করোনাভাইরাস কি এবং এর প্রতিরোধের উপায়
সব করোনাভাইরাস কি মৃত্যু ঘটায়? করোনভাইরাসের উৎপত্তি ও বিস্তার কিভাবে? করোনভাইরাসের প্রতিরোধ কি সম্ভব?
করোনাভাইরাস বা সিওভি (CoV) হল একটি বৃহত পরিবারের ভাইরাস যা সাধারণ ঠান্ডা থেকে আরও মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে যেমন মধ্যপ্রাচ্যের রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম বা এমইআরএস-সিওভি (MERS-CoV) এবং গুরুতর তীব্র শ্বাসতন্ত্র সিন্ড্রোম বা এসএআরএস-সিওভি (SARS-CoV)।
করোনাভাইরাস আপনার নাক, সাইনাস বা গলার উপরিভাগ সংক্রমণ ঘটায়। বেশিরভাগ করোনভাইরাসগুলি বিপজ্জনক নয় তবে কয়েক ধরণের আবার খুব গুরুতর হয়।
করোনভাইরাসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
২০১২ সালে সৌদি আরবে মধ্যপ্রাচ্যের রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম বা এমইআরএস-সিওভি (MERS-CoV) এ আক্রান্ত হয়ে ৮৫৮ জন মারা গিয়েছিলো এবং পরে তা মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ, আফ্রিকা, এশিয়া এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশে দেখা দিয়েছিল। ২০১৪ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে প্রথম একজন আমেরিকান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই এমইআরএস এ আক্রান্ত হয়ে এবং এরপর ফ্লোরিডাতেও একজন এই খুজে পাওয়া যায় যারা দুজনই সৌদি আরব থেকে নিজ দেশে ফিরেছিলেন। ২০১৫ সালের মে মাসে কোরিয়াতে এমইআরএসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় যা আরব উপদ্বীপের বাইরে মহামারি আকারে ছিল। ২০০৩ সালে, করোনা জাতের ভাইরাস গুরুতর তীব্র শ্বাসতন্ত্র সিন্ড্রোম বা এসএআরএস-সিওভি (SARS-CoV) প্রাদুর্ভাবের ফলে ৭৭৪ জন মারা গিয়েছিল এবং আক্রান্ত হয়েছিলো প্রায় ৮০০০ এর বেশী মানুষ। ২০১৫ সালের পর এসএআরএস এবং এমইওআরএস আর কোনো হদিস পাওয়া যায় নি।
করোনভাইরাসের সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব
তবে ২০২০ সালের জানুয়ারির শুরুতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) চীনে একটি নতুন ধরণের করোনাভাইরাস চিহ্নিত করেছে যার আরেক নাম ২০১৯-নভেল করোনাভাইরাস বা এনসিওভি (2019-nCoV)। চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণের ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। বিবিসি এর তথ্য অনুযায়ী শুধুমাত্র চীনে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০০০ এর উপরে। এছাড়া থাইল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কমপক্ষে ৪৪ জন করোনাভাইরাস রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। তবে চীনের বাইরে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে জরুরী সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীন বাংলাদেশের কাছাকাছি হওয়ায় এবং চীনে আমাদের দেশের মানুষের আসা যাওয়া বেশী হওয়ায় বাংলাদেশও রয়েছে তীব্র ঝুঁকিতে। তাই আমাদেরও জানা উচিত এই ভাইরাস সম্পর্কে। এই জাতের করোনা ভাইরাসটি কতটা ভয়ংকর হতে পারে এবং কীভাবে ছড়াতে পারে, কি কি করণীয় সেসব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম।
২০১৯-নভেল করোনাভাইরাস (২০১৯-এনসিওভি) কী?
