে আমাদের খাদ্য চক্রে প্রবেশ করে। এটি গ্রহণের ফলে হজমে ব্যাঘাত জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে ও হরমোনেরর অস্বাভাবিকতা জনিত রোগ হতে পারে। 

এলার্জি: FDA গবেষণা মতে যেসব শিশু এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান ব্যবহার করে তাদের এলার্জির ঝুঁকি বহু গুন বেড়ে যায়, বিশেষ করে peanut allergies এবং hay fever allergies.

গোসল প্রসঙ্গে

গোসল কতদিন পরপর করা উচিৎ সেটা আবহাওয়া, সংস্কৃতি, ও ব্যাক্তিভেদে ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক। যদিও আমাদের সংস্কৃতি অনুসারে অধিকাংশ মানুষদের রোজই গোসল করতে দেখা যায় (শীতকাল বাদে)। তবে ঘন ঘন সাবান মেখে গোসল করা শরীরের জন্য অপকারী হতে পারে। প্রচলিত এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান (টাইক্লোস্যান সমৃদ্ধ) সাবান এড়িয়ে চলুন। সপ্তাহে ১-২ দিন সাবান মেখে গোসল করাই যথেষ্ট। এর বেশি হলে, ত্বক শুষ্ক হওয়া, চর্ম রোগ হতে পারে। অন্যান্য দিন সাবান ছাড়া গোসল করতে পারেন। অবশ্য শরীরের যেসব অংশে ভাঁজ পড়ে সেসব অংশে নিয়মিত সাবান ব্যবহার করবেন। শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে এসব নিয়ম প্রযোজ্য নয়।

 

আশা করি পুরো ব্যাপার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। সচেতনতা মূলক ব্যপারটি শেয়ার করা যেমন আমি দায়িত্ব মনে করেছি, আপনার প্রতিও একই অনুরোধ রইল।

Default user image

দিগ্বিজয় আজাদ, লেখক, আস্থা লাইফ

আমি শিল্প সাহিত্যের লোক, একই সাথে বিজ্ঞানের কৌতুহলী ছাত্র। লিখালিখি আঁকাআঁকি করতে ভালোবাসি, পড়ালেখা করছি মাইক্রোবায়োলোজি নিয়ে। আস্থা ব্লগে কাজ করতে পেরে চরিত্রের দুটো দিকই যেন সমানভাবে সন্তুষ্ট হচ্ছে। চেষ্টা করি কত সহজে আপনাদের সামনে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা যায়। এবং এই প্রক্রিয়ায় যদি কেউ লাভবান হন, বা কিছু শিখতে যদি পারি সেই আমার পরম প্রাপ্তি। ব্যক্তিগত জীবনে শখের মিউজিশিয়ান। নেশার মধ্যে বই পড়া ও ঘুরে বেড়ানো।

Related Articles