আবেগপ্রবণ খাওয়া বা ইমোশনাল ইটিং থেকে মুক্তির ১৫ টি উপায়!
মানুষ আবেগ-অনুভূতির উর্ধ্বে নয়। তবে নিয়ন্ত্রণহীন আবেগ হয়ে দাঁড়ায় বিপদের কারণ। অনেকে আবেগের বসবর্তি হয়ে যারা খাবার গ্রহণের উপর নিয়ন্ত্রন হারান। ইংরেজীকে যাকে বলে Emotional Eating বা অবেগীয় খাদ্যগ্রহণ জনিত নিয়ন্ত্রনহীনতা। আমাদের মধ্যে অনেকেই এরকম সমস্যায় ভুগছেন অথবা এ ধরণের কোন মানসিক সমস্যার অস্তিত্ব রয়েছে। তবে চলুন, জেনে আসা যাক এই সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত।
নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়লে তা হয়ে দাঁড়ায় বিপদের কারণ। এমন একটা সমস্যার সৃষ্টি হয় আবেগের বসবর্তি হয়ে যারা খাবার গ্রহণের উপর নিয়ন্ত্রন হারান। ইংরেজীকে যাকে বলে Emotional Eating বা অবেগীয় খাদ্যগ্রহণ জনিত নিয়ন্ত্রনহীনতা। আমাদের মধ্যে অনেকেই এরকম সমস্যার স্বীকার, অথচ বেশিরভাগ মানুষ জানেন না তারা ইমোশনাল ইটিং এ ভুগছেন অথবা এ ধরণের কোন মানসিক সমস্যার অস্তিত্ব রয়েছে। তবে চলুন, জেনে আসা যাক এই সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত।
আবেগ নিয়ন্ত্রণ মানুষের সবচেয়ে কঠিন কাজ গুলোর একটি। আর এই নিয়ন্ত্রণের মাধ্যম হিসেবে যখন নিস্ফল ভাবে প্রতিনিয়ত খাবারকে বেছে নেওয়া হয় তখনই তা ইমোশনাল ইটিং এর মধ্যে পড়ে। খাবারের প্রতি আমাদের আবেগের স্থান অস্বীকার করা অসম্ভব। কমবেশি সবারই পছন্দের খাবারটি দেখলে আনন্দিত বোধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খারাপ অনুভূতি গুলো খাবারের নিচে চাপা দেওয়াটা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন সমস্যাটা তৈরি হয়। সাধারণত, এটি শুরু হবার পরও বুঝে ওঠা যায়না যে ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে। কিন্তু নিয়মিত নিজের অবসাদ-বিষন্নতায় অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলে যখন অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায় তখন শুরু হয় ইমোশনাল ইটিং এর দুঃসহনীয় প্রতিক্রিয়া। চলুন আরেকটু বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
ইমোশনাল ইটিং বা আবেগপ্রবণ খাওয়া কি?
বৃষ্টির দিনে ভুনা খিচুড়ির জন্য কেমন একটা আলাদা রকম আবেগ কাজ করে। হঠাৎ হঠাৎ মন চায়, "আমার আজকে শুধু অমক জিনিসটাই খেতে হবে", আর কিছুর উপর আপনার কোন আগ্রহ থাকবে না। এমনটা মাঝেমাঝে হওয়টা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন একটা বিষন্ন দিনে মানসিক শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য বা হতাশ দিনে একটু ভালো বোধ করার জন্য কিংবা সারাদিনের স্ট্রেস দূর করার জন্য যদি আপনাকে বিশেষ কোন খাবারের উপর নির্ভর করতে হয় তাহলে তাকে আবেগীয় খাওয়া বা ইমোশনাল ইটিং বলা হবে। এক কথায়, মনের যত নেতিবাচক অনুভূতি দূর করতে খাবারের সাহায্য নেওয়া হলো ইমোশনাল ইটিং। যা হতে পারে, রাগ, দুঃখ, হতাশা, উত্তেজনা, মানসিক ক্লান্তি, আনন্দ, একাকীত্ব বা যেকোনো মানবিক আবেগ।
এখানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আসতে পারে, পরের তিনটি পয়েন্ট লক্ষ করুন।
১) খাবারই কেন?
