যে ৮টি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব রয়েছে
আপনার দৈনন্দিন জীবন কি অবসাদ গ্রস্থ? কিংবা আপনি কি দৈনন্দিন জীবনে অসুখী? আপনি যদি পুরুষ হয়ে থাকেন এবং আপনার উত্তর যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তবে ধরে নেয়া যেতে পারে যে টেস্টোস্টেরন হরমোন জনিত সমস্যায় ভুগছেন আপনি।

-
টেস্টোস্টেরণ কে আমরা পুরুষ হরমোন বললেও নারী ও পুরুষ উভয়েই এই হরমোন উৎপন্ন করে থাকে।
-
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ২৭০ থেকে ১০৭০ ন্যানোগ্রাম।
-
পর্যাপ্ত পরিমাণ টেস্টোস্টেরন পুরুষ দেহে না থাকলে সেই পুরুষের বন্ধ্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
টেস্টোস্টরন হরমোনের অভাবে পুরুষের যৌন চাহিদা, মানসিক শক্তি পরিবর্তিত হতে থাকে।
-
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণ সমূহের মধ্যে মানসিক অবসাদ, অলসতা উল্লেখযোগ্য।
-
কিশোরদের বয়ঃসন্ধি দেরী হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টরনের পরিমাণ কম হওয়া।
-
বয়ঃসন্ধির সময় টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং ৩০ বা তার বেশি বয়সের পরে এটি হ্রাস পেতে শুরু করে।
টেস্টোস্টেরন কি?
টেস্টোস্টেরণ মূলত পুরুষের যৌন উত্তেজনামূলক হরমোন যা পুরুষের শুক্রাশয় উৎপন্ন হয়। তবে টেস্টোস্টেরন নারী দেহেও থাকে কিন্তু তা পরিমাণে কম।যৌন উদ্দিপনা ছাড়াও শারীরিক বিভিন্ন কার্যাদি সম্পন্ন করতেও ভূমিকা রাখে টেস্টোস্টেরন। টেস্টোস্টেরণ পরিপক্ক শুক্রাণুর বিকাশে সহায়তা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথের মতে, "টেস্টোস্টেরন একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন যা যৌনন্নয়ন, শারিরীক শক্তি ও দৈনিক কার্যক্ষমতা এবং লোহিত রক্তকণিকা নিয়ন্ত্রণ করে। "
মহিলাদের ডিম্বাশয়েও কিছু পরিমাণ টেস্টোস্টেরণ উৎপন্ন হলেও তার ঘনত্ব ও পরিমাণ পুরুষের টেস্টোস্টেরণের তুলনায় কম। মস্তিষ্ক এবং পিটুইটারি গ্রন্থি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। দেহে উৎপাদিত টেস্টোস্টেরন রক্তের মধ্য দিয়ে চলে দেহের বিভিন্ন কার্যাদি সম্পন্ন করে।
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি
পুরুষত্বের জন্য দায়ী মূল হরমোন হলো টেস্টোস্টেরন। যা কি না পুরুষের বয়স বাড়ার সাথে কমতে থাকে। শরীরে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমে গেলে অ্যান্ড্রোপোজ হয়।
পুরুষের পুরুষত্বের জন্য দায়ী হরমোনের মাত্রা হঠাৎ করে কমে না। ধীরে ধীরে কয়েক বছর ধরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে থাকে। আর কমতে কমতে এমন পর্যায়ে যায় যে পুরুষ তার পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলে।
গড়ে ৩০ বছর বয়সের পর থেকে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ১% করে কমতে থাকে। ২০ বছর বয়সে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা সর্বাধিক থাকে এবং ৭০ বছর বয়সী বয়স্ক পুরুষদের দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অর্ধেকের থেকেও কমে যায়।
টেস্টোস্টেরন জনিত সমস্যা মূলত ৩০ বছরের পর থেকেই শুরু হয়। সে হিসেবে কিশোরদের টেস্টোস্টেরন জনিত সমস্যা বেশি হয় না। যাদের টেস্টোস্টেরনের সমস্যা আছে তাদের তাদের ৩০ বছরের মধ্যেই বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
টেস্টোস্টেরন জনিত ঘাটতির লক্ষণ
টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে নানা রকম উপসর্গ দেখা যায়, এগুলো হলো-
১) আচরণে পরিবর্তন
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমলে পুরুষের আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়। সব সময় বিমর্ষ ভাব লক্ষণীয়।
২) যৌনক্ষমতায় ভাটা
পুরুষের যৌনসঙ্গমের ক্ষমতা এবং শুক্রানু উৎপাদনের পরিমাণ কমে যায় এর মাত্রা কমে গেলে। এর মাত্রা স্কাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে যৌনক্ষমতা কমতে থাকে সেই সাথে যৌনসসঙ্গমের আগ্রহও কমে যায়।
৩) লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখার সমস্যা