নভেল করোনাভাইরাস বা এনসিওভি (nCoV) হচ্ছে করোনাভাইরাসের একটি নতুন স্ট্রেন বা রূপ যা পূর্বে মানুষের মধ্যে সনাক্ত করা যায় নি। ভাইরাসটির নিজেরও অনেক রকম প্রজাতি আছে যার মধ্যে ৭টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। চীনের উহান প্রদেশে সর্বপ্রথম এটি দেখা যায় এবং অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ প্রকাশ করে বলে এই ভাইরাসকে বিশেষজ্ঞরা “উহান নিউমোনিয়া” নামেও অভিহিত করেছেন। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, করোনা জাতের ২০১৯-এনসিওভি ভাইরাসটি মানুষের দেহকোষের ভেতরে ইতোমধ্যে তার গঠন এবং বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন করে নতুন নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করছে যাকে বলা হয় মিউটেশন। যার ফলে বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট কোনো টার্গেট খুঁজে পাচ্ছেন না, তাই বিপদের মাত্রা ক্রমশ বেড়ে চলেছে সাথে মৃত্যুর হারও। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে ২০১৯-এনসিওভি খুব সহজে একজন মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে তাই আমাদের থাকতে হবে আরো সতর্ক।
২০১৯-এনসিওভি বা করোনভাইরাসের ভয়াবহতা
করোনা জাতের সব ভাইরাসই শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়, ২০১৯-এনসিওভি এর ব্যাতিক্রম নয়। চীনের উহান প্রদেশে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়াতে দেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক বার্তা পাঠিয়েছিলো চীনের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এবং তার ১০ দিন পর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করে বিশেষজ্ঞরা কিন্তু ঠিক কীভাবে এবং কবে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল সেটা নিয়ে এখনো নিশ্চিত নয় বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু প্রমাণ পেয়েছেন এই ভাইরাস এক জাতীয় সামুদ্রিক খাবার থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস প্রথমে আক্রান্ত ব্যাক্তির ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং হাঁচি, কাশির মাধ্যমে এটি খুব সহজে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমদিকে আক্রান্ত ব্যাক্তি অথবা চিকিৎসকেরা ধারণা থাকে না যে রোগী এই ভাইরাসে আক্রান্ত কারন লক্ষণ দেখায় খুব সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডা লাগার মতো করেই। তবে এটি যখন ভয়াবহ রুপ ধারণ করবে তখন দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া, নিউমোনিয়া, এমনকি মৃত্যু ঘটারও আশঙ্কা থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে এবং বিবিসি এর তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তদের দুই শতাংশই মারা গেছেন এবং এই হার ক্রমস বেড়ে চলেছে। তাছাড়া বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন এমন মৃত্যুও হতে পারে যা তাদের তালিকায় ভুক্ত হয়নি অথবা আক্রান্ত ব্যাক্তির পরিবারও জানে না যে রোগী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাই মৃত্যুর হার ঠিক কতটা এবং ২০১৯-এনসিওভি ভাইরাস ঠিক কতটা ভয়ংকর সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা এখনও স্পষ্ট নয় কারন এর আগে বাদুড় এবং উট থেকে ছড়িয়ে পড়া যথাক্রমে এসএআরএস এবং এমইআরএস এর মহামারি কিছু বছর আগেই পুরো বিশ্ব কাপিয়ে দিয়েছিলো। এই ভাইরাসের ভয়াবহতা এবং প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতিমধ্যে দেশটির সরকার উহানসহ দেশটির ১৪ টি শহর অবরুদ্ধ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
করোনভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?
গবেষকরা এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন যে কীভাবে নতুন ভাইরাসটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি ছড়িয়ে পড়ে।
"যদিও এখন পর্যন্ত মহামারী ছড়িয়ে দেওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া আমরা জানি না, সেখানে সম্ভবত এসএআরএস-সিওভি (SARS-CoV)-এর মতো জিবাণুবাহিত কণা এবং দূষিত পৃষ্ঠতল ও সম্ভাব্য বায়ুবাহিত কণা দ্বারা ছড়িয়ে পড়েছে," ডাঃ মার্ক ডেনিসন, ভ্যান্ডারবিল্টের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের একজন ভাইরোলজিস্ট।
সাধারণভাবে করোনাভাইরাসগুলি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে - প্রায় ৩ থেকে ৬ ফুট এর পরিসীমার ভিতর। ওয়াশিংটন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ক্যাথি লোফি বলেছেন, ভাইরাসটি প্রাথমিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির কাউকে কাশি বা হাঁচি দেওয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কোনও ব্যক্তি কোনও পৃষ্ঠের ভাইরাস কণার সংস্পর্শের মাধ্যমেও সংক্রামিত হতে পারে, যদিও এটি জানা যায় না যে নতুন করোনভাইরাস শরীরের বাইরের পৃষ্ঠে কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে। কোনও সংক্রামিত ব্যক্তি যদি দোকানের কাউন্টার বা দরজার হাতলের মতো কোনও পৃষ্ঠে হাঁচি বা কাশি দেয় এবং অন্য কোনও ব্যক্তি সেই পৃষ্ঠটি স্পর্শ করে এবং তার চোখ বা নাক ঘষে তবে সে পরে অসুস্থ হতে পারে।
এসএআরএস-সিওভি (SARS-CoV) ভাইরাসটিও মলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। ডাঃ মার্ক ডেনিসন পরামর্শ দিয়েছিলেন যে একই ছড়ানোর পদ্ধতিটি নতুন ভাইরাসটিতে পাওয়া যেতে পারে তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়।
মানুষ কি প্রাণী উৎস হতে করোনভাইরাসে সংক্রামিত হতে পারে?
