কেন পুরুষের তুলনায় নারীরা অস্টিওপোরোসিসে বেশি আক্রান্ত হয়
অস্টিওপোরোসিস বা হাড় ক্ষয় জনিত এই রোগটি নারী পুরুষ উভয়েরই হয়ে থাকে তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের এই রোগটি বেশি হয়ে থাকে। এক গবেষণায় দেখা যায়, পঞ্চাশোর্ধ তিনজন নারীর মধ্যে কমপক্ষে একজন এই হাড় ক্ষয় জনিত সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু আপনি কি এই রোগের উপসর্গ, চিকিৎসা, ঝুঁকিসমূহ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে অবগত আছেন?
শিহাব স্কুলে নিয়মিত ভালো ভালো টিফিন নিয়ে আসে। শিহাবের মায়ের বাহারি রান্নার প্রতি ওর বন্ধুদেরও বেশ আগ্রহ। শিহাবও ওদের দিতে কার্পণ্য করে না। হঠাৎ আজ শিহাব টিফিন না আনায় শিহাবের বন্ধুরা শিহাবকে জিজ্ঞাস করে টিফিন না আনার কারণ, উত্তরে শিহাব জানায় তার মায়ের কোমড়ে ব্যাথা। ডাক্তার বলেছেন হাড় ক্ষয় হয়েছে।
রাহেলা বানু গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। প্রতিদিন তিনটা বাড়িতে রান্না সহ যাবতীয় কাজ করেন। ইদানিং ঠিক ভাবে কোথাও কাজ করতে পারছেন না। বসলে উঠতে পারঠেন না, উঠলে বসতে পারছেন না। সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করছেন অতি কষ্টে। ডাক্তার জানায় তার হাড় ক্ষয় হয়েছে।
শিহাবের মা এবং রাহেলা বানু দুজনেরই হাড় জনিত সমস্যা দেখা গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যেটা অস্টিওপোরেসিস নামে পরিচিত। আসুন আজ আমরা অস্টিওপোরেসিস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
অস্টিওপোরেসিস কি
অস্টিওপোরেসিস মূলত হাড়ের ক্ষয় জনিত রোগ। এটি এমন একটি রোগ যা হাড়কে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে তোলে। অন্যভাবে বলা যায়, হাড়ের ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব বা পরিমাণ কমে স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয় ও হাড় ভঙ্গুর হয়। এর কারণে ছোটখাটো পতন বা সামান্য পরেও গেলেও হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এই রোগের কোন সুস্পষ্ট উপসর্গ নেই, তাই অনেক লোক জানেন না যে তাদের অস্টিওপরোসিস আছে যতক্ষণ না তাদের একটি ফ্র্যাকচার হয় বা হাড় ভাঙ্গে। ফ্র্যাকচার আপনার জন্য জীবন পরিবর্তনকারী হতে পারে, কারণ এর যার ফলে আপনি ব্যথা ভোগ করতে শুরু করবেন, অক্ষম হতে শুরু করবেন এবং স্বাধীনতা হারাতে পারে্ন। তাই অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরী।
আসুন অস্টিওপোরেসিস সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই-
-
বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অস্টিওপরোসিস এর কারণে প্রায় ৯০ লক্ষের মত ফ্র্যাকচার বা হাড় ভাঙ্গার ঘটনা ঘটে থাকে। অর্থাৎ, প্রায় প্রতি ৩ সেকেন্ডে একটি অস্টিওপরোসিস ফ্র্যাকচার হয়ে থাকে।
-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই রোগটি বিশ্বব্যাপী ৫০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় ৬.৩% পুরুষ এবং একই বয়সের ২১.২% মহিলাকে আক্রান্ত করে। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৫০ কোটি পুরুষ ও মহিলা এই রোগে আক্রান্ত।
-
১৯৯০ সালের তুলনায় ২০৫০ সালের মধ্যে, বিশ্বব্যাপী পুরুষদের মধ্যে হিপ ফ্র্যাকচার বা কোমর ক্ষয়ের ঘটনা ৩১০% এবং মহিলাদের মধ্যে ২৪০% বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
-
২০১০ সালে আনুমানিক ১৬ কোটি মানুষ উচ্চ হাড় ভাঙ্গা বা ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিতে ছিল। আর ঊর্ধ্বগতিতে জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে এই সংখ্যা ২০৪০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
অস্টিওপোরোসিস এর কারণে ব্যক্তিগত এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।
-
বিশ্বব্যাপী, ৫০ বছরের বেশি বয়সী প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন মহিলা অস্টিওপরোসিস রোগে ভুগেন, যেখানে একই বয়সে পুরুষদের সংখ্যাটা প্রতি ৫ জনের মধ্যে ১ জন।
-
বাহু, হিউমারাস, হিপ এবং মেরুদণ্ডের ফ্র্যাকচারের ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৮০%, ৭৫%, ৭০% এবং ৫৮% সংঘটিত হয়ে থাকে মহিলাদের মধ্যে। সামগ্রিকভাবে, ৬১% অস্টিওপরোসিস ফ্র্যাকচার মহিলাদের মধ্যে ঘটে, যেখানে মহিলা-পুরুষ অনুপাত ১ঃ৬।
কেন নারীদের অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি বেশি
উপরোক্ত তথ্য থেকে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে পুরুষের তুলনায় নারীরা অস্টিওপোরেসিসে বেশি আক্রান্ত হয়। এর বিভিন্ন কারণ থাকলেও প্রধান ২টি কারণ হলো-
১) নারীদের হাড় চিকন হওয়ায় সহজেই ভঙ্গুর থাকে
সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারীরা বেশিরভাগই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে ৩০ বছরের পর থেকেই নারীদের এই সমস্যা দেখা দেয়। কারণ ২৫ বছর বয়স অব্দি শরীরে নতুন টিস্যু তৈরির কাজ চলতে থাকে যা ২৫ বছরে সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু নারীদের তুলনায় পুরুষের হাড় গঠন ভাল এবং বেশি হয়ে থাকে, যার ফলে পুরুষের তুলনায় নারীর হাড় পাতলা হয়।
২) মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের ঘাটতি হলে ঝুঁকি বাড়ে।
বাংলাদেশের একটি জরিপে দেখা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে চার কোটি ৮০ লাখ বা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ অস্টিওপোরেসিস রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে এক কোটি ৯২ লাখ শুধুমাত্র পিরিয়ড বন্ধ হওয়া নারী অর্থাৎ মেনোপজ হয়েছে এমন নারী, যা মোট আক্রান্ত রোগীর ৪০ শতাংশ।
চিকিৎসকদের একাংশ মনে করেন মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের ঘাটতি থেকে অনেক সময় নারীরা এই রোগের শিকার হয়ে থাকেন । সাধারণত এই ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত যে জায়গা গুলো হয়, তা হলো কোমর, কোমর এর নিচে, কব্জি, হাঁটু এবং শিরদাঁড়া।
ইস্ট্রোজেন হরমোনের কারণে মহিলাদের মধ্যে হাড়ের ঘনত্ব বজায় থাকে। মেনোপজের পর মহিলাদের মধ্যে এই হরমোনের পরিমাণ ব্যাপক ভাবে কমতে শুরু করে। যার ফলে মেনোপজের ১০ বছর পরে হাড়ে সামান্য চোট পেলেই অনায়াসে তা ভেঙে যায়।
অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকির কারণগুলি
ঝুঁকির কারণ বলতে মূলত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় এমন অবস্থাকে বুঝায়। সেই অর্থে একজন মানুষ যতোটা ঝুঁকিতে থাকবে তার রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি বেড়ে যাবে, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্র বিষয়টি আরো ভয়াবহ। অস্টিওপোরেসিসে আক্রান্তদের হাড়ের ক্ষয় দ্রুত বাড়তে থাকে কোনো রকম লক্ষণ ছাড়াই।
অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকির কারণ গুলোর মধ্যে কিছু বিষয় আছে যেগুলো চাইলেও পরিবর্তন করা যায় না আবার কিছু বিষয় আছে যেগুলো নিজেরা নিয়ন্ত্রণে রেখে অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অস্টিওপোরেসিসের যে সকল ঝুঁকির কারণ পরিবর্তন করা অসম্ভব
বয়স
অস্টিওপোরেসিসের কারণে শতকরা ৭৫ ভাগ ফ্রাকচার হয় ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের লোকদের। এক্ষেত্রে আমরা চাইলেই বয়স পরিবর্তন করতে পারি না, তাই বয়সের ঝুঁকি থেকেই যায়।
লিঙ্গ
অস্টিওপোরেসিস সম্পর্কে আলোচনায় আগেই কারণ সহ উল্লেখ করা আছে যে এই রোগটির ঝুঁকি পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি। যা নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই।
পূর্ববর্তী ভাঙন
পূর্বে শরীরের কোনো হাড় ভেঙে থাকলে ধরে নিতে হবে অস্টিওপোরেসিস হওয়ার সম্ভাবনা আপনার আছে।
পারিবারিক ইতিহাস
যদি কারো বংশগত ভাবে অস্টিওপোরেসিস থেকে থাকে তবে ধরে নিতে হবে যে তার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এই ঝুঁকিও এড়ানোর উপায় নেই।
অস্টিওপোরেসিসের যেসকল ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব
ধূমপান
অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি বেশি। চাইলেই ধূমপান বন্ধ করে কিংবা কমিয়ে দিয়ে অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়ামের ঘাটতি
ক্যালসিয়ামই হাড়কে মজবুত রাখে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলে অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই খাদ্য তালিকায় ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার রেখে অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
নিষ্ক্রিয়তা
হাড় নিষ্ক্রিয়তার ফলে ভঙ্গুর হয়। নিয়মিত ব্যায়ামের ফরে এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
লক্ষণ বা উপসর্গ
সাধারণত হাড় ক্ষয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো উপসর্গ চোখে পরে না। তবে হাড় গুলো অত্যাধিক দূর্বল হয়ে গেলে কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন-
-
কশেরুকা ভেঙে যাওয়ার কারণে পিঠে ব্যাথা সৃষ্টি
-
সামান্য আঘাতে হাড়ে চিড় ধরা
-
উচ্চতা হ্রাস পাওয়া।
চিকিৎসা
সাধারণত হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষার মাধ্যমে অস্টিওপোরেসিস নির্ণয় করা যায়। যদি কারো আগে থেকে হাড়ে ফ্রাকচার থাকে সেক্ষত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেয়েই উপকার পাওয়া যায়। তবে ফ্রাকচার থাকুক কিংবা না থাকুক ওষুধ ছাড়াও কিছু শারীরিক থেরাপি বা পুষ্টি থেরাপির মাধ্যমে উপকার পাওয়া যায়।
ওষুধ
-
ইস্ট্রোজেন
-
বিসফসফোনেট
-
ক্যালসিটোনিন
-
রেলোক্সিফিন
-
টেরিপ্যারাইড
-
ডেনোসাম্ব
তবে ওষুধ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে গ্রহণ করতে হবে।
হরমোনাল থেরাপি
মহিলাদের মেনোপজের পর দেখা দেয় অস্টিওপোরেসিস। এক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি দেখা যায়। ইস্ট্রোজেনের থেরাপি দিয়ে অস্টিওপোরেসিসের চিকিৎসা করা যায়। যদিও এক্ষত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।
খাদ্যাভাস
অস্টিওপোরেসিস থেকে রক্ষা পেতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। তাই যে সকল খাবারে এসকল উপাদান আছে সেসকল খাদ্য নিয়মিত খেতে হবে।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য
দুগ্ধজাত পণ্য যেমন দই, পনির, সবুজ শাক সবজি, বাদাম, কমলার রস ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম থাকে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
মাংস, সামুদ্রিক খাবার, মুরগি, ডিম, মটরশুটি, দুগ্ধজাত খাবার ইত্যাদিতে প্রোটিনের আধিক্য থাকে।
ভিটামিন ডি
ডিমের কুসুম, স্যামন মাছ, টুনা মাছ ইত্যাদিতে ভিটামিন ডি থাকে।
এসকল খাবার খাদ্য তালিকায় রাখলে এবং নিয়মিত খেলে অস্টিওপোরেসিসের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
প্রতিরোধ
অস্টিওপোরেসিস এমন এক ধরণের রোগ যা প্রাপ্ত বয়স্ক ও বয়স্ক উভয়েরই হতে পারে। তবে প্রাপ্ত বয়স্ক ও বয়স্কদের বয়সের পার্থক্য থাকায় তাদের প্রতিরোধেও পার্থক্য রয়েছে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধ
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখতে এবং অকাল হাড়ের ক্ষয় এড়াতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে-
-
ডায়েটে নিয়মিত পর্যাপ্ত ব্যায়াম রাখা এবং সঠিক জীবনধারার অভ্যাস করা। এসকল পদক্ষেপ কেবল অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করবে না, সেই সাথে সাধারণ সুস্থতার জন্যও উপকার করবে।
-
এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যাতে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন থাকে। হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন মূল পুষ্টি হিসেবে কাজ করে।
-
পর্যাপ্ত ভিটামিন-ডি নিশ্চিত করতে দৈনিক রোদে ১৫ মিনিট অবস্থান করা শ্রেয়। তৈলাক্ত মাছ, ডিম, মাশরুম এবং দুর্গযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার বা জুসের মতো কিছু খাবারেও ভিটামিন ডি এর আধিক্য থাকায় নিয়মিত গ্রহণ করা জরুরী।
-
স্বাস্থ্যকর শরীরের ওজন বজায় রাখতে খুব পাতলা হওয়া হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। যে কারণে সক্রিয় শরীর রাখতে নিয়মিত ওজন বহন এবং পেশী শক্তিশালী করার ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
এই সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধ করতে পারবে।
বয়স্কদের অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধ
অস্টিওপোরোসিসের ক্ষেত্রে বয়স্করা সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন শতকরা হিসাবে যা ৭৫%। নিতম্ব, মেরুদণ্ড এবং কব্জির ফাটল ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের লোকেদের মধ্যে সচারচর ঘটে থাকে। বয়স্করা অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে-
-
পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য পুষ্টি নিশ্চিত করা।
-
বয়সের সাথে সাথে ভিটামিন এবং খনিজ শোষণ করার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। ফলপ্রসু বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্করা প্রায়ই অপুষ্টিতে ভোগেন কারণ তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খান না এবং তাদের খাবারে পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ভিটামিন থাকছে না। প্রোটিন এবং ভিটামিন যুক্ত খাবার বয়স্কদের জন্য নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক। এতে করে অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধের পাশাপাশি অন্যান্য রোগও প্রতিরোধ করা যাবে ।
-
বয়স বাড়ার সাথে সাথে হাড় এবং পেশী উভয়ই দ্রুত শক্তি হারায়। যে কারণে ব্যায়াম আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপের পাশাপাশি, বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যায়াম বেছে নেওয়া উচিত যা হাড়ের ভারসাম্য এবং পেশী শক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে। এতে করে অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধ করা যায়।
-
বাড়ির ভিতরে এবং বাইরে সাবধানে চলাচল করা যেন সহজে পড়ে না যায়।
-
হাড়ের স্বাস্থ্য মূল্যায়নের জন্য একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া, বিশেষ করে যদি অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকির কারণগুলি থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে নিয়মিত ডাক্তারে পরমর্শ নিয়ে অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধ সম্ভব।
অস্টিওপোরেসিসৈ যেহেতু হঠাৎ করেই আক্রান্ত হয় মানুষ তাই নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি খাবারের মানের দিক লক্ষ রেখে জীবন অতিবাহিত করা দরকার। সেই সাথে কোনো রকম সমস্যা মনে হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন আর্টিকেল পড়তে নিয়মিত ভিজিট করুন আমাদের ওয়েব সাইট।