আলসারেটিভ কোলাইটিসঃ বিপদে পড়ার আগেই হোন সতর্ক

পরিপাক তন্ত্রের রোগ গুলোর মধ্যে আলসারেটিভ কোলাইটিস খুব বেশি লক্ষ করা যায়। যদিও রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় তেমন তীব্র সমস্যার সৃষ্টি করে না তবুও, অবহেলা করলে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ ও বিভিন্ন শারিরীক জটিলতার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

আলসারেটিভ কোলাইটিস একটি বৃহদন্ত্রের (পরিপাকতন্ত্রের একটি অঙ্গ) প্রদাহ জনিত রোগ, যেখানে বৃহদন্ত্রের দেওয়ালে ক্ষত বা ঘায়ের সৃষ্টি হয়। আলসারেটিভ কোলাইটিস বৃহদন্ত্রের যেকোন জায়গায় সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু মূলত সব ধরণের আলসারেটিভ কোলাইটিসেই রেক্টাম বা মলদ্বারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। রেক্টাম হলো আমাদের বৃহদন্ত্রের শেষ অংশ। অন্ত্রের এই প্রদাহের ফলে পরিপাকদন্ত্র খুব বেশি নড়াচড়া করে, বারবার পায়খানা লাগে অথচ সামান্য পায়খানা হয়।  বৃহদান্ত্রের কোষগুলো মরে গিয়ে সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয় পায়খানার সাথে রক্ত, পুঁজ বা মিউকাস পড়তে পারে।

আলসারেটিভ কোলাইটিস এর উপসর্গ

এ রোগের উপসর্গ ব্যক্তিভেদে ও রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। অনেক সময় কোন উপসর্গ ছাড়াই এ রোগটি হতে পারে আবার বারবার উপসর্গ ফিরে আসতে পারে। যা হোক, চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক,

পেটে ব্যথা

পেটে ব্যথা আলসারেটিভ কোলাইটিস এর একটি অন্যতম উপসর্গ। যদিও সব সময় পেটে ব্যথা হবে তাও নয়। পায়খানার সময়ও ব্যথা নাও থাকতে পারে। মূলত কখন ব্যথা বা অস্বস্তি হবে তার নির্দিষ্ট কোন ছক নেই।

পেটের ভেতর গুড়গুড় আওয়াজ করা ও নড়াচড়া করা

পেটের ভেতর সময় সময় গুড়গুড় আওয়াজ ও নড়াচড়া টের পাওয়া যেতে পারে। 

পায়খানায় রক্ত আসা ও নিয়ন্ত্রনহীনতা

এ রোগে খুব ঘন ঘন পায়খানা চাপতে পারে। কিন্তু টয়লেটে গেলে খুব সামান্য পরিমান পায়খানা হয় আবার সময়-সময় হয়ও না। কিন্তু তারপরও যেন মনে হয় পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয়নি। আবার পায়খানার চাপ অসহনীয় ভাবে আসে, যেন চেপে রাখা সম্ভব হবে না। প্রতি ক্ষেত্রেই পায়খানায় রক্ত, মিউকাস ও পুঁজ আসতে পারে।

ডায়রিয়া

আলসারেটিভ কোলাইটিস এর একটি অতি সাধারণ উপসর্গ হলো ডায়রিয়া। প্রায় নব্বই শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এটি হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডায়রিয়ার সাথে রক্ত আসে। এ রোগে খুব ঘনঘন পায়খানা পায় কিন্তু সামান্য পরিমান পায়খানা হয়ে থাকে। পায়খানার সাথে মিউকাস ও পুঁজও দেখা যেতে পারে। রাতের বেলায় বেশি ঘনঘন পায়খানা লাগতে পারে। প্রথমিক ক্ষেত্রে খুব একটা রক্ত না গেলেও এ রোগের পরবর্তি ধাপ গুলোতে রক্ত পাতের পরিমান বেড়ে গিয়ে রক্ত শুন্যতা ঘটাতে পারে।

জ্বর

আলসারেক্টিভ কোলাইটস হলে অনেক ক্ষেত্রে মাঝামাঝি ধরনের জ্বর হতে দেখা যায়।

ওজন হ্রাস

এ রোগে দেহের রক্তক্ষরণ ও অতিরিক্ত শক্তি রক্ত উৎপাদনে ব্যবহার হওয়া ও ক্ষুধা মন্দার মত কারণে ওজন হ্রাসের মত উপসর্গ দেখা দেয়।

