সন্তান হতাশাগ্রস্ত হবার ৮ টি লক্ষণ ও দ্রুত মুক্তির উপায়!
আপনি কি কখনও ভেবছেন যে আপনার খিটখিটে ও অসুখী কিশোর বা কিশোরী সন্তানটি আসলে কৈশোরবস্থায় হতাশা বা বিষণ্ণতায় (টিন ডিপ্রেশন) ভুগতে পারে? অবশ্যই পারে। বেশিরভাগ কিশোর -কিশোরীরা মাঝে মাঝেই অসুখী বোধ করে। আর তখন যদি আমরা তার সমাধান না করতে পারি তবে আরো রোগ এর সাথে যুক্ত হবে। একটু সচেতন হলেই কিন্তু বিষণ্ণতার পাশাপাশি এর সঙ্গে আসা অন্যান্য গুরুতর সমস্যাগুলোও চিকিৎসা করা যেতে পারে। অতএব আপনার কিশোরের অসুখ যদি দু'সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় এবং তাদের মাঝে বিষণ্ণতার অন্যান্য উপসর্গ সমূহ দেখা যায়, তাহলে অতিদ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুসারে,
-
বিশ্বে প্রতি ছয় জনের মধ্যে একজন কিশোর বা কিশোরী যাদের বয়স ১০-১৯ (কৈশোরকাল) বছরের মধ্যে।
-
বিশ্বব্যাপী কিশোর বা কিশোরীরা যত রোগে আক্রান্ত বা আঘাত প্রাপ্ত হয় তার ১৬% হয় মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে।
-
সমস্ত মানসিক স্বাস্থ্যের অর্ধেক সমস্যা ১৪ বছর বয়স থেকে শুরু হয় কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সনাক্ত করা যায় না এবং চিকিত্সা করা হয় না।
-
বিশ্বব্যাপী, বিষণ্ণতা কিশোর -কিশোরীদের মধ্যে অসুস্থতা এবং অক্ষমতার অন্যতম প্রধান কারণ।
-
১৫-১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যা মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ।
-
বয়সন্ধিকালের মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার সমাধান না করার পরিণতিগুলি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সময়, শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে পরিপূর্ণ জীবনযাপনের সুযোগ সীমিত করে।
একটি শিশু যখন শৈশব থেকে ধীরে ধীরে কৈশোরে পা দেয় নানা রকম কৌতুহলে পরিপূর্ণ থাকে তার মন। নানা রকম বিধিনিষেধে নিজেদের মানিয়ে নিতে গিয়ে অনেকক্ষেত্রেই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পরে। তাদের ছোট্ট মন তখনও বুঝে উঠতে পারে না যে, পাওয়া এবং না পাওয়া নিয়েই জীবন চলে নিজের গতিতে। না পাওয়ার পাল্লাটা ভারী হতে হতে তা একসময় মানসিক সমস্যার সৃষ্টি করে। পারিপার্শ্বিকতা, সামাজিক প্রেক্ষাপট ও পারিবারিক দ্বন্দ সর্বোপরি নানারকম অসমাঞ্জস্যতায় কৈশোরকালে হতাশাগ্রস্ত হবার প্রবণতা দেখা যায়।
কিশোর বা কিশোরীরা কেন বিষণ্ণতায় ভুগে?