করোনাভাইরাসগুলি জুনোটিক, যার অর্থ তারা প্রাণী এবং মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে এসএআরএস-সিওভি সিভেট নামক বিড়াল থেকে মানুষের মধ্যে এবং এমইআরএস-সিওভি ড্রোমডারি নামক উট থেকে মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছিল। বেশ কয়েকটি পরিচিত করোনাভাইরাস এমন প্রাণীদের মধ্যে ঘুরছে যেগুলি এখনও মানুষকে সংক্রামিত করেনি।
কেউ অসুস্থ হতে কতক্ষণ সময় নেয়?
নতুন করোনাভাইরাস ইনকিউবেশন পিরিয়ড - যার অর্থ ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশ করার পর সংক্রমনের লক্ষণ প্রকাশ হতে যে সময় লাগে তা এখনও অজানা।
তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই ধারণাটি নিয়ে কাজ করছেন যে ইনকিউবেশন পিরিয়ড প্রায় ১৪ দিন হয়। ইনকিউবেশন পিরিয়ডের সময় কোনও ব্যক্তি সংক্রামক কিনা তা স্পষ্ট নয়।
করোনভাইরাসের লক্ষণ
সংক্রমণের প্রথম লক্ষণ জ্বর এবং তীব্র জ্বরের সাথে দেখা দেয় শুষ্ক কাশি। সংক্রমণের সাত দিনের মাথায় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার পাশাপাশি রোগীর বুকে ব্যাথা হতে পারে। তাই আপাতত ২০১৯-এনসিওভি ভাইরাস সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ হিসেবে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, হাল্কা বুকে ব্যাথা অনুভূত হওয়া, জ্বর এবং শুষ্ক কাশিকেই তালিকাবুক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা এবং পরামর্শ দিয়েছেন উপরোক্ত লক্ষণ প্রকাশ পেলেই যেনো রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আছে?
যখন কোনও রোগ নতুন হয় তখন কোনও রোগের বিকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন পাওয়া যায় না। নতুন ভ্যাকসিন তৈরি হতে বেশ কয়েক বছর সময় নিতে পারে।
করোনভাইরাসের কোন চিকিৎসা আছে?
করোনভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। তবে অনেকগুলি লক্ষণই চিকিত্সা করা যায় এবং তা রোগীর ক্লিনিকাল অবস্থার উপর ভিত্তি করে। অধিকন্তু, সংক্রামিত ব্যক্তিদের জন্য সহায়ক যত্ন অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে।
আমি কীভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারি?
যেহেতু এই রোগ ঠেকানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসাও নেই তবে কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন সবাইকে সচেতন হতে এবং তারা আপাতত প্রতিকার হিসেবে এ ভাইরাস বহনকারীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে বলছেন।
এছাড়া নিচের কাজ গুলোর মাধ্যমে সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারবেন,
-
যতটা সম্ভব মাস্ক ব্যবহার করুন। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ ড. গ্যাব্রিয়েল লিউং এ সম্পর্কিত এক প্রতিবেদনে নির্দেশনা দিতে গয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে অন্যকে সুস্থ রাখতে মুখোশ ব্যাবহার করুন, আর নিজে সুস্থ হলেও, অন্যের সংস্পর্শ এড়াতে মুখোশ ব্যাবহার করুন।’
-
বাজার বা জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলুন
-
বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন
-
অযথা হাত দিয়ে চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করবেন না
-
শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার লক্ষণগুলি যেমন কাশি এবং হাঁচিযুক্ত কারও সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন
-
আপনি যদি নিজেই অসুস্থ বোধ করেন তবে কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় আপনার মুখ এবং নাকটি ঢেকে রাখুন এবং আপনি যে জায়গা বা বস্তু স্পর্শ করেন তা জীবাণুমুক্ত করে দিন।
-
আপনার যদি জ্বর, কাশি এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিত্সা গ্রহণ করুন এবং চিকিৎসকের সাথে সাথে পূর্ববর্তী ভ্রমণ ইতিহাস বর্ণনা করুন।
-
মাংস এবং ডিম খুব ভালভাবে রান্না করে খাবেন
-
যদি বাজারে যেতে হয় তবে জীবন্ত প্রাণীর সংস্পর্শ এবং প্রাণী রাখার স্থান এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
-
কাঁচা বা স্বল্প রান্না করা পশুর খাবার এড়ানো উচিত।
-
কাঁচা মাংস, দুধ, বা প্রাণীর অঙ্গগুলি এমনভাবে রাখতে হবে যাতে ভালো খাবারগুলো এদের সংস্পর্শে না আসে।
-
সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন
করোনাভাইরাস নিয়ে সুসংবাদ হচ্ছে, আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সেটি এসে পৌছায়নি। কিন্তু তাই বলে আমাদের নিশ্চিন্ত থাকলে চলবে না। দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরতে পারে। আর যেহেতু এখন পর্যন্ত এই রোগের কোন চিকিৎসা বের হইনি তাই আমাদের সবাইকে এর থেকে বাচার জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। আর শ্বাসতন্ত্রজনিত লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।