নেতিবাচক অনুভূতি মানব মস্তিষ্কের জন্য খুব একটা আরামদায়ক ব্যাপার নয়। তাই মস্তিষ্ক চায় হ্যাপি হরমোন রিলিজ করে অনুভূতি গুলোর ভারসাম্য আনতে। সুখ অনুভূতির হরমোন এর জন্য সবচেয়ে অসামাজিক ও অলাভজনক উপায় হলো ফ্রিজটা খুলে খাওয়া শুরু করা। অন্যান্য অনেক উপায় যেমন, বন্ধুর সাথে কথা বলা, বাইরে বেরহওয়া, একটা বই পড়া বা মুভি দেখা এসবের চেয়ে অনেকেই খারাপ অনুভূতি দমনে খাবারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ক্ষুধা লাগুক আর না লাগুক, মন চাইবে আরো খাই আরও খাই, যতক্ষন না পর্যন্ত খাবারটি শেষ না হয়ে যায়।
২) খাবার কি আসলেই খারাপ অনুভূতি দমাতে পারে?
উত্তর হ্যাঁ, কিন্তু এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্বল হ্যাঁ গুলোর একটা। কারণ, প্রথম অবস্থায় খাবার আপনার মানসিক অবস্থার তৎক্ষনাৎ উন্নতি করলেও, নিশ্চিৎভাবে সমস্যাটি সমাধান করে না। ফলে, কিছুক্ষন বাদে আবার খারাপ লাগার অনুভূতি গুলো ফিরে আসতে পারে। তখন আরও খাবার এর চাহিদা হওয়াই আস্তে আস্তে আসক্তিতে রূপ নেয়। যদিও খাবার ছাড়াও খারাপ অনুভূতি দমনের অসংখ্য উপায় রয়েছে। এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পুর্ণ হবে পরবর্তি পয়েন্টে।
৩) ইমোশনাল ইটিং কোন এত ঝুঁকিপূর্ণ?
ইমোশনাল ইটিং এর প্রথম ধাপে যখন কেউ আবেগের বসে অতিরিক্ত খাওয়া শুরু করে, তখনও এর গুরুতর দিকটি চোখে পড়ে না। যখন অতিরিক্ত দশ-বারো কেজি ওজন বৃদ্ধি পায় তখন সে বুঝতে পারে, ওজনটা এখনি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। কিন্তু সে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেই নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে খেতে শুরু করে, খাবার পর অনুসূচনার কারণে সে আরও বেশি হতাশ হয়। অথচ হতাশ হলে তার প্রয়োজন হয় আরও খাবার। কিন্তু সে যে খাবার ছাড়া হতাশা কাটাতে পারে না ঠিক সেই খাবারই তার হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইমোশনাল ইটিং এর এই দুষ্টচক্র একজন মানুষেকে শারিরীক ভাবে যেমন স্থুলতা জনিত সমস্যা, হার্ট এটাক, উচ্চরক্ত চাপ, ডায়বেটিস জনিত সমস্যায় ফেলে দেয়। মানসিক ভাবেও কোন অংশে কম ক্ষতি করে না।
যেভাবে বুঝবেন আপনি একজন ইমোশনাল ইটার
-
অবসাদ বোধ করলে আপনি খাবার গ্রহণের উপর নিয়ন্ত্রন হারান
-
ক্ষুধা লাগে নি তবু কিছু খেতে ইচ্ছা হয়
-
মন খারাপ থাকলে, বিরক্ত বোধ করলে, বা আতঙ্কগ্রস্থ হলে খেতে ইচ্ছা হয়
-
কোন একটা আত্মতুষ্টিজনক ঘটনায় বেশি খেয়ে ফেলেন
-
লোভনীয় খাবারের সামনে নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েন
-
খাবারকে জগতে সবচেয়ে আপন বন্ধু মনে হয়।
উত্তরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ; শারিরীক ক্ষুধা ও আবেগিক ক্ষুধার তফাৎ বোঝা
যে কোন সমস্যা সারানোর সবচাইতে প্রথম কাজ হলো সমস্যাটা চিহ্নিত করতে পারা। তেমনই, ক্ষুধার প্রকারভেদ বুঝতে পারলে বিনা কারণে বা আবেগের ক্ষুধাকে অগ্রাহ্য করা যাবে। খেয়াল রাখবেন, এ ধরণের সমস্যায় মানুষের মস্তিষ্ক খাবার পাবার জন্য অনেক যুক্তি দাঁড় করাবে, যেগুলোকে চিহ্নিত করতে পয়েন্ট গুলো ভালোভাবে পড়ুন,
১) আবেগের ক্ষুধা আসবে তৎক্ষনাত, হঠাৎ মনে হবে মন খারাপ লাগছে যখন বিরিয়ানী খেলে ভালো লাগবে (উদাহরনণ! অন্যদিকে শরীরের ক্ষুধা আস্তে আস্তে তীব্র হবে।
২) আবেগের ক্ষুধা সাথে সাথে মেটাতে মন মরিয়া হবে, বিরিয়ানী লাগবে মানে এখনই লাগবে! অপরপক্ষে শরীরের ক্ষুধায় অপেক্ষা করা কঠিন না।
৩) আবেগের ক্ষুধায় কোন বিশেষ খাবারের জন্য হবে, যেন বিরিয়ানী ছাড়া অন্য কোন কিছুই চলবে না। শরিরীক ক্ষুধায় এমনটা হবে না।
৪) ভরা পেটেও আবেগের ক্ষুধা লাগবে, ধরুন এক ঘন্টা আগে লাঞ্চ করেছেন, এখনি যেন বিরিয়ানীর জন্য ক্ষুধায় হাপিত্তেশ করবেন।
নিজের ভেতর এই লক্ষন গুলো খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন আপনি ইমোশনাল ইটিং এর সমস্যায় ভুগছেন।
ইমোশনাল ইটিং বা আবেগপ্রবণ খাওয়া কেন হয়?
