দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়!

ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম খুব জটিল কোন রোগ না হলেও একে অবহেলা করা মানে দুরারোগ্য রোগে ধাবিত হওয়া। তাই এই রোগটি কি এবং এর থেকে আমরা কিভাবে পরিত্রাণ পেতে পারি তা বিস্তারিত জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরী।

অপনি কি প্রায়ই পেটে সমস্যা, অনিয়মিত পায়খানা ও পেটে অস্বস্তিতে ভোগেন? সাথে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটে ব্যথার মত উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরে পীড়া দিচ্ছে? এমন উপসর্গ যদি ৬ মাস বা তার অধিক সময় ধরে থাকে তাহলে খুব সম্ভব আপনি “Irritable Bowel Syndrome with Constipation (IBS-C)” অর্থাৎ “কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম (আইবিএস-সি)” নামক পরিপাকতন্ত্রের এক প্রকার অস্বাভাবিকতায় ভুগছেন। বাংলাদেশের প্রায় ১৫-২০ শতাংশ মানুষ এই রোগটিতে ভুগে আসছেন এবং তাদের অর্ধেক লোক জানেন না তারা “আইবিএস” এ আক্রান্ত। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক রোগটির উপসর্গ, প্রতিরোধ, প্রতিকার ও খুটিনাটি। যেন আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ আক্রান্ত হলে পরবর্তি করনীয় সম্পর্কে সচেতন হতে পারেন।

আইবিএস-সি একটি সাধারণ পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা যাতে শরীরের কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু পেটে ব্যথা, অস্বস্তি, কোষ্ঠকাঠিন্যের মত পীরাদায়ক উপসর্গ স্বাভাবিক জীবনধারা ও মানসিক স্বাস্থ ব্যাপকভাবে ব্যাহত করতে পারে। পুরুষের চেয়ে নারীদের এই রোগে ২-৩ গুণ বেশি ভুগতে দেখা যায়। ১৮-৪০ বছর বয়সীদের মধ্যে IBS-C হওয়ার প্রবণতা বেশি।

 

আইবিএস এর প্রকারভেদ

আইবিএস তিন ধরণের হয়ে থাকে। 

১) আইবিএস-সি হলো ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম এর একটি প্রকারভেদ যেখানে দীর্ঘদিন পরিপাকতন্ত্রের অস্বস্তির সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। 

২) আইবিএস এর অন্য প্রকারভেদটি হলো Irritable Bowel Syndrome with diarrhea (IBS-D) বা ডায়রিয়া জনিত ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম (আইবিএস-ডি) । আইবিএস-ডি তে পেটে ব্যাথা, পেট ফাঁপার মত উপসর্গের সাথে পাতলা পায়খানা হতে দেখা যায়। 

৩) আরেক ধরণের আইবিএস এ মাঝে মাঝে ডায়রিয়া ও মাঝে মাঝে কোষ্ঠকাঠিন্য দুটোই দেখা যায়, একে আইবিএস-এম (IBS-M) বলে।

 

আইবিএস-সি এর উপসর্গ গুলো কি?

কিছু উপসর্গ সবসময় IBS-C আক্রান্তদের মাঝে দেখা যায়। যেমন,

  • পেটে ব্যথা

  • পেট ফুলে থাকা বা পেট ফাঁপা

  • পেটে গ্যাস হওয়া

  • পেটের ভেতর ভারী বোধ করা

  • কোষ্ঠকাঠিন্য; সপ্তাহে তিন বার বা তার কম পায়খানা হওয়া।

  • পেটের ভেতর গুড়গুড় শব্দ হওয়া

  • পায়খানা কষ্টকর হওয়া এবং শেষ হবার পরও পায়খানা সম্পন্ন হয়নি বোধ করা।

কিছু উপসর্গ রোগী ও ক্ষেত্র বিশেষে দেখা দিতে পারে, তবে উপসর্গ গুলো IBS সম্পর্কীত তার শত ভাগ নিশ্চয়তা নেই। যেমন,

  • বমিভাব

  • ক্ষুধামান্দ্য

  • ঢেকুর

  • মাথা ব্যাথা

  • অনিদ্রা

উপসর্গ গুলো মাঝে মাঝে চলে গিয়ে ফিরে আসতে পারে। তবে মাসে কমপক্ষে তিনবার, ছয় মাস যাবৎ পেটে ব্যাথা সাথে অনিয়মিত পায়খানা হলে IBS রোগী বলে ধরা হয়।

 

আইবিএস-সি হবার কারণ গুলো কি কি?

IBS-C ঠিক কি কারণে হয়, সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব হয় নি। চিকিৎসা বিজ্ঞান এই রোগের কারণ স্পষ্ট করে না বলতে পারলেও বেশ কিছু সূত্র রয়েছে যার কারণে এই রোগটি হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়। রোগটি সৃষ্টিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা শরীরবৃত্তিয় কারণের পাশাপাশি মনোবৃত্তিয় কারণ গুলোকেও সমান প্রাধান্য দিয়েছেন।

 

শরীরবৃত্তিয় কারণ সমুহ

  • ক্ষুদ্রান্তের পথ সরু হওয়া

কোন কারণে ক্ষুদ্রান্তের পথ সরু হয়ে গেলে তা খাদ্য ও পরিশিষ্ট চলাচলের পথে বাধার সৃষ্টি করে। এই বাঁধা কোষ্ঠকাঠিন্যে রূপ নেয় ও পেটে ব্যাথার সৃষ্টি করে।

  • অন্ত্রে উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হওয়া

আমাদের পরিপাকতন্ত্রে রয়েছে কিছু উপকারী ব্যাক্টেরিয়া যারা আমাদের খাবার পরিপাকে সহায়তা করে থাকে। এই ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বা হ্রাস পেলে পরিপাকতন্ত্রের স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়।

  • মস্তিষ্ক ও পরিপাকতন্ত্রের ভেতর সমন্বয়ে সমস্যা হওয়া

মাদক সেবন, বিশৃঙ্খল জীবনযাপনের কারণে মস্তিষ্কের সিগনালিং এ সমস্যা তৈরি হয়। যেখানে মস্তিষ্ক ঠিকভাবে পরিপাকতন্ত্রের অংশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

  • পারিবারিক বা জীনগত ভাবে

IBS-C রোগটি পারিবারিক ভাবে হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে কিছু চিকিৎসাবিদ একমত হয়েছেন। অর্থাৎ পরিবারের কেউ এই রোগে আক্রান্ত হলে অন্যদেরও হবার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

 

মনোবৃত্তিয় কারণ সমূহ

  • দুশ্চিন্তা

  • বিষন্নতা

  • হতাশা, মানসিক চাপ ইত্যাদি।

মানসিক স্বাস্থের সাথে আইবিএস-সি রোগটির সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। খুব বিষন্নতা ও হতাশার কারণে রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। মানসিক চাপ মস্তিষ্কের সাথে পরিপাকতন্ত্রের সিগনালিং এ বাঁধা সৃষ্টি করে যার কারণে পরিপাকতন্ত্রে জটিলতা দেখা দেয়। রোগটি দীর্ঘকাল ধরে পেটের পীড়া অস্বস্তি ঘটিয়ে থাকে, তাই রোগী দিনদিন হতাশ হয়ে পড়েন ও বিভিন্ন রোগের সম্ভাবনার কথা ভেবে আতঙ্কিত হন। যার ফলে দিন দিন অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে।

 

জীবন যাপনের ধরণ IBS-C রোগের কারণ হতে পারে কি?

জি হ্যাঁ। বিশৃঙ্খল জীবন যাপন আইবিএস-সি এর একটি বড় কারণ বলে বিবেচিত। সময় মত আহার গ্রহণ না করা, কিংবা অতিরিক্ত রাত জাগার মত অভ্যাসও রোগটির জন্য দায়ী। মাদক দ্রব্য গ্রহণও এই রোগ সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের দেশের খাদ্যাভাসকেও অনেক ক্ষেত্রে দায়ী করা হয়। অতিরিক্ত তেল, মশলা যুক্ত খাবার পরিপাক তন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু সমস্যাটি শুধু আমাদের দেশে নয়, পশ্চিমা বিশ্বেও ৭-২১ ভাগ মানুষ আইবিএস রোগে ভোগেন।

 

যেভাবে আইবিএস-সি রোগটির চিকিৎসা করা হয়

পূর্বে উল্লেখ করেছি, যদি মাসে অন্তত তিনবার পেটে ব্যথা, পেট ফাঁপা, অস্বস্তি সহ কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা হয়,উপসর্গ তবে ধরে নেওয়া হয় তাহলে রোগী IBS-C তে ভুগছেন। সেক্ষেত্রে ৪০ বছরের নিচের রোগীকে উপসর্গ দেখে চিকিৎসা করা হয়। সাধারণত কোন প্রকার পরীক্ষা-নীরিক্ষা দরকার পরে না। কিন্তু চল্লিশের উপরে বয়স হলে, কোলনোস্কপি, মল পরীক্ষা ইত্যাদি করার প্রয়োজন পড়তে পারে।

IBS-C রোগে সম্পুর্ণ ভাবে সুস্থ হওয়া যায় কি-না এ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সকল চিকিৎসাবিদ একমত যে, সঠিক চিকিৎসা ও জীবন ধারার পরিবর্তন এই সমস্যাকে প্রায় না থাকার মত নিয়ন্ত্রণযোগ্য করে তোলে।

বেশিরভাগ IBS-C রোগী এটাকে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা ভেবে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিয়েই গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবন করে থাকেন। এতে করে মানসিক ভাবে একটু আশ্বস্ত হওয়া গেলেও মূল সমস্যা থেকেই যায়। এভাবেই বছরের পর বছর বহু মানুষ আইবিএস-সি এর চিকিৎসা না করেই চলছেন। বলাই বাহুল্য, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা উচিৎ নয়।

চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তার সর্বপ্রথম রোগীকে মানসিক ভাবে আশ্বস্ত করে থাকেন। বোঝানোর চেষ্টা করেন, IBS কোন কঠিন অসুখ না, এবং এতে করে শরীরের মারাত্বক কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই। রোগীকে আঁশ যুক্ত প্রচুর পরিমানে শাক সবজি খাওয়া ও নিয়ম মাফিক চলার পরামর্শ দেন। মানসিক স্বাস্থের উন্নয়ন ঘটায় এমন যেকোনো কিছু, যেমন ব্যায়াম, ধ্যান ইত্যাদি IBS প্রতিকারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এর পরও সমস্যা থাকলে ইশপ গুলের ভুষি কিংবা এজাতীয় ঔষধ (Pro-secretory agents) দিয়ে থাকেন।

কিছু ক্ষেত্রে রোগীকে অ্যান্টিস্পাসমডিক জাতীয় ঔষধ দেওয়া হয়, যা পরিপাকতন্ত্রকে আরাম দেয়। কিছু ব্যায়াম ব্রেন ও পরিপাকতন্ত্রের সমন্বয় সাধন করে। বিষন্নতা কাটাতে কিছু অ্যান্টিডিপ্রেশন ঔষধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শে।

 

আইবিএস-সি হলে যা এড়িয়ে চলবেন

  • অ্যালকোহল

  • ক্যাফেইন

  • কার্বনেট পানীয়

  • চিনি

এসব জাতীয় খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ IBS এর জন্য ক্ষতিকর হয়ে থাকে। অ্যালকোহল ও সকল প্রকার ড্রাগ সম্পুর্ণ বর্জনীয়। চা কফি পান করা থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকতে হবে। সাথে কার্বনেট পানীয় সহ উচ্চ চিনি যুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

উচ্চ ‘এফওডিএমএপি’ (FODMAP) যুক্ত খাবার গ্রহণ আইবিএস-সি এর জন্য ক্ষতিকর। সহজ ভাষায় FODMAP হল পচনশীল কার্বহাইড্রেট যা পাকস্থলিতে সহজে শোষিত হয় না। এজাতীয় খাবার হজম করতে পরিপাকতন্ত্রের উপর চাপ পড়ে যা আইবিএস-সি বেড়ে যাবার একটি অন্যতম কারণ। নিচে কিছু প্রচলিত উচ্চ FODMAP যুক্ত খাবারের তালিকা দেওয়া হলো,

  • আটা

  • পেঁয়াজ

  • রসুন

  • আপেল

  • আম

  • তাল

  • তরমুজ

  • মাশরুম

  • কর্ণ সিরাপ

  • মধু

  • দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য

আটা বা গমের তৈরি খাবার উচ্চ FODMAP যুক্ত সবচেয়ে প্রচলিত খাবার। সাথে আম, তাল, তরমুজের মত ফলেও প্রচুর ফ্র্রুক্টোজ থাকায় এসব বর্জনীয়। দুধ ও দুগ্ধজাত সকল পণ্য যেমন দই, মাখন, ঘি, পনির খাওয়া সম্পুর্ণ নিষেধ।

 

মানসিক স্বাস্থের যত্ন নেবেন যেভাবে

  • সুশৃঙ্খল জীবন যাপন মানকে প্রফুল্ল রাখতে সহায়তা করে। নিয়মিত ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করবেন।

  • ভ্রমণ, খেলাধুলা সহ বিনোদন মূলক কাজে অংশ নিন।

  • অলসতা পরিহার করে কাজে ব্যাস্ত থাকুন।

  • নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরচর্চা ও ধ্যান করুন।

 

আইবিএস-সি যেভাবে প্রতিরোধ করবেন

এই রোগটি কিশোর বয়স থেকে শুরু করে যেকোনো সময়ই হতে পারে। তাই যারা সুস্থ আছি তাদের অবহেলা করার অবকাশ নেই। সঠিক খাদ্যাভাস ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন সুস্থ থাকার অন্যতম নিয়ামক। নিয়মিত প্রচুর পরিমাণ পানি পান, সাথে শারিরীক পরিশ্রমের মাধ্যমে IBS ছাড়াও আরও অনেক শারিরীক জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। আসুন জেনে নেই কিছু উপায়-

ফাইবার বা আঁশ যুক্ত খাবার বেশি করে খাবেন

ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য হ্রাস করতে সহায়তা করে তবে গ্যাস এবং ক্র্যাম্পিংকে আরও খারাপ করতে পারে। আপনার ডায়েটে ফাইবারের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ানোর চেষ্টা করুন। যেমন- পুরো শস্য, ফলমূল, শাকসবজি এবং মটরশুটি জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

সমস্যাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

যেসব খাবার আপনার আইবিএস-সি এর লক্ষণগুলির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় সেগুলি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

সময়মত খেতে হবে

খাবার এড়িয়ে চলবেন না, এবং অন্ত্রের ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

নিয়মিত অনুশীলন আপনার হতাশা এবং চাপ উপশম করতে সাহায্য করে, আপনার অন্ত্রের স্বাভাবিক সংকোচনের উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে এবং আপনাকে নিজের সম্পর্কে আরও ভাল বোধ করতে সহায়তা করতে পারে।

 

পরিশেষে, আইবিএস-সি কোন মারাত্মক ব্যাধি নয়, তবে এটি কিন্তু অবহেলা করা উচিৎ নয়। একটু ধৈর্যের সাথে ডাক্তারের পরামর্শে চলে খুব দ্রুতই আপনি ফিরে আসতে পারেন নির্ঝঞ্ঝাট কর্মময় জীবনে।

 

পাইলস থেকে মুক্তি পেতে কি করবেন?


ডায়াবেটিসে ভয় নয়, সচেতন হোন ও জীবনকে উপভোগ করুন!

Default user image

দিগ্বিজয় আজাদ, লেখক, আস্থা লাইফ

আমি শিল্প সাহিত্যের লোক, একই সাথে বিজ্ঞানের কৌতুহলী ছাত্র। লিখালিখি আঁকাআঁকি করতে ভালোবাসি, পড়ালেখা করছি মাইক্রোবায়োলোজি নিয়ে। আস্থা ব্লগে কাজ করতে পেরে চরিত্রের দুটো দিকই যেন সমানভাবে সন্তুষ্ট হচ্ছে। চেষ্টা করি কত সহজে আপনাদের সামনে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা যায়। এবং এই প্রক্রিয়ায় যদি কেউ লাভবান হন, বা কিছু শিখতে যদি পারি সেই আমার পরম প্রাপ্তি। ব্যক্তিগত জীবনে শখের মিউজিশিয়ান। নেশার মধ্যে বই পড়া ও ঘুরে বেড়ানো।

Related Articles