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হলে লিঙ্গের দৃঢ়তা দরে রাখার সমস্যা হয় কেননা টেস্টোস্টেরন হরমোনই লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখার মতো কাজ সম্পাদনা করে। লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখতে না পারার সমস্যাকে বলা হয় 'ইরেক্টাইল ডিসফাংশন'। নাইট্রিক অক্সাইড সরবরাহের মাধ্যমে লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখে টেস্টোস্টেরন হরমোন। এই সমস্যা দেখা দিলে ধরে নিতে হবে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হয়েছে।
৪) অবসাদ
টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার লক্ষণ হলো অল্প কাজেই ক্লান্তি চলে আসা। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকায় অবসাদ আসা স্বাভাবিক কিন্তু কাজ ছাড়াও যেসব পুরুষের অবসাদ আসে তাদের টেস্টোস্টেরনের অভাব আছে।
৫) চুল পড়া
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে থাকলে মাথায় টাকের প্যাটার্নে চুল পড়তে থাকে।
৬) অন্ডকোষ ছোট হওয়া
অন্ডোকোষ স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট মনে হলে সাধারণত তা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি জনিত কারণে হয়। তবে এমন সমস্যা হলে দ্রুত হরমোন টেস্ট করা এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৭) বীর্যের পরিমাণ কমে যাওয়া
বীর্য হলো শুক্রাণু বহনকারী তরল। শুক্রাণু দুধের ন্যায় কিন্তু ঘনত্বে বেশি। বীর্যের মাধ্যমেই শুক্রাণু ডিম্বানুতে প্রবেশ করে। যদি লক্ষ্য করা যায় যে বীর্যের পরিমাণ ও ঘনত্ব হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে তবে তা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থেকে হতে পারে। এমন সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৮) রক্তচাপ কম হওয়া
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হলে রক্তের পরিমান কমে গিয়ে রক্তসল্পতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার ফলে রক্তচাট কমে যায়।
টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার কারণ
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়ার বিশেষ কারণ রয়েছে। কারণ সমূহ হলোঃ
-
অণ্ডকোষের সংক্রমণ
-
ক্যান্সারের জন্য কেমোথেরাপি
-
বিপাকীয় ব্যাধি যেমন, শরীরে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে
-
পিটুইটারি গ্রন্থির কর্মহীনতা বা টিউমার
-
তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা
-
অ্যালকোহল অপব্যবহার
-
যকৃতের পচন রোগ
-
এইচআইভি/এইডস
-
দুধ উৎপাদনকারী হরমোন প্রোল্যাক্টিনের উচ্চ মাত্রা
-
স্থূলতা বা চরম ওজন হ্রাস
-
অনিয়ন্ত্রিত টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস
এছাড়াও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এগুলো হলো-
আদর্শ খাবার গ্রহণ না করাঃ পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরন পুরুষত্বের গুণাবলী বহন করে। ৩০ বছর বয়সের পর থেকেই কমতে থাকে টেস্টোস্টেরন হরমোন। আদর্শ খাবার নিয়মিত না খেলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হয়।
মধু, বাঁধাকপি, রসুন, ডিম, কলা, কাঠবাদাম, ঝিনুক, পালংশাক, আঙুর, ডালিম, মাংস, টক জাতীয় ফল ইত্যাদি খেলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমে যাবে।
অধিক পড়পড়াশুনা কিংবা অনলাইন আসক্তির জন্য অলস সময় পার করাঃ অধিক কাজ কর্ম করলে শরীরে ক্লান্তি আসে কিন্তু অধিক পড়াশুনা কিংবা অনলাইন আসক্তির জন্য সারাদিন শুয়ে-বসে থাকলে অবসাদ ঘিরে ধরে। যা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণ।
টেস্টোস্টেরনের সাথে মানসিক অবসাদ ও দাম্পত্য জীবনের সম্পর্ক কী?
টেস্টোস্টেরন হলো পুরুষের যৌন উত্তেজনা মূলক হরমোন। এই হরমোন একজন পুরুষের জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন। এই হরমোনের গুণেই মনে কাম বাসনা তৈরী হয়।
টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমে গেলে মানসিক অবসাদ ঘিরে ধরে। অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তিতে বুদ হয়ে যায় শরীর। টেস্টোস্টেরন এর পরিমান কমে গেলে যৌন উদ্দিপনাও তুলনামূলক কমে যায়। সহবাসে আপত্তি সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় যা দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বয়ে আনে।
টেস্টোস্টেরন এর ঘাটতি কি সন্তান জন্মদানে বাঁধা?