ইমোশনাল ইটিং এর কারণ বিভিন্ন হতে পারে যদিও স্পষ্ট করে তা নির্ণয় করা কঠিন। ইন্ট্রোভার্ট বা মানুষের সঙ্গে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ নন, এমন মানুষের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটি বেশি দেখা যায়। অতীতের কিছু অভ্যাসও ইমোশনাল ইটিং এর কারণ হতে পারে, যেমন ছোটবেলায় যদি আপনার মনখারাপ থাকলে নিয়মিত আপনাকে পছন্দের কোন খাবার দেওয়া হয়ে থাকে, সেটি পরবর্তিতে ইমোশনাল ইটিং এর কারণ হতে পারে। ইমোশনাল ইটিং এর সাথে জেনেটিক্স ও বড় সময় ধরে মানসিক অস্থিতিশীলতারও সম্পর্ক রয়েছে।
ইমোশনাল ইটিং বা আবেগপ্রবণ খাওয়া থেকে মুক্তির উপায়!
১) খাবারের বিকল্প খোঁজা
নেতিবাচক অনুভূতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য খাবার ছাড়া সম্ভাব্য কাজ গুলো চিহ্নিত করা। এটা ব্যক্তি ভেদে আলাদা আলাদা হতে পারে। যেমন কারো বই পড়া ভালো লাগতে পারে, কারো মুভি দেখা, কারো খেলাধুলা করা ইত্যাদি। পরবর্তিতে আবেগীয় ক্ষুুধায় আক্রান্ত হলে বিকল্প কর্মকান্ড মনকে অন্যভাবে আবেগ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। সময় অতিবাহিত করতে পারলে সব খারাপ অনুভূতি অনেকাংশেই লঘু হয়ে আসে।
২) নিজেকে প্রশ্ন করা
ক্ষুধা লাগলে নিজেকে প্রশ্ন করা ও নিজের সাথে ইতিবাচক সংলাপ ইমোশনাল ইটিং কাটাতে সাহায্য করবে। প্রতিবার খেতে ওঠা বা কিছু অর্ডার করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, "আমার কি আদৌ ক্ষুধা লেগেছে? আমি কেন খাবার অর্ডার করছি? এখন অর্ডার না করে আমি কি কি করতে পারি?" ইত্যাদি। যুক্তিগত দিকটা পরিষ্কার থাকলে মস্তিষ্কের আবেগীয় অংশটুকু নিয়ন্ত্রণ করা তুলনামূলক সহজ হয়। যদিও তা সহজ নয়।
৩) আবেগের সাথে চলতে শেখা
আবেগ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাগ, হতাশা, দুঃখবোধ যাই হোক না কেন সেটা থেকে দ্রুত নিস্তার পাওয়ার চেষ্টার চেয়ে সেই অনুভূতির সাথেই মানিয়ে চলতে শেখার মনোভাব তৈরি করতে পারলে আবেগ কাটাতে অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা দূর করা সহজ হবে।
৪) আস্তে আস্তে খাওয়া
খাবার সময় আস্তে আস্তে সম্পুর্ণ চিবিয়ে খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যকর, তেমনি এটা মস্তিষ্ককে খাবার পরিমান সম্পর্কে সঠিক বার্তা দিতে সাহায্য করে। যে কোনো খাবার ২০ বার চিবিয়ে খেলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৫) খাবার সময় শুধুই খাওয়া
খাবার সময় টিভি দেখা, গেম খেলা, এমনকি পড়ালেখাও উচিৎ নয়। এতে করে খাবারের সঠিক স্বাদটা পাওয়া যায় না, আর খাবারের পরিমান সম্পর্কেও খেয়াল থাকে না।
৬) নিয়ম মাফিক জীবন পদ্ধতি অনুস্বরন করা
পরিমিত ঘুম, নিয়মিত গোসল, সময় মাফিক খাওয়া-দাওয়া ও সুস্থ সামাজিক জীবন আমাদের নেতিবাচক চিন্তা ও অনুভূতিগুলোকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৭) ধ্যান করা