অ্যানিমিয়া

অ্যানিমিয়া মূলত কোন উপসর্গ নয়। কিন্তু শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হলে অ্যাননিমিয়া হতে পারে। এই রোগটি হয় যখন শরীরের লোহিত রক্ত কনিকার সংখ্যা হ্রাস পায়। যার কারণে লোহিত রক্ত কনিকা তৈরিতে শরীরে প্রচুর পরিমানে আয়রন দরকার হয়। ফলে শরীরে আয়রনের মাত্রা কমে যায়, সাথে সাথে অ্যানিমিয়া রোগের লক্ষনগুলোও যোগ হয়।

আরো কিছু বিরল উপসর্গ রেগীদের ভেতরে দেখা যায়। যেমন,

  • হাত ও পায়ের গিরায় ব্যথা

  • চর্মরোগ

  • ক্ষুধা মন্দা

  • মুখে ঘা হওয়া

  • চোখ জ্বালা করা

সতর্কতা সংকেত

পায়খানা থেকে যে কোন রকম রক্ত পড়লেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে দেরী করা উচিৎ না। পাতলা পায়খানা, সাথে মলের সাথে রক্ত যাওয়ার লক্ষনটি আলসারেটিভ কোলাইটিস এর সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। যদি মলের সাথে অতিরিক্ত রক্ত আসছে মনে হয়, দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।

প্রকারভেদ

ডাক্তারেরা সাধারণত আলসারেটিভ কোলাইটিস এর অবস্থানের উপর ভিত্তি করে একে কয়েকটি ভাগে ভাগ করেন।

আলসারেটিভ প্রোসাইটিস (Ulcerative proctitis)

শুধু যদি মলদ্বারের উপররের অংশে আলসার হয় তবে তাকে Ulcerative prictitis বলে। সকল আলসারেটিভ কোলাইটিস শুরু হয় মলদ্বারের শেষভাগ থেকে এবং তা আস্তে আস্তে উপরের দিকে আসতে শুরু করে। 

প্রক্টোসিগমইডিটিস (Proctosigmoiditis)

আলসারেটিভ কোলাইটিস যখন রেক্টাম ও বৃহদন্ত্রের শেষের দিকে কিছুটা অংশ জুড়ে হয়।

লেফট সাইড কোলাইটিস (Left-sided colitis)

যখন মলদ্বারের আগ থেকে অর্ধেকটা বৃহদন্ত্র আক্রান্ত্র হয়।

প্যানকোলিটিস (Pancolitis)

যখন পুরো বৃহদন্ত্রই আলসারেটিভ কেলাইটিস স্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

আপনার মলত্যাগের অভ্যাসে যদি হঠাৎ স্থায়ী পরিবর্তন দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিম্নোক্ত উপসর্গ গুলো থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন,

  • পেটে ব্যাথা

  • মলের সাথে রক্ত যাওয়া

  • ডায়রিয়া হওয়া ও সাধারণ পেট খারাপের ঔষধে না সারা।

  • বারবার মাঝরাতে পায়খানার চাপে ঘুম ভাঙা।

  • হঠাৎ দুই দিনের বেশি জ্বর।

যদিও আলসারেটিভ কোলাইটিস প্রাণঘাতী নয়, তবুও এটি কিছু মারাত্বক কিছু রোগের জন্ম দিতে পারে। তাই এ নিয়ে কোন অবহেলা নয়।

আলসারেটিভ কোলাইটিস কি ক্রোনিক ডিজিজ?

ক্রোনিক ডিজিজ হলো যে রোগ গুলো দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে অবস্থান করে ও সারিয়ে তোলা সময় সাপেক্ষ। আলসারেটিভ কোলাইটিসও তেমনই একটি রোগ। এটির উপসর্গ চলে গিয়ে আবার দীর্ঘ সময় পরে চলে আসতে পারে।

আলসারেটিভ কোলাইটিস কেন হয়?

আলসারেটিভ কোলাইটিস এর আসল কারণ শতসিদ্ধ ভাবে আবিষ্কার করা সম্ভব হয় নি। কিন্তু কি ধারণা করা হয়, কিছু কিছু শরীরবৃত্তিয়, জিনগত ও পরিবেশ-জীবনপদ্ধতি গত কারণে আলসারেটিভ কোলাইটস হয়ে থাকতে পারে। একটু বিস্তারিত জানা যাক,

ব্যাক্টেরিয়া ও প্রতিরোধ ব্যাবস্থা:

আমাদের শরীরে ব্যাক্টিরিয়া অনুপ্রবেশ আটকাতে অনেক রকম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আছে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে এ রোগের ক্ষেত্রে ইমিউন সিস্টেম ব্যাক্টেরিয়াককে আক্রমণ না করে উল্টো অন্ত্রের দেওয়ালের কোষকেই আক্রমন করে বসে। কেন এমন হয় সেটা এখনো অজানা।

জিনগত

আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগটির সাথে জিনগত সম্পর্ক থাকতে পারে। পরিবারের কারো এই রোগটি হয়ে থাকলে অন্যান্য সদস্যদের এই রোগটি হবার সম্ভাবনা একটু বেড়ে যায়। যদিও আমেরিকার একটা গবেষণায় জানা গেছে, এ রোগে আক্রান্ত ১২ শতাংশ মানুষের পরিবারে কেউ না কেউ পরিপাকতন্ত্রের অস্বাভাবিকতা বা রোগে ভুগেছেন। যদিও বিভিন্ন ভৌগলিক ভাবে এটি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জনিত সমস্যা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জনিত সমস্যা হলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্ত্রের প্রয়োজনীয় কোষগুলোকে আক্রমন করে।

পরিবেশ ও জীবনপদ্ধতি

অতিরিক্ত ক্ষতিকর ব্যাক্টেররিয়া আমাদের অন্ত্রে বাসা বাঁধলে তা দেহের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাকে দুর্বল করে তোলে। অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়মিত জীবনধারণ এ রোগের একটি কারণ হতে পারে।

আলসারেটিভ কোলাইটিস এর সাথে ঘুমের সম্পর্ক

গবেষণায় জানা গেছে যারা দিনে ৬ ঘন্টার কম বা ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমান, তাদের আলসারেটিভ কোলাইটিস হবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। অনিয়মিত ঘুমও শরীরের বায়োলোজিক্যাল ঘড়িতে অসামঞ্জস্যতা তৈরি করে ফলে হরমোনে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। তাই ঘুমের পরিমান ও ঘুমানোর সময় কঠোর ভাবে মেনে চলা উচিৎ।

আলসারেটিভ কোলাইটিস কাদের বেশি হয়?

যে কোন বয়সেই আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগটি হতে পারে তবে বয়সন্ধি থেকে ৩৫ বছর বয়সী রোগীর ক্ষেত্রে এ রোগটি হতে দেখা যায়। সবগুলো মহাদেশে, জাত বর্ণ নির্বিশেষে এ রোগটি একটি সাধারণ পরিপাক তন্ত্রের সমস্যা যদিও সাদা মানুষদের এ রোগটি হওয়ার হার অন্যান্যদের চেয়ে বেশি। এ রোগটি দ্বারা সবচেয়ে বেশি হারে  আক্রান্ত হয় ইহূদীরা।

আলসারেটিভ কোলাইটিসে কী কী ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে?

আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগের কারণে পরবর্তি জীবনে কিছু শারিরীক জটিলতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন,

প্রাইমারি স্ক্লেরোসিং কোলানজিটিস (Primary Sclerosing Cholangitis)

এটি একটি বৃহদান্ত্র সরু হয়ে যাওয়া জনিত রোগ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি পুরুষ রোগীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এবং এই রোগটি লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে।

কোলন ক্যান্সার

আলসারেটিভ কোলাইটিস কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা মারাত্বক ভাবে বাড়িয়ে তোলে যদিও সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত চেকাপ এর মাধ্যমে ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা যায়।

টক্সিক মেগাকোলন (Toxic Megacolon)

আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রোগীর ক্ষেত্রে টক্সিক মেগাকোলন রোগটি হতে দেখা যায়। এতে করে বৃহদান্ত্র আকারে অস্বাভাবিক আকারে বৃদ্ধি পায় ও পরিপাক তন্ত্রে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়ে রোগী মারাত্বক অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা

প্রথমেই ডাক্তার আপনার উপসর্গ গুলো দেখে কিছু টেস্ট করতে দেবেন। টেস্ট গুলোর মধ্যে থাকতে পারে,

১। রক্ত পরীক্ষা- শরীরে অ্যানিমিয়া আছে কিনা দেখার জন্য ও অক্সিজেন টিস্যুতে পৌছাচ্ছে কিনা তা নিরূপনে।

২। মল পরীক্ষা- মলে রক্তের ধরণ ও ইনফেকশনের ধরন নিরূপনে।

৩। কোলনোস্কপি- অন্ত্রের ভেতরের অবস্থা বোঝার জন্য এই টেস্ট করানো হয়।

তাছাড়া প্রয়োজনে, এক্সরে, সিটিস্ক্যান ও অন্যান্য টেস্ট করার প্রয়োজন পড়তে পারে।

আলসারেটিভ কোলাইটিস এর দুই ধরনের চিকিৎসা হতে পারে, একটি হলো ঔষধপত্র খেয়ে ঠিক হওয়া অন্যটি সার্জারি। কিছু ঔষধ কার্যকারী ভাবে এই রোগ সারাতে সাহায্য করে কিন্তু সবার ক্ষেত্রে সব ধরনের ঔষধ কাজ করে না। এজন্য আপনার জন্য সঠিক ঔষধটি পেতে একটু দেরী হতে পারে। রোগের অবস্থা বুঝে ডাক্তার দরকারী ঔষধ দেবেন, সেটি কাজ না করলে পাল্টে দেবেন বা প্রয়োজনে সার্জারীও করতে বলতে পারেন। কিছু ঔষধের বেশ কিছু পার্শপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তাই প্রতিটি ঔষধ জেনে বুঝে খাবেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ঔষধ গ্রহণ করবেন না।

আলসারেটিভ কোলাইটিস এর চিকিৎসায় চা এর ভূমিকা

আলসারেটিভ কোলাইটিস এর একটি সাময়িক চিকিৎসা হিসেবে চায়ের বেশ কদর রয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে হারবাল চা যেমন, গ্রিন টি, লেবু চা, আমলকি চা ইত্যাদি গ্রহণ করলে আলসারেটিভ কোলাইটিস এর উপকার হয়।

কী জীবনপদ্ধতি অনুস্বরণ করলে ঝুঁকি কমবে?

কিছু জীবনপদ্ধতি অসুস্বরন করে আলসারেটিভ কোলাইটিস এর ঝুঁকি কমানো যায়।

  • সারাদিন নিয়মিত বিরতিতে প্রচুর পানি পান করা। গবেষনায় এ রোগটির সাথে পানি কম খাওয়ার সংযোগ পাওয়া গেছে।

  • সারাদিন তিনবেলা ৩ টা বড় আহার না করে ছোট ছোট আহার পরিপাক তন্ত্রের উপর চাপ কমাবে।

  • ফাইবারকে প্রয়োজনীয় বলা হলেও এ রোগের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফাইবার জাতীয় খাবার হিতে বিপরীত করতে পারে। অতএব পরিমিত ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে।

  • যদি দুধ হজম করতে অসুবিধা হয় তাহলে দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার গ্রহণ বর্জন করতে হবে।

  • চর্বি জাতীয় খাবার বর্জন করা।

  • নিয়মিত ঘুমানো, ব্যায়াম ও শারিরীক পরিশ্রম করা দেহের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য

আলসারেটিভ কোলাইটিস কি শিশুদের হতে পারে?

হ্যাঁ  অনেক সময় এই রোগটি দশ বছরের নিচের শিশুদের ক্ষেত্রের দেখা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রে একই রকম উপসর্গ দেখা যায়।

আলসারেটিভ কোলাইটিস কি ছোঁয়াচে?

না, বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া রোগটি ছোঁয়াচে নয়। কিন্তু জেনেটিক ভাবেই একই পরিবারের ভিন্ন ভিন্ন সদস্য এই রোগটি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

আলসারেটিভ কোলাইটিস আপনার জীবনের উপর কি রকম প্রভাব ফেলতে পারে?

যে কোন দীর্ঘমেয়াদী রোগই রোগীর শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সময় সময় অনিশ্চিৎ ব্যথা, ডায়রিয়ার মত সমস্যা অনেক রোগীর কাছেই প্রচন্ড কষ্টকর। যদিও, যতাযথ ঔষধপত্র ও সঠিক জীবন পদ্ধতি মেনে চলে রোগী দ্রুতই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।

কোন কোন খাবার আলসারেটিভ কোলাইটিস প্রতিরোধে বর্জনীয়?

শিশু যদি ল্যাক্টোস ইনটলারেন্স বা দুধ হজম করতে না পারে তাহলে তাকে বুকের দুধ ড়া অন্যান্য দুধ জাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না। অতিরিক্ত, চা, এলকোহল, মশলাদার খাবার, ও একসাথে অত্যাধিক পরামাণ ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া বর্জন করতে হবে।

Default user image

দিগ্বিজয় আজাদ, লেখক, আস্থা লাইফ

আমি শিল্প সাহিত্যের লোক, একই সাথে বিজ্ঞানের কৌতুহলী ছাত্র। লিখালিখি আঁকাআঁকি করতে ভালোবাসি, পড়ালেখা করছি মাইক্রোবায়োলোজি নিয়ে। আস্থা ব্লগে কাজ করতে পেরে চরিত্রের দুটো দিকই যেন সমানভাবে সন্তুষ্ট হচ্ছে। চেষ্টা করি কত সহজে আপনাদের সামনে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা যায়। এবং এই প্রক্রিয়ায় যদি কেউ লাভবান হন, বা কিছু শিখতে যদি পারি সেই আমার পরম প্রাপ্তি। ব্যক্তিগত জীবনে শখের মিউজিশিয়ান। নেশার মধ্যে বই পড়া ও ঘুরে বেড়ানো।

Related Articles