সাধারণ ফ্লু নাকি করোনা ভাইরাস, উপসর্গ চিনবেন যেভাবে
সর্দি-কাশি মানেই কিন্তু করোনা নয়। প্রায় একই রকম উপসর্গ হওয়ার কারণে করোনা ভাইরাস ও ফ্লু দুটোকে আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে এক করে গুলিয়ে ফেলছি। তবে দুটো ভাইরাসে ভিন্নতা রয়েছে অনেক। এই আর্টিকেলে আমরা করোনা ভাইরাস ও সাধারণ ফ্লুর পার্থক্য, কেন হয় এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে জানবো।
বর্তমান পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে মানুষ সাধারণ সর্দি-কাশি হলেও আতঙ্কে থাকে, করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলো না তো? এমনটা ভাবার যৌক্তিক কারণ ও আছে। কেননা ফ্লু ও করোনা ভাইরাসের মধ্যে অনেকটাই মিল রয়েছে। সবচেয়ে বড় মিল হলো ফ্লু ও কোভিড-১৯ শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা তথা শ্বাস কষ্ট। যার অর্থ উভয় রোগের ক্ষেত্রেই ফুসফুস এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং অন্যদের মধ্যে ক্রমশ ছড়িয়ে পরে। যদিও করোনা ভাইরাস ও ফ্লু এর মধ্যে বিস্তর পার্থক্যও রয়েছে। আসুন বিস্তারিত জেনে নেই।
ফ্লু এবং করোনা ভাইরাস কি
ফ্লু এর সাথে আমাদের অনেক আগে থেকে পরিচয় থাকলেও করোনা ভাইরাস তথা কোভিড-১৯ সম্পর্কে সম্প্রতি জেনেছি। এ পর্যায়ে ভাইরাস দুটো সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানবো।
ফ্লু
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একধরণের সংক্রামক হলো ফ্লু। ফ্লু হলে সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা পরিলক্ষিত হয়। নাক, গলা এবং ফুসফুস সংক্রমিত হয়। নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যাথা ফ্লুর সাধারণ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে পরে। ফ্লু ধীরে ধীরে জটিল আকার ধারণ করে এবং মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে।
সাধারণত শীত ও বর্ষাকালে ফ্লুর প্রোকোপ বেশি লক্ষ করা যায়। প্রতিবছর বিশ্বে ৫-১০ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি এবং ২০-৩০ শতাংশ শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে বা তাঁর ব্যবহৃত জিনিসপত্র স্পর্শ করলে ফ্লু ছড়াতে পারে।
সোয়ায়েন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, স্প্যানিশ ফ্লু এর মতো ফ্লু এর বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। ভিন্নতা থাকলেও প্রতিটা ফ্লুই ক্ষতিকর।
করোনা ভাইরাস
ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রতি শতাব্দিতেই নতুন কোনো ভাইরাস দ্বারা বিশ্ব আক্রান্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় একবিংশ শতাব্দিতে এসে দেখা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম করোনাভাইরাস ২ (SARS-CoV-2) নামক একটি নতুন ভাইরাসকে ২০১৯ সালে চীনে শুরু হওয়া রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এই ভাইরাস ঘটিত রেগকে বলা হয় করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯ (কোভিড-১৯)। ছোঁয়াচে ধরণের রোগ কোভিড-১৯। কমপক্ষে ৬ ফুট দুরত্ব না রাখলে হাঁচি, কাশি, নিঃশ্বাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে বিস্তার ঘটায়।
কিভাবে বুঝবেন আপনার ফ্লু হয়েছে
জ্বর, সর্দি হলেই যে ওই ব্যক্তির ফ্লু হয়েছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। তবে ফ্লু,'র লক্ষণের মধ্যে জ্বর অন্যতম লক্ষণ। ফ্লুর লক্ষণগুলি খুব দ্রুত দেখা দেয় এবং রোগী পেশীতে ব্যথা অনুভব করে এবং অধিক তাপমাত্রায় জ্বর আসে। ফ্লু হলে রোগী অত্যন্ত দুর্বল বোধ করবেন এবং এমনকি বিছানা থেকে উঠতে অসুবিধা হতে পারে। একই সাথে কাশির আধিক্য দেখা দেবে।
এক নজরে ফ্লু এর লক্ষণগুলি-
-
গলা ব্যথা (থাকতেও পারে নাও পারে)
-
ঘুমাতে অসুবিধা
-
ক্ষুধামন্দা
-
ডায়রিয়া বা পেটে ব্যথা
-
বমি বমি ভাব এবং বমি
-
নাক দিয়ে সর্দি পড়া
মূলত ফ্লু হলে এসব সমস্যাই দেখা দেয়।
কিভাবে বুঝবেন আপনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন
করোনা ভাইরাস খুব অল্প সময়েই বিস্তার ঘটিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে কোভিড-১৯ এর প্রোকোপ চলছে। করোনা ভাইরাস এবং ফ্লু এর মধ্যে বেশ মিল থাকার কারণে সহজে আলাদা করা যায় না যে রোগী করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত না কি ফ্লুতে আক্রান্ত।
এক নজরে করোনা ভাইরাসের লক্ষণগুলি-
-
প্রধাণ লক্ষণ হলো শুকনো কাশি ও জ্বর থাকবে। অনেক সময় গলা পরিষ্কার করতেও আমরা কাশি দিয়ে থাকি। কিন্তু এই কাশি স্বাভাবিক ভাবে শুরু হওয়া কোনো কাশি নয়। আবার ধুমপানের ফলে সৃষ্ট কাশিও নয়। এই কাশি হলো হাঁচি বা কাশির সময় কোনো শ্লেষা বা আঠালো পদার্থ থাকবে না, বিরামহীন ভাবে কাশি চলতেই থাকবে।
-
নাক দিয়ে সর্দি পড়বে না।
-
গলা ব্যাথা করে
-
মাথা ব্যাথা থাকে
-
শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়
-
ডায়রিয়া হয়
-
খাবারের গন্ধ পাওয়া যায় না
-
মুখের স্বাদ নষ্ট হওয়া
-
শরীররে বা মাসেল ব্যাথা
তবে করোনা ভাইরাসের এসব লক্ষণ দেখা দিতে কমপক্ষে দুই দিন সময় লেগে যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় লাগে ।
করোনা ভাইরাস ও ফ্লু এর মধ্যে পার্থক্য
১) উপসর্গ অনুসারে
ফ্লু এবং করোনভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে দুটি স্বতন্ত্র পার্থক্য রয়েছে যা করোনা ভাইরাস সৃষ্টি করে।
স্বাদ এবং গন্ধ না পাওয়া
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায় এবং যাদের ফ্লু আছে তাদের মধ্যে দেখা যায় না।
নিউইয়র্ক প্রেসবিটেরিয়ান ব্রুকলিন মেথডিস্ট হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক ডাঃ টিং টিং ওং বলেন, "ফ্লু এবং কোভিড-১৯ এর মধ্যে পার্থক্য করার জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য,"।
যদিও এটি সমস্ত রোগীর মধ্যে প্রকাশ নাও হতে পারে (প্রায় ৩৮% থেকে ৫৫% রোগী ক্ষতির কথা জানিয়েছেন স্বাদে এবং প্রায় ৪০% রিপোর্ট করেছেন গন্ধ না পাওয়া নিয়ে), এই নির্দিষ্ট লক্ষণটি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দুই দিন থেকে উপসর্গ শুরু হওয়ার ১৪ দিন পর্যন্ত যে কোনও সময় আসতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী উপসর্গ
রোগীদের মধ্যে লক্ষণগুলি যেভাবে দেখা দেয় তা অনেকটা আলাদা। ফ্লু এবং কোভিড-১৯ উভয়ই কাশি এবং শ্বাসকষ্টের কারণে হয়ে থাকে। তবে সামগ্রিকভাবে, কোভিড-১৯ উপসর্গগুলি ফ্লুর থেকে বেশি সময় পর্যন্ত থাকে।
"এগুলি মাস না হলেও কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে ," ডাঃ ওং বলেছেন। শ্বাসকষ্ট পরবর্তীতে কোভিড-১৯-এর সাথেও আসতে পারে এবং ফ্লুর চেয়ে বেশি তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