বেশিরভাগ মানুষের ডায়েট প্লান ব্যার্থ হয় কারণ তাদের ডায়েটে শুধু খাবার সময় ও পরিমান থাকে। কিভাবে তাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে তা সম্পর্কে কোন দিকনির্দেশনা থাকে না। ইমোশনাল ইটিং এর ক্ষেত্রেও মনকে নিয়ন্ত্রণ করাই মূলত সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে ধ্যান করা বেশ কাজে দেয়।
৮) ব্যায়াম করা
ব্যায়াম এর ফলে শরীর ও মন সবল থাকবে, রাতে ভালো ঘুম আসবে, শরীরের প্রয়োজনীয় আবেগ সংক্রান্ত হরমন সমুহের নিঃস্বরন ভারসাম্যপূর্ণ হবে। তাই এই সমস্যায় ব্যায়াম করা বেশ কাজের।
৯) ডায়রী লিখা
ডায়রীতে নিজের অতিরিক্ত খাবার কারণ, সে সময় কেমন অনুভূত হয়েছিলো, খাবার পর কেমন অনুভূত হয়েছিলো এসব লিখে রাখলে একটা প্যাটার্ন খুঁজে পাবেন, ঠিক কি কারণে আপনার আবেগীয় খাওয়া হয়ে যাচ্ছে। হয়ত কোন বন্ধুর সাথে ঘুরতে গেলে, বা নিঃসঙ্গ বোধ করলে আপনি বেশি খেয়ে ফেলেন। এরকম অনেক কারণ থাকতে পারে।
১০) লো ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার রাখা
নিন্ম ক্যালরি যুক্ত খাবার রাখলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কোন সমস্যাই না। শসা, গাজর, টমেটো যত পারেন তত খেলেও আপনি ওজন বেড়ে যাবার মত ক্যালরি পাবেন না। অনুসূচনাও থাকবে না।
১১) বুদ্ধি করে বাজার করা
বাজার থেকে যদি আপনি ৭ প্যাকেট চিপ্স ২ টা কোল্ড ড্রিংস, হরেক রকম বিস্কিট কিনে এনে বাসায় রেখে যদি আশা করেন, আবেগ চেপে বসলে খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তাহলে ভুল ভাবছেন। আত্মনিয়ন্ত্রণের ঘাঢতি থাকলে চেষ্টা করবেন লোভনীয় খাবার যেন হাতের কাছেই না পান।
১২) সামাজিক হওয়া
বন্ধুদের সাথে আড্ডা, খেলাধুলা, ঘুরে বেড়ানো আপনার খাবার প্রতি আবেগীয় খাওয়ায় নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে। অবশ্যই রেস্ট্রুরেন্টে ঘুরতে যাবেন না আবার!
১৩) ব্যস্ত থাকা
ব্যস্ততার ভেতর থাকলে অযাচিত আবেগ অনূভূত হওয়ার সময় পাবে না। তেমন কোন কাজ না থাকলেই, মানুষকে একাকীত্ম হতাশা ইত্যাদি আঁকড়ে ধরে। কাজ না থাকলে কাজ বানিয়ে নিন, ছবি আঁকুন, বাগান করুন, কোন একটা বাদ্যযন্ত্র শিখুন। যেকোনো কিছু!
১৪) খাবার সংক্রান্ত অনলাইন কার্যক্রম এড়িয়ে চলা
এই নগরায়নের যুগে যেন খাবার দোকান গুলো প্রতিযোগীতায় নেমেছে, কে কার চেয়ে বেশি ডিসকাউন্ড, Buy one get one free ইত্যাদি অফার দিতে পারে। খাবার সংক্রান্ত অনলাইন গ্রুপ, এপ্লিকেশন এসব বর্জন করলে আবেগীয় খাওয়া থেকে নিস্তার পাওয়া সোজা হবে।
১৫) আত্মগ্লানী মুক্ত থাকা
যা খেয়ে ফেলেছেন তাতো হয়েই গেছে, আর তার জন্য অনুতপ্ত হয়ে কোন লাভ নেই। বরং পরবর্তিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হউন।
বাঙালী মানুষ খাদ্যরসিক ছাড়া পাওয়াই যেন দুষ্কর। এই প্রবন্ধটি পড়ে নিজেকে হালকা ইমোশনাল ইটার আবিষ্কার করে হতাশ হবার কারণ নেই। ওজন নিয়ন্ত্রণের ভেতর থাকা মানে আপনি খুব বেশি গুরুতর ইমোশনাল ইটার নন।