যে ৭টি কারণে নবজাতকের জন্য মায়ের দুধের বিকল্প নেই
একটি নবজাতকের পুষ্টির সর্বোত্তম উৎস হচ্ছে মায়ের দুধ। পাশাপাশি এটি সুস্বাস্থ্যের ও সুষম বিকাশের জন্য অপরিহার্য। আসুন আজ আমরা মায়ের বুকের দুধের উপকারীতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানব।

একটি সদ্যজাত শিশুর জন্য নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসাবে তার মায়ের বুকের দুধ সবচেয়ে উপযোগী। যে শিশু জন্মের পর অন্তত ছয় মাস মায়ের বুকের দুধ পান করে, তার শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ ভালো হয়। মায়ের বুকের দুধ পান করা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে, শিশু স্বাস্থ্যবান হয়। এছাড়াও শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধ পান করানোর অনেক উপকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন গবেষনায়, যেমন-
১. সঠিক মাত্রায় পুষ্টি
বুকের দুধে সব ধরনের পুষ্টিগুণ সঠিক অনুপাতে থাকে, যা শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বুকের দুধে রোগ প্রতিরোধী বিভিন্ন উপাদান, যেমন- এন্টিবডি, ইমিউনো গ্লোবিউলিন জি ইত্যাদি থাকে যা শিশুর বিভিন্ন রোগ, অ্যালার্জি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৩. সংক্রমণ প্রতিরোধ ক্ষমতা
মায়ের বুকের দুধ শিশুকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং এসব থেকে সৃষ্ট জটিলতা থেকে রক্ষা করে।
৪. সহজেই হজম-যোগ্য
বুকের দুধ শিশুর দুর্বল অন্ত্রের জন্য উপযোগী, কারণ এটি সহজেই হজম হয়ে যায়, ফলে ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বা পাকস্থলীতে কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেনা।
৫. সার্বিক বিকাশে ভূমিকা
শিশুর মানসিক বিকাশে সাহায্য করে তার মায়ের শাল দুধ। শিশুর সঠিক ওজন বজায় রাখে। এমনকি যেসব শিশু মায়ের দুধ পান করে তাদের IQ Test এর স্কোরও বেশি হতে দেখা যায়।
৬. শিশুর চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তনীয়
বুকের দুধের ঘনত্ব, গঠন ইত্যাদি বাচ্চার চাহিদা অনুযায়ী সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়। প্রথম মাসে বুকের দুধের তারল্য ও গঠন পরবর্তী মাসগুলো থেকে আলাদা। শিশু দিন দিন যত বড় হয়, তার শরীরে পুষ্টি জোগাতে বুকের দুধের গুণাগুণও পরিবর্তন হয়।
৭. সবচেয়ে নিরাপদ খাদ্য
বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কখনো এর বিশুদ্ধতা নিয়ে চিন্তা করার দরকার হয়না। এটি সর্বদা সঠিক তাপমাত্রায় থাকে, জীবাণুমুক্ত থাকে।
এছাড়াও বুকের দুধ সবচেয়ে সহজলভ্য একই সাথে পুষ্টিকর খাদ্য, যেকারণে এটি শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সুতরাং মায়েদের তাঁদের বাচ্চার জন্য বিকল্প না খুঁজে গুরুত্বের সাথে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।