টেস্টেস্টোরন পুরুষের যৌন উত্তেজনামূলক হরমোন হলেও এর ঘাটতি সব সময় বন্ধ্যাত্বের কারণ হয় না। কম টেস্টোস্টেরন থাকা সত্ত্বেও একজন পুরুষ শুক্রানু উৎপন্ন করতে পারেন কারণ শুক্রানু উৎপাদন প্রধাণত অন্যান্য হরমোন দ্বারা উদ্দীপ্ত হয়। তবে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে শুক্রানু উৎপাদনের মাত্রা কমে যেতে পারে। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অন্ডোকোষে বেশি থাকে।
টেস্টোস্টেরন কম হলে যৌন মিলনের ইচ্ছা কমে যায়। স্বাভাবিক ভাবে টেস্টোস্টেরন কমলে সন্তান জন্মদানে সমস্যা হয় না কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হলে কোনো কোনো পুরুষ সন্তান জন্মদানে অক্ষম হন।
টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়লে কী হয়?
-
পুরুষের দেহের টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়, শুক্রাশয় শুকিয়ে যায় ও যৌন অক্ষমতা বেড়ে যায়।
-
সেই সাথে হৃদযন্ত্রের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েহৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
-
প্রোস্টেট অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সেই সাথে প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া যকৃতের সমস্যা দেখা যায়।
-
টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ বাড়লে পায়ে পানি জমতে পারে ও পা ফুলে যেতে পারে। শারীরিক ওজন অনেক ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পায়।
-
উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। প্রতিনিয়ত ঘুমের পরিমাণ কমে যায় এবং মাথাব্যথার পরিমাণ বেড়ে যায়।
-
কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে খাটো হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। সেই সাথে আচরণগত বিভিন্ন ত্রুটি পরিলক্ষিত হয় যেমন হঠাৎ রেগে যাওয়া বা সবসময় নিশ্চুপ হয়ে থাকা।
টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমলে কী হয়?
-
দেহত্বকের লোম সংখ্যা কমে যেতে পারে
-
পেশির ঘনত্ব কমে যেতে পারে।
-
অক্ষমতা, ইনফার্টিলিটি কিংবা শুক্রাণু সংখ্যা কমে যাওয়ার মতো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
-
সবকিছুতেই অমনোযোগী হয়ে ওঠা ও মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
হাড়ের ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পেয়ে হাড় ভেঙে যাওয়া বা ফ্রাকচার হওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
কিভাবে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব?
টেস্টোস্টেরন জনিত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চিকিৎসার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে দু'ধরণের চিকিৎসা হয়ে থাকে। এলোপ্যথি এবং হোমিওপ্যথি।
এলোপ্যথি
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থেকে রেহাই পেতে এলোপ্যথি চিকিৎসা একটি কার্যকরি চিকিৎসা। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে ওষুধের পাশাপাশি ইঞ্জেকশন, টেস্টোস্টেরন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসাও কার্যকর। তবে কিছুক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ বিষয়ে সতকর্তা জরুরি।
হোমিওপ্যথি
টেস্টোস্টেরন হরমোনের ঘাটতি দূর করতে হোমিওপ্যথি চিকিৎসা অনেক কার্যকরী। হোমিওপ্যথির চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ হলেও কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমাতে হোমিওপ্যথি ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
টেস্টোস্টেরন এর ডায়েট চার্ট কেমন হওয়া উচিৎ?
টেস্টোস্টরন হরমোন এর ঘাটতি কমাতে কিংবা টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ঠিক রাখতে একটি নির্দিষ্ট ডায়েটচার্ট মেনে চলতে হয়। ডায়েটচার্টটি তুলে ধরা হলো-
-
নিয়মিত ব্যায়াম করা
-
ডায়েটে প্রোটিন, ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট এর ভারসাম্য ঠিক রাখা
-
ভিটামিন ডি এর মাত্রা ঠিক রাখা
-
স্ট্রেসের পরিমাণ কমানো
-
নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো
এই ডায়েটচার্ট মেনে চললে টেস্টোস্টেরন কমার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিতে ব্যয়ামের গুরুত্ব আছে কি?
সব সময় শুয়ে বসে থেকে অলস সময় পার করলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হয়। টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমাতে তাই শারীরিক কসরতের বিকল্প নেই।
শরীরকে ফিট রাখতেও ব্যায়াম অতীব জরুরি। তাই শরীর ফিট রাখতে এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ঠিক রাখতে নিয়মতি ব্যায়াম করতে হবে।
পরিশেষে
পুরুষত্বের স্থায়িত্ব সব পুরুষই চায়। কিন্তু বিশেষ কিছু কারণে পুরুষের যৌন উত্তেজনা মূলক হরমোন টেস্টোস্টেরন কমতে থাকে।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে বিভিন্ন নিয়মরীতি মেনে চলতে হয়। যার মধ্যে নিয়মিত ব্যায়াম করা, খাদ্যাভাসে সচেতনতা ইত্যাদি মেনে চললে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
টেস্টোস্টেরনের মাত্রা অধিক হারে কমে গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।