এছাড়াও কোভিড-১৯ এর সাথে সম্পর্কিত লক্ষণগুলির কিছু নতুন লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়েছে। সেগুলো হলো-
লাল, ফোলা চোখ
মাঝেমধ্যে কিছু কোভিড-১৯ রোগীর চোখ লাল এবং চোখ ফোলার খবর পাওয়া যায়, যা দেখতে কনজেক্টিভাইটিস (বা গোলাপী চোখের) মতো হয়ে থাকে।
এই বিষয়ে ডাঃ ওং বলেছেন, "এটি এমন একটি উপসর্গ যা করোনাভাইরাসের অন্যান্য স্ট্রেনের সাথে আসতে পারে, তাই বিশেষভাবে কোভিড-১৯ এর জন্য একটি স্বতন্ত্র ফ্যাক্টর না হলেও, এটির জন্য সতর্ক থাকতে হবে,"
চামড়ায় ফুসকুড়ি
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত কিছু ব্যক্তির ফুসকুড়ি হতে পারে। যদিও প্রাপ্তবয়স্কদের এবং শিশুদের মধ্যে ত্বকের উপসর্গগুলি পাওয়া যায়, কিন্তু প্রাপ্তবয়স্কদের উপর তা বেশি হয়।
২০২০ সালের এক প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ২২৬১ জনের প্রায় ১ শতাংশের মধ্যে ত্বকের লক্ষণগুলির প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।
অনেকগুলি কোভিড-১৯ ফুসকুড়ির সাথে সম্পর্কিত কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে-
ত্বকের বিবর্ণতা
ফুসকুড়ি সাধারণত পার্শ্ববর্তী ত্বকের তুলনায় বিবর্ণ হয়। হালকা ত্বকে, একটি ফুসকুড়ি লাল, গোলাপী বা বেগুনি দেখতে হতে পারে। গাঢ় ত্বকে, এটি বেগুনি, ছাই ধূসর বা গাঢ় বাদামী দেখতে হতে পারে।
ত্বক ফোলে যাওয়া
আক্রান্ত স্থানটি আশেপাশের ত্বকের তুলনায় ফোলা বা ফোলা দেখাতে পারে।
চুলকানি
অনেক ক্ষেত্রেই কোভিড-১৯ এ ফুসকুড়িগুলি চুলকাতে পারে।
তবে শুধুমাত্র উপসর্গগুলি দেখে ফ্লু এবং কোভিড-১৯ এর মধ্যে পার্থক্য করা ঠিক হবেনা কারণ তাদের কিছু একই লক্ষণ রয়েছে। সেজন্য অসুস্থতা কী তা জানাতে এবং রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করার জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।
২) আক্রান্ত ব্যক্তি কত দিন পর্যন্ত ভাইরাস ছড়াতে পারে
ফ্লুতে আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকই উপসর্গ প্রকাশের ১ দিন আগ থেকেই সংক্রামক থাকে। ফ্লুতে আক্রান্ত বয়স্ক শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা তাদের অসুস্থতার প্রথম ৩-৪ দিনে সবচেয়ে সংক্রামক বলে মনে হয়, তবে অনেক লোক প্রায় ৭ দিন পর্যন্ত সংক্রামক থাকে। শিশু এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের লোকেরা আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য সংক্রামক হতে পারে।
কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে, গড়ে লোকেরা তাদের লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার ২-৩ দিন আগে ভাইরাস ছড়াতে শুরু করতে পারে, তবে লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার ২ দিন আগে সংক্রামকতা শীর্ষে পৌঁছে যায়। এবং গড়ে আক্রান্ত ব্যক্তি তাদের লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার আরও ৮ দিন পরেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে দেওয়া চালিয়ে যেতে পারে।
৩) সংক্রমণের পরে কতক্ষণ পর লক্ষণগুলি দেখা যায়
ফ্লুর ক্ষেত্রে, সাধারণত একজন ব্যক্তি সংক্রমণের ১ থেকে ৪ দিনের মধ্যে যেকোনো জায়গায় উপসর্গ অনুভব করতে পারে।
আর করোনার ক্ষেত্রে, সাধারণত একজন ব্যক্তি সংক্রমণের ২ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে যেকোনো জায়গায় উপসর্গ অনুভব করতে পারে।
করোনা ভাইরাস ও ফ্লু প্রতিরোধের উপায়
ভ্যাকসিন
করোনা ভাইরাস ও ফ্লু প্রতিরোধে যত দ্রুত সম্ভব কোভিডের ভ্যাকসিন নিয়ে নিতে হবে। বর্তমানে ফ্লু এবং কোভিডের ভ্যাকসিন দেশে দেশে পাওয়া যাচ্ছে। ফ্লু বেশ পুরোনো ভাইরাস হলেও করোনা নতুন। যে কারণে ফ্লুর অসংখ্য প্রমাণিত টিকা রয়েছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে বিভিন্ন দেশের দ্বিমত রয়েছে। যার কারণে একেক দেশে একেক টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে ২০২১ সালের মে মাসে সিনোফার্ম এবং জুন মাসে ফাইজারের করোনা ভাইরাস টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয়। সিনোফার্ম চিনের তৈরী টিকা এবং ফাইজার আমেরিকায় তৈরী টিকা। তাছাড়া মর্ডানা, এস্ট্রোজেনিকার টিকাও দেওয়া হচ্ছে। শুরুতে এক মাস পর পর দুটি করোনা টিকার ডোজ দেয়া হলেও বর্তমানে বুস্টার ডোজ তথা তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ডোজ এর কমপক্ষে ছয় মাস পর দেওয়া হচ্ছে তৃতীয় ডোজ।
তবে অন্যদিকে যেহেতু বর্ষা ও শীতকালের দিকে ফ্লু বেশি ছড়ায় তাই প্রত্যেকের উচিত হবে এই সময়টায় ফ্লুর টিকা নেওয়া। কেননা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অনেক স্ট্রেন আছে, এবং ভাইরাসটি প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে, তাই প্রতি বছরই ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে রোগীর উচিৎ ১৪ দিন আইসেলোশনে থাকা এবং সম্ভব হলে টিকা নেওয়া।
বিশেষ সতর্কতা
-
বাড়ির বাইরের কারও সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ (৬ ফুট বা ২ মিটারের মধ্যে) এড়িয়ে চলতে হবে, বিশেষ করে যদি গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি বেশি থাকে
-
পাবলিক স্পেসে ফেস মাস্ক পরা
-
আপনি যদি এমন একটি এলাকায় থাকেন যেখানে বেশি সংখ্যক নতুন COVID-19 কেস আছে, জনাকীর্ণ এলাকায় বাইরে মাস্ক পরেন বা যখন আপনি সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া হয়নি এমন অন্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে থাকেন
-
কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান এবং পানি দিয়ে প্রায়শই হাত ধোয়া, বা অ্যালকোহল ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে
-
যেখানে লোকজনের অনেক ভিড় থাকে তা এড়িয়ে চলতে হবে
-
কাশি বা হাঁচির সময় কনুই বা টিস্যু দিয়ে মুখ এবং নাক ঢেকে রাখতে হবে
-
ঘন ঘন চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলতে হবে
-
নিয়মিত দরজার হাতল, লাইট সুইচ, ইলেকট্রনিক্স এবং কাউন্টারগুলির মতো উচ্চ স্পর্শ পৃষ্ঠগুলি পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে
সচেতনতা
কোভিড-১৯ তথা করোনা ভাইরাস ও ফ্লু থেকে রক্ষা পেতো সচেতনতার অন্ত নেই। সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, মাস্ক পরিধান, দুরত্ব বজায় রাখা করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার টোটকা হলেও ফ্লু এর জন্যও সমান কার্যকরী।
শেষ কথা
শরীর সুস্থ থাকলে মন সুস্থ থাকে আবার মন সুস্থ থাকলে শরীর সুস্থ থাকে। তাই শরীর ও মন উভয়ের সুস্থতা জরুরী। শরীরের এই সুস্থতার জন্য ফ্লু ও করোনা ভাইরাস থেকে সচেতন থাকতে হবে। একই উপসর্গ থাকলেও দুটো ভিন্ন ধরণের ভাইরাস। তাই আসুন নিজে সচেতন থাকার পাশাপাশি অন্যকে সচেতন করে সুস্থ ভাবে জীবন যাপন করি।