বয়:সন্ধিকাল
কৈশোর বয়সেই একজন কিশোর বা কিশোরীকে বয়ঃসন্ধিকালের সম্মুখীন হতে হয়। এই সময় শরীরে নানারকম পরিবর্তন আসে যা মানিয়ে নিতে গিয়ে অনেকেই হতাশায় ভুগতে থাকে।
পারিবারিক কলহ
বাবা মার মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি, সর্বদা কলহ কিংবা বাবা মার কাছে নিজেকে গুরুত্বহীন মনে হলে, অথবা তাকে নয় অথচ তার ভাই বোন তার বাবা মার কাছে বেশি আদর পাচ্ছে এই হীনমন্যতাগুলো হতাশাগ্রস্ত হবার কারন।
পড়াশুনা
পড়াশুনায় খারাপ, পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ভীতি ও অথবা আশানুরূপ ফলাফল না আসলেও হতাশার সৃষ্টি হয়।
শারীরিক নিগ্রহ
শারীরিকভাবে নির্যাতন কিশোর-কিশোরীদের মারাত্নকভাবে হতাশাগ্রস্ত করে। এই বয়সে ভালো মন্দের জ্ঞান কম থাকে। ফলে আবেগী সম্পর্কে জরিয়ে পরে সহজেই এবং সেখান বিশ্বাসহীনতার স্বীকার হলেও হতাশাগ্রস্ত হয়।
বিচ্ছেদ
পছন্দের কোন কিছুর বিচ্ছেদ সহজেই মেনে নিতে না পারলেও হতাশাগ্রস্ত হতে পারে।
উপরে উল্লেখিত কারন ছাড়াও আরও নানা কারনে হতাশাগ্রস্ত হতে পারে। সাধারণত কোন কিছু নিয়ে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অতিরিক্ত মন খারাপ থাকলে ডাক্তারী মতে এটাকে হতাশাগ্রস্ত হওয়া বলে চিহ্নিত করা হয়।
হতাশাগ্রস্ত হবার উপসর্গ সমূহ
একজন কিশোর বা কিশোরীর হতাশা একেক রকমভাবে চিহ্নিত হয়। যেমন -
-
মন খারাপ করে থাকা।
-
কথা কম বলা।
-
খাবারের প্রতি অনীহা।
-
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া।
-
সব সময় খিট খিটে মেজাজে থাকা।
-
অল্পতেই রেগে যাওয়া।
-
সব কিছুকেই নেতিবাচকভাবে চিন্তা করা।
-
নিজেকে এক জায়গায় আবদ্ধ করে রাখা।
-
নিজেকে সবচেয়ে অসুখী একজন ভাবা।
-
কাউকেই কাছের একজন মনে না করা।
-
আত্মহত্যার প্রবনতা।
এই হতাশার কারণে হঠাৎ করে চেহারায় ও শারীরিক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। ওজন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কমতে থাকে। খাবারের প্রতিও অনিহা দেখা দেয়।
বাবা-মা অথবা পরিবারের কি করণীয়
কৈশোর বয়সটাই হচ্ছে বয়ঃসন্ধিকাল। এই সময় বাচ্চাটি একটু একটু করে নিজের একটা আলাদা জগত তৈরি করতে শুরু করে। তাই বাবা মার সাথে মতের বিরোধ হয়।
যেমন ১২ বছর বয়সী রেজা প্রায়ই বাবা মার সাথে বিপরীতমুখী আচরণ করছে। তার পছন্দের কাজটি করতে না দিলেই মতবিরোধ হচ্ছে।
আবার একই বয়সী মেয়ে সুহানা তার মাঝেও প্রায় একই রকমের আচরণজনিত সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বাবা মা যেখানে বেড়াতে যেতে চাইছে হয়তো সে সেখানে যেতে চাচ্ছে না। মার পছন্দ করা ড্রেসটি পরতে চাইছে না। হয়তো বলেই ফেলছে "তোমাদের সব কথা শুনতে পারবো না। আমার বারাতে যেতে ইচ্ছে করছে না বা আমি আমার পছন্দের ড্রেসটাই পরবো।"
তাই রেজা ও সুহানার মত কিশোরীদের নিয়ে বাবা মারা বিব্রত, শংকিত ও চিন্তিতই থাকে। সন্তানদের মাঝে ধারণ জন্মায় তারা বেশ বড় হয়ে গিয়েছে, তাই সবার সব কথা শুনতে তারা বাধ্য নয় আর বাবা মার অনুশাসন তখন তাদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি করতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সিলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহেতাব খানের মতে:
"বাবা মার সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হয়েই থাকে। ছোট খাটো বিষয় নিয়েই চিৎকার চেচামেচি হয়। একটা সময় কথা বলাও বন্ধ থাকে। আবার একটা সময় সব কিছু ঠিক ও হয়ে যায়। কিন্তু সন্তানদের মানসিক স্বাস্থ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন মা–বাবার মধ্যে বোঝাপড়া, হৃদ্যতা, শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের পরিবর্তে ঘৃণা, অসম্মান, ক্ষমতা প্রয়োগ ও অবিশ্বাসের চর্চা প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে। সন্তানেরা বয়সে ছোট থাকে বলে মা–বাবার অসুস্থ আচরণগুলো বন্ধ করার ব্যাপারে তেমন কিছু করতে পারে না। যাঁদের তারা ভালোবাসে এবং সম্মান করতