অ্যালার্জি নাকি সাধারণ ঠান্ডা! বুঝবেন যেভাবে
আপনি কি জানেন অ্যালার্জি কেন হয়? কীভাবে বুঝবেন আপনি অ্যালার্জিতে ভুগছেন? অ্যালার্জির কত প্রকার হতে পারে? অ্যালার্জি অতি সাধারণ রোগ হলেও এর প্রতি অবহেলা আপনাকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করতে পারে। তাই হতে হবে সচেতন আর জানতে হবে অ্যালার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা কিভাবে করা যায়?
সুস্থ সবল রায়হানের শরীরে হঠাৎ ছোট ছোট লাল ছোপ দেখা গেলো। সেই সাথে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুলকানি শুরু হয়ে গেছে। কিভাবে এমনটা হলো ভাবতে গিয়ে মনে পড়লো দুপুরে ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খেয়েছে রায়হান।
ছোট ভাইকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছে শফিক। কিছুদূর যেতেই শফিকের অনবরত হাঁচি শুরু হলো। রাস্তায় থাকা ধুলো-বালির প্রভাবে এমনটা হচ্ছে শফিকের।
আবার, শহর কিংবা গ্রাম, রাস্তায় চলার পথে প্রত্যেকে নিশ্চয় শুনেছেন হকাররা প্রায় সময়ই "দাউদ, খোশ-পাঁচরা, চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে নিন এই মলম" এমন ধরণের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন।
সত্যিকার অর্থে এগুলো অ্যালার্জিরই রূপভেদ কিংবা ফলাফল। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এলার্জি কি, এলার্জি কেন হয়, এলার্জির প্রকারভেদ, ঘরোয়া চিকিৎসা সহ বিভিন্ন বিষয়ে জানবো।
অ্যালার্জি কেন হয়?
পরিবেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কিছু বস্তুকণা শরীরে ভেতর প্রবেশ করে শরীরে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে আর এই বিরুপ প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে একটির ফলাফল হলো অ্যালার্জি। সহজ ভাবে বলতে গেলে, মানুষের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটির একটি ফলাফল হলো অ্যালার্জি।
বিশ্বব্যাপীই এই রোগটির আধিক্য দেখা যায়। অ্যালার্জি কারো জন্য সামান্য ক্ষতিকর হিসেবে ধরা দেয় আবার কারো কারো জন্য অ্যানাফিল্যাক্সিসের মতো প্রাণঘাতি হয়েও আসে।
অ্যালার্জিকে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেননা বেশিরভাগ অ্যালার্জি পুরোপুরি ভাবে নিরাময় হয় না। অ্যালার্জি যে শুধু পরিবেশের প্রভাবেই হয় এমনটাও নয়, অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় বংশ পরম্পরায় অ্যালার্জি হয়ে থাকে।
যে সকল বস্তুর কারণে অ্যালার্জি হয় তাকে অ্যালার্জেন বলা হয়ে থাকে। অ্যালার্জিকে তাই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার বিরুপ একটি অবস্থা বলা হয়।
অ্যালার্জি কেন হয় এই প্রশ্নের উত্তরে বলতে হয়, আমাদের শরীরে অনেক ইমিউনোগ্লোবুলিন (প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন জাতীয় পদার্থ) আছে যা দেখতে অনেকটা ইংরেজি অক্ষর Y আকৃতির মত। এই প্রতিরক্ষামূলক প্রোটিন যাদের শরীরে বেশি থাকে তারা শরীরের বহিরাগত শত্রুকে চিনতে না পেরে স্বাভাবিক অবস্থা থেকে পরিবর্তিত হয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। আর এর ফলেই সৃষ্টি হয় অ্যালার্জি।
কীভাবে বুঝবেন আপনি অ্যালার্জিতে ভুগছেন?
আমরা অনেক সময় চিন্তিত হয়ে যাই আমাদের অ্যালার্জি হলো কি না! কেননা, প্রায় সময়ই বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায় অনেকের মধ্যে যেগুলো অ্যালার্জিকে ইঙ্গিত করে। তবে কিছু উপসর্গের মাধ্যমে বোঝা যায় অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছেন কি না। সেগুলি হচ্ছে-
-
হাঁচি
-
শ্বাস-কষ্ট
-
র্যাশ
-
চুলকানি
-
ত্বক চাকা হয়ে ফুলে যাওয়া
-
নাক দিয়ে পানি পড়া
-
নাক বন্ধ
-
চোখ জ্বালা করা
-
বুক থেকে সাঁসাঁ করে নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ
শরীরে এসব উপসর্গ দেখা দিলে ধরে নিতে হবে যে আপনি অ্যালার্জিতে ভুগছেন।
অ্যালার্জি নাকি সাধারণ ঠান্ডা?
প্রায়ই আমাদের নাক বন্ধ হওয়া, নাক দিয়ে পানি আসা, অনবরত হাঁচির মতো সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো অ্যালার্জি এবং ঠান্ডা দুটোরই লক্ষণ। তবে কিভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে সেই বিষয়ে আলোকপাত করা হচ্ছে এ পর্যায়ে।
লেক্সিংটনের কেনটাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালার্জি এবং ইমিউনোলজি বিভাগের প্রধান, ডাঃ বেথ এ মিলার বলেছেন, "সর্দির সাথে প্রায়ই জ্বর হয় ; অ্যালার্জি হয় না। "
ডাঃ বেথ এ মিলার এর কথা থেকে তবে স্পষ্ট যে সাধারণ ঠান্ডা আর অ্যালার্জি দুটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু আমরা এই দুটো বিষয়কে এক করে ফেলি। বোঝার সুবিধার্থে এভাবে বলা যায় যে, অ্যালার্জির ফলে শরীর চুলকায় কিংবা ফুসকুড়ি ওঠে, অন্যদিকে জ্বর সর্দি হলে শরীরের ব্যাথা হয়। দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে ঠান্ডা জনিত আরেকটি রোগ ভাইরাসের আক্রমণেও হতে পারে আবার অ্যালার্জিক আক্রমনের ফলেও হতে পারে।
তবু বোঝার সুবিধার্থে অ্যালার্জি ও ঠাণ্ডার মাঝে কিছু পার্থক্য তুলে ধরা হলো-
সর্দির রং
সর্দি, এর সাথে প্রত্যেকেই পরিচিত আমরা। অ্যালার্জি হলেও সর্দি হয় আবার ঠাণ্ডাতেও। যদি এমনটা হয় যে সর্দি একদম পাতলা এবং রং পানির মতো তবে ধরে নিতে হবে এটি অ্যালার্জি জনিত সমস্যা আবার যদি সর্দি ভারী কিংবা হলদেটে হয় তবে ধরতে হবে এটি ঠাণ্ডা জনিত কারণে হয়েছে।
জ্বর
সর্দির সাথে জ্বর এটা একটা সহজাত প্রবৃত্তিই বলা যায়। সর্দির সাথে জ্বর হলে ধরে নিতে হবে এটি ঠাণ্ডা জনিত সমস্যার কারণেই হয়েছে কারণ অ্যালার্জির সাথে জ্বর হয় না।
কফ ও কাশি
সাধারণত কফ ও কাশি দুটোই আমাদের কাছে বিরক্তিকর। ঠাণ্ডা জনিত সমস্যায় এটা স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। তবে অ্যালার্জি হলে হাঁচি হয়, কাশি নয়।
র্যাশ
জ্বর ও ঠান্ডা এক সাথে এলে তখন র্যাশ হয়ে থাকে। তবে জ্বর ছাড়াই যদি র্যাশ হয় তবে সেটা অ্যালাজি হিসেবে মানতে হবে।
চোখে পানি আসা
চোখ চুলকাতে চুলকাতে চোখ থেকে পানি আসছে। এমন পরিস্থিতির স্বিকার হলে ধরে নিতে হবে আপনি অ্যালার্জিতে আক্রান্ত। ঠান্ডা জনিত সমস্যায় চোখ খানিক লাল হতে পারে তবে চুলকানো এবং পানি আসা এমনটা হয় না সাধারণত।
অন্যদিকে ঠাণ্ডা জনিত রোগ হাঁপানি অ্যালার্জির সাথে ঘনিষ্ট ভাবে সম্পর্কযুক্ত। হাঁপানি শ্বাস-প্রশ্বাসে বাঁধা দেয় একইসাথে ফুসফুসের বায়ু চলাচলের পথকে সংকুচিত করে। হাঁপানি অ্যালার্জির সাথে ঘনিষ্টযুক্ত হওয়ায় হাঁপানি আরো ভয়াবহ হয়ে দেখা দেয়। অনেকেরই অ্যালার্জির সাথে হাঁপানি হয়ে থাকে। এ ধরণের হাঁপানিকে অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি বলে উল্লেখ করা হয়।
মিলার আরো বলেন, "অনিয়ন্ত্রিত অ্যালার্জিজনিত অনুনাসিক লক্ষণগুলি সাইনোসাইটিস, ওটিটিস এবং হাঁপানির মতো অন্যান্য সমস্যার কারণ হতে পারে। "
অর্থাৎ অ্যালার্জি জনিত সমস্যা থেকে জ্বর সর্দির মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু জ্বর সর্দি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার নজির নেই বললেই চলে।
অ্যালার্জির প্রকারভেদ ও প্রভাব
অ্যালার্জি এমন একটি শারীরিক প্রতিক্রিয়া যা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম। অর্থাৎ একেক জন একেক অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। সে অর্থে বলা যায় অ্যালার্জির অনেক প্রকারভেদ রয়েছে আবার এই প্রকারভেদ গুলোরও বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। তবে একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো, আমরা অনেকেই ভাবি অ্যালার্জি ছোঁয়াচে অর্থাৎ একজনের সংস্পর্শে আর এক জনের হয়। তবে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে অ্যালার্জি ছোঁয়াচে নয়। অ্যালার্জির ভাগ গুলো হলো-
-
পোষ্য অ্যালার্জি ( Pet Allergy)
-
ঔষধীয় অ্যালার্জি ( Drug Allergy)
-
ত্বকীয় অ্যালার্জি ( Skin Allergy)
-
পতঙ্গীয় অ্যালার্জি ( Insect Allergy)
-
পরাগ অ্যালার্জি ( Pollen Allergy)
-
গহনা অ্যালার্জি ( Jewellery Allergy)
-
বিষাক্ত গাছ ( Poison Plant)
এসব অ্যালার্জি ছাড়াও আরো প্রকারভেদ আছে তবে এগুলো দ্বারা বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যায়।
গহনা অ্যালার্জি
গহনা হলো মহিলাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। বাড়িতে অনেকে প্রতিদিন না পড়লেও বিশেষ করে কোথাও বেড়াতে গেলে গহনা নিয়মিত পড়ে। এই গহনা থেকেও যে অ্যালার্জি হতে পারে এটা ভাবনার বাহিরের বিষয়। দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে গহনা থেকে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। গহনা থেকে যে অ্যালার্জি হয় তাকে নিকেল অ্যালার্জি বলা হয়ে থাকে। মহিলাদের এই অ্যালার্জি অন্যান্য অ্যালার্জির থেকে বেশি হয়ে থাকে। কেননা প্রতিটি গহনাতেই কম বেশি নিকেল থাকে, যে কারণে যাদের নিকেলে অ্যালার্জি তারা গহনা পড়লেই গহনা অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়।
লক্ষণ
-
র্যাশ দেখা দেয়
-
চুলকানি হয়
-
ত্বক চাকা হয়ে ফুলে যায়
পোষ্য অ্যালার্জি
পোষ্য বলতে বোঝায় বাড়িতে পোষা প্রাণীদের। আমরা অনেকেই শখের বশে বাড়িতে কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, পাখি পুষে থাকি। এদের লোমে থাকা ধুলাবালি, মৃত কোষ থেকে বিভিন্ন অ্যালার্জেন শরীরে প্রবেশ করে শরীরে অ্যালার্জির জন্ম দেয়। পোষ্য ছাড়াও বাহিরের প্রাণী থেকেও অ্যালার্জেন আসতে পারে।
লক্ষণ
-
হাঁচি
-
শ্বাসকষ্ট
বিষাক্ত গাছ
গাছ যদি বিষাক্ত হয় তবে সেই গাছ থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। বর্তমানে আইভি নামক এক ধরণের বিষাক্ত গাছ জন্মাচ্ছে যেখানে সেখানে। কোনো বিশেষ কারণে এই হাছের সংস্পর্শে আসলেই অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা এই বিষাক্ত গাছ দ্বার অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। ওক এবং সুমাক গাছের সংস্পর্শে আসলেও অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
লক্ষণ
-
চুলকানো বা জ্বালাভাব যা ২-৩ দিন থেকে শুরু করে ২-৩ সপ্তাহ পর্যন্ত হয়।
অ্যালার্জির ঘরোয়া চিকিৎসা
অ্যালার্জি থেকে মুক্তির চিকিৎসা তো আছেই তবে ঘরোয়া উপায়েও ত্বকের অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঘরোয়া উপায়ে অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করা হবে এ পর্যায়ে। তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে, দরকার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
অলিভ অয়েল
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ অলিভ অয়েল ত্বককে শুষ্কতা থেকে রক্ষা করে। ত্বককে পুষ্টি প্রদান করে। ত্বকের অ্যালার্জির স্থানে অলিভ অয়েল ব্যবহারে অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
বেকিং সোডা
অ্যালার্জি প্রতিরোধি আরেকটি উপাদান হলো বেকিং সোডা। ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের অ্যালার্জি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে বেকিং সোডা। বেকিং সোডা বব্যবহারে ত্বকের ফুসকুড়ি দূর হয়, চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ত্বকে ব্যাথা সৃষ্টি হলে তা কমাতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে আধা চামচ বেকিং সোডা জলে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে কয়েক মিনিট রাখতে হয়। এরপর ধুয়ে দেয়ার পর উপকার বোঝা যায়।
নিম, তুলসী এবং ধনিয়া পাতার পেস্ট
নিম ও তুলসী ঔষুধী গুণ সম্পন্ন উদ্ভিদ। এসব উদ্ভিদে রয়েছে বিভিন্ন ওষুধী গুণাগুণ। ঘরোয়া ভাবে অ্যালার্জি দূর করতে নিম, তুলসী ও ধনিয়ার ভূমিকা অতুলনীয়। এই পাতা গুলোর পেস্ট তৈরী করে আক্রান্ত স্থানে একঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। নিয়মিত ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
অ্যালোভেরা
ত্বকের যেকোনো চিকিৎসায় অ্যালোভেরার জুড়ি নেই। অ্যালোভেরা ত্বকের অ্যালার্জি দূর করতেও কার্যকর। আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরার পেস্ট লাগালে উপকার পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে অ্যালোভেরার পেস্ট ত্রিশ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হয়।
অ্যাপল সিড্যার ভিনেগার
ওষুধী গুণ সম্পন্ন অ্যাপল সিড্যার ভিনেগার বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। এই ওষুধী গুণ সম্পন্ন উপাদানটিতে প্রচুর পরিমাণ এসিটিক অ্যাসিড রয়েছে যা শক্তিশালী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত। যে কারণে অ্যালার্জি জনিত র্যাশ দূর হয়। এক চামচ এক্ষেত্রে অ্যাপল সিডার ভিনেগার তুলা দিয়ে আক্রন্ত স্থানে নিয়মিত লাগাতে হয় তবে দ্রুত অ্যালার্জি থেকে মুক্তি মেলে।
আদা
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন আদাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ত্বকের অ্যালার্জির চিকিৎসার গুণাগুণ। আদা সিদ্ধ করে সেই আদা তুলা দিয়ে ৩০ মিনিট করে দৈনিক ৩-৪ বার পরিষ্কার করলে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায় অ্যালার্জি থেকে।
সচেতনতা
অ্যালর্জি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে কিছু সচেতন পদক্ষেপ নিতে হয়। সেগুলো হলো-
-
সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে
-
অ্যালার্জেন থেকে দূরে থাকা
-
যে সব খাবারে অ্যালার্জি হয় তার থেকে দূরে থাকতে হবে
-
পথে মাস্ক ব্যবহার করা
-
বাসায় কার্পেট ব্যবহার করলে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। জানালা-দরজার পর্দাও পরিষ্কার করতে হবে।
-
তেলাপোকা ও কীটপতঙ্গ রোধে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে যেন অ্যালার্জি না ছড়ায়।
অ্যালার্জি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে সচেতন ভাবে চলতে হবে এবং যে সকল খাবারে অ্যালার্জি আছে সেগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সাথে সমস্যা বেশি মনে হলে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জানতে এবং সচেতন হতে নিয়মিত চোখ রাখুন আমাদের ওয়েব সাইটে।