কীভাবে বুঝবেন আপনার বাতের ব্যথা হয়েছে?

বেশিরভাগ মানুষের ধারণা বয়স বাড়লে বাতের ব্যথা হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু আদৌতে বাত রোগ শরীরে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করতে পারে, যাতে সারা জীবন ভোগার আশঙ্কা থাকে। রাস্তা ঘাটে "জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা" শিরনামে মাইকে ডেকে ডেকে যে ঔষধ বিক্রি হয়, তাতে কখনোই বাত সারে না। আর্টিকেলটি সম্পুর্ণ পড়লে বিভিন্ন প্রকার বাত হবার কারণ, ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বাতের ব্যাথা বা আথ্রাইটিস অনেকটা সাধারণ রোগ বলে ধরে নেওয়া হয়, কারণ বেশিরভাগ মানুষই এটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন না। মানুষের ধারণা এটি একটি বয়স জনিত রোগ এবং তেমন গুরুতর নয়। তাই অনেক ক্ষেত্রেই বয়োজেষ্ঠদের এরূপ সমস্যা দেখা দিলেও খুব বেশি আমলে নিতে দেখা যায় না। তার উপর রাস্তা ঘাটে ফেরি করে যেভাবে বাতের ব্যথার ঔষধ যেভাবে দেদারসে কেনা-বেঁচা হয়, মনে হতেই পারে এ দেশে ডাক্তারের চেয়ে কবিরাজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আসল কথায় আসি, বাতকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই কারণ এটি শরীরের বিভিন্ন জটিলতা তৈরি করতে পারে, যার ফলাফল পঙ্গুত্ব কিংবা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আসুন এই প্রবন্ধটিতে জানার চেষ্টা করি বাত ব্যথা কি, বাতের ধরণ, কেন হয়, চিকিৎসা ও অন্যান্য তথ্য যা আপনার জানা প্রয়োজন।

বাত কি?

বাত বা আথ্রাইটিস হলো একটি টার্ম যার মাধ্যমে যেকোন প্রকার অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টের ব্যথাকে বোঝানো হয়। এটি কোন নির্দিষ্ট রোগ নয়, বরং অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টের ব্যথাকে নির্দেশ করে। পৃথিবীতে ৬০০ ররকমের বাত রোগ থাকলেও মূলত ৩ ধরণের আথ্রাইটিস বা বাত সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। 

  • অস্টিয় আথ্রাইটিস

  • রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস

  • গাউটি আথ্রাইটিস

আসুন একে একে প্রধান তিন ধরণের আথ্রাইটিস হবার কারণ, চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানা যাক।

অস্টিয় আথ্রাইটিস

বাতের সমস্যার মধ্যে অস্টিয় আথ্রাইটিস সবচেয়ে বেশি হতে দেখা যায়। বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রতি ১০০ জনের ভেতর মোটামুটি ১১ জন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আমাদের দেশেও এ রোগটির প্রকোপ অত্যন্ত বেশি। 

অস্টিও আথ্রাইটিস এর কারণ

আমাদের হাড়ের জয়েন্টে এক প্রকার নরম কুশনের মত পিচ্ছিল টিস্যু থাকে যার নাম হলো আর্টিকুলার কার্টিলেজ। এর কাজ হলো, জয়েন্টে দুটো হাড়কে আলাদা রাখা ও সহজে নড়াচড়া করতে সাহায্য করা। আর্টিকুলার কার্টিলেজ না থাকলে দুটি হাড়ের ঘর্ষণে হাড় ক্ষয়ে যেতো।

আমাদের কঙ্কালতন্ত্রের প্রত্যেক জয়েন্টের চারপাশে আরেক ধরণের টিস্যু থাকে যার নাম সিনোভিয়াম। সিনোভিয়ামে রক্তনালি ও হাড়ের জয়েন্ট সচল রাখার জন্য বিভিন্ন ধরণের কোষ থাকে যার মধ্যে কন্ট্রোসাইটস অন্যতম।

কন্ট্রোসাইটস একধরণের কোষ যা হাড়ের আর্টিকুলার কার্টিলেজ, পিচ্ছিলকারক তরল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরের সব কোষের মতই আর্টিকুলার কার্টিলেজের কোষ মারা যায়। কন্ট্রোসাইটস নতুন কোষ তৈরি করে আর্টিকুলার কার্টিলেজকে সঠিক অবস্থায় রাখে। 

অস্টিও আথ্রাইটিস এ কন্ট্রোসাইসটস ঠিক ভাবে কাজ করে না। তাই আর্টিকুলার কার্টিলেজ বা হাড়ের উপর নরম টিস্যু ক্ষয়ে যায়। ফলে জয়েন্ট সহজে নড়াচড়া করা যায় না, বা করলেও হাড় ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। 

অস্টিয় আথ্রাইটিস এর উপসর্গ

অস্টিয় আথ্রাইটিস এর উপসর্গ গুলো নিন্মরূপ-

  • হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হওয়া। জয়েন্ট নড়ানোর সময় বা পরে ব্যথা বেড়ে যাওয়া

  • হাড়ের জয়েন্ট গুলো কশে আসা, নড়াতে সমস্যা হওয়া

  • হাটু, কনুই ও অন্যান্য জয়েন্ট গুলো ফুলে যাওয়া

  • সকালের দিকে অন্থিসন্ধি অসাড় হয়ে থাকা ও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমে আসা

  • জয়েন্ট নড়ানোর সময় হাড়ের ঘর্ষণ টের পাওয়া ইত্যাদি।

অস্টিয় আথ্রাইটিস কেন হয়?

অস্টিয় আথ্রাইটিস কেন হয় সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কারণটি জানা যায় না। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মধ্যবয়স্ক ও প্রবীণদের মধ্যে এ রোগ দেখা যায়। পরিবারের অন্য কারো অস্টিও আথ্রাইটিস এর ইতিহাস থাকলে অন্যদেরও এ রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া মদ্যপান, ধুমপান, ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়ার জন্যও এই রোগটি হতে পারে।

অস্টিয় আথ্রাইটিস এর চিকিৎসা

অস্টিয় আথ্রাইটিস সময়ের সাথে আরো খারাপ হতে থাকে, এবং দুঃখজনক ভাবে এটির সম্পুর্ণ রূপে সারে না। কিন্তু চিকিৎসার মাধ্যমে এটি কমিয়ে রাখা ও বেড়ে যাওয়া থামানো যায়। 

ব্যায়াম করলে ও ওজন কমালে জয়েন্টের উপর চাপ কমে। ব্যাথা কমানোর জন্য ডাক্তার বিভিন্ন ধরণের ব্যথানাশক ঔষধ দিতে পারেন। সঠিক চিকিৎসার জন্য একজন রিউমাটোলজিস্টস (Rheumatologists) ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস অস্টিও আথ্রাইটিস এর চেয়ে ভিন্ন ও বেশি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। এটি অস্টিয় আথ্রাইটিস এর মত সাধারন না হলেও এ রোগে দ্বিতীয় সর্বচ্চ মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সঠিক চিকিৎসা ছাড়া রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস প্রাণঘাতিও হতে পারে। চলুন রোগটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এর কারণ

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস একটি অটো ইমিউন ডিজিজ। অটো অর্থ নিজ ও ইমিউন অর্থ প্রতিরোধ। অটো ইমিউন ডিজিজ মানে যখন আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা নিজের শরীরের ক্ষতি করে বসে। রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এর কারণে এই ব্যপারটিই ঘটে। 

আমাদের দেহে স্বেত রক্ত কনিকা সহ বিভিন্ন ধরণের কোষ রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এ শ্বেত রক্ত কণিকা সিনোভিয়াল সেলকে আক্রমণ করা শুরু করে যেখানে কন্ট্রোসাইটস সহ অন্যান্য কোষ অবস্থান করে। সিনোভিয়ামের কোষ গুলো আমাদের হাড়ের জয়েন্টের আর্টিকুলার কার্টিলেজ ও সিনোভিয়াল ফ্লুইড নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। 

শ্বেত রক্ত কণিকা একধরণের সাইটোকাইনস নিসৃত করে, যা সিনোভিয়াল টিস্যুকে অন্য ক্ষতিকর পদার্থ নিসৃত করতে বাধ্য করে ও আর্টিকুলার কার্টিলেজ কে ক্ষতিগ্রস্থ করে। শরীর এ ধরণের সমস্যাকে বিপদসংকেত হিসেবে দেখে ও আক্রান্ত জায়গা ফুলে যায় ও লাল হয়ে ওঠে। আক্রান্ত জায়গায় আরো বেশি করে নতুন রক্তজালিকা তৈরি হতে থাকে যা জয়েন্টে সিনোভিয়াল লিকুইড, আর্টিকুলার কার্টিলেজ এর জায়গা দখল করতে থাকে ও কার্টিলেজকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে থাকে। একসময় কার্টিলেজ সম্পুর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে, ও জয়েন্টের হাড়গুলো একে অপরের সাথে লেগে যায় ও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হতে থাকে। একসময় হাড় বৃদ্ধি পেয়ে জয়েন্টের সকল কার্যকারীতা নষ্ট করে ও নড়ানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। 

নায়ক থেকে খলনায়ক হয়ে যাওয়া শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুধু জয়েন্ট গুলোকেই আক্রান্ত করে ক্ষান্ত হয় না। আক্রান্ত করে ত্বক, ফুসফুস, হার্ট, কিডনী, ব্রেইন ইত্যাদি অঙ্গ গুলোকে। যদিও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এর বেড়ে যাওয়া নিয়ন্ত্রন করা যায়, তবে এটিকে সম্পুর্ণ ভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব না।

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এর উপসর্গ

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এর উপসর্গ গুলো নিন্মনূপ-

  • হাতের কব্জি, কনুই, হাটু, পায়ের গোড়ালি ও পাতার জয়েন্ট ও হাড়ে ব্যথা হওয়া

  • সাধারণত দুই হাত বা পায়ের একই জায়গায় ব্যথা হয়

  • হাড়ের জয়েন্ট গুলো শক্ত হয়ে আসা, সহজে নড়ানো না যাওয়া

  • আক্রান্ত স্থান জ্বালা করা, লাল হয়ে যাওয়া ও ফুলে যাওয়া

  • ওজন কমে যাওয়া

  • জ্বর

  • দুর্বলতা

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস কেন হয়?

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো উদঘাটন সম্ভব হয় নি। তবে ধারণা করা যায়, ধুমপান, মদ্যপান, দূষিত পরিবেশ, অপুষ্টি ও  ইনফেকশন জনিত কারণে আমাদের ইমিউন সিস্টেমে পরিবর্তন আসে যার কারণে রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস রোগটি হয়ে থাকে।

এ রোগটি থেকে বেঁচে থাকতে, সুস্থ্য স্বাভাবিক জীবন, ব্যায়াম ও হাড়ের যত্নে যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা উচিত।

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস এর চিকিৎসা

রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস সম্পুর্ণ সারিয়ে তোলা সম্ভব নয় কিন্তু এটি ডাক্তারের পরামর্শ মত সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এই রোগটি কিছুতেই অবহেলা করা উচিৎ নয় কারণ, ঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেওয়া পঙ্গুত্বের কারণও হতে পারে। এ রোগটির লক্ষণ দেখা দিলে একজন হাড় বিশেষজ্ঞের কাছে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

গাউটি আথ্রাইটিস

গাউটি আথ্রাইটিস বা গেটে বাত অন্যান্য বাতের ধরণের মত বেশি না হলেও শতকরা প্রায় ১ জন মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হন। এ রোগটি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কিংবা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা নির্দেশ করতে পারে। উপর্যপরি গেটে বাত বা গ্রাউট প্রচন্ড কষ্টদায়ক একটি বাতের ধরণ যার চিকিৎসা না করালে হাড়ের বিকৃতি ঘটতে পারে। আসুন রোগটি সম্পর্কে জানানা যাক।

গাউটি আথ্রাইটিস এর কারণ

গেটে বাত বা গাউটি আথ্রাইটিসকে বলা হতো রাজাদের রোগ। কারণ অতীতে এই রোগটি রাজা বা উচ্চবিত্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশি দেখা যেতো। গেটে বাত হবার কারণ বলতে বলতে বিষয়টি পরিষ্কার করছি। 

পিউরিন হচ্ছে একধরনের এমিনো এসিড যা ভাঙলে ইউরিক এসিড উৎপন্ন হয়। মাংস, মাছ, মিষ্টি ফলমূল জাতীয় খাবারে বেশি পরিমানে পিউরিন পাওয়া যায়।

পিউরিন জাতীয় খাবার বেশি গ্রহণ করলে শরীরে ইউরিক এসিডের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে যায় যা আমাদের কিডনী পুরোটা ফিল্টার করতে পারে না। ফলে আমাদের রক্তে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ইউরিক এসিডের ঘনত্ব অত্যাধিক বেড়ে গেলে তা হাড়ের জয়েন্টে ক্রিস্টাল বা জমাট বেঁধে যায়। যা অত্যান্ত কষ্টদায়ক ব্যথার সৃষ্টি করে।

অতীতে উচ্চবিত্তরা খুব বেশি পরিমাণে মাংস ও ফল খেতো তাই এ রোগটা তাদের ভেতর খুব বেশি দেখা যেতো। সেজন্য এই রোগটিকে রাজাদের রোগ বলা হয়।

কিন্তু ব্যপারটা হচ্ছে শুধু ওই খাবারগুলো বেশি খেলেই এই রোগটি হবে এমন কোন কথা নেই। কিডনীর কার্যক্ষমতা কমে গেলে, শরীরের ওজন বেড়ে গেলে বা খুব বেশি মদ্যপান করলেও এই রোগটি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

গাউটি আথ্রাইটিসের উপসর্গ

গাউটি আথ্রাইটিস বা গেটে বাতের উপসর্গ গুলো নিন্মরূপ-

  • পায়ের বুড়ো আঙ্গুলে ব্যথা হওয়া

  • আঙ্গুলের গোড়া ফোলা ও লাল হওয়া

  • পায়ের গোড়ালি, পেশি ও অন্যান্য জায়গায় ব্যথা হওয়া

  • রাতের বেলা ব্যথা বাড়া

  • গ্রাউট এটাক বা ব্যাথার প্রকোপ ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া

গাউটি আথ্রাইটিস এর চিকিৎসা ও প্রতিকার

গাউটি আথ্রাইটিস খুব প্রটিন ডায়েটের আধিক্যের  ফলে বেশি হয়। তাই মাছ মাংস সহ অন্যান্য আমিষ জাতীয় খাবার কমিয়ে ফেলতে হবে। ওজন কমানো গেটে বাত প্রতিকারে উপকারী।

গ্রাউট এটাক শুরু হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা নাশক খাওয়া যেতে পারে। আক্রান্ত স্থানে বরফ দিলে আরাম পাওয়া যায়। গ্রাউট এটাক ঘনঘন দেখা দিলে কিডনী পরীক্ষা করে রাখাও হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

শেষ কথা

এই তিনটি বাতের ধরণই অধিকাংশ সময় দেখা গেলেও আরও অনেক কারণেই বাতের ব্যথা হতে পারে। বাতের ব্যথা সারানোর জন্য ব্যথা হওয়ার কারণটা উদঘাটন সবচেয়ে বেশি জরুরী। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে বাতের ব্যাথায় একজন হাড় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া পরবর্তি জীবনে বড় আপসোস থেকে বাঁচাতে পারে।

Default user image

দিগ্বিজয় আজাদ, লেখক, আস্থা লাইফ

আমি শিল্প সাহিত্যের লোক, একই সাথে বিজ্ঞানের কৌতুহলী ছাত্র। লিখালিখি আঁকাআঁকি করতে ভালোবাসি, পড়ালেখা করছি মাইক্রোবায়োলোজি নিয়ে। আস্থা ব্লগে কাজ করতে পেরে চরিত্রের দুটো দিকই যেন সমানভাবে সন্তুষ্ট হচ্ছে। চেষ্টা করি কত সহজে আপনাদের সামনে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা যায়। এবং এই প্রক্রিয়ায় যদি কেউ লাভবান হন, বা কিছু শিখতে যদি পারি সেই আমার পরম প্রাপ্তি। ব্যক্তিগত জীবনে শখের মিউজিশিয়ান। নেশার মধ্যে বই পড়া ও ঘুরে বেড়ানো।

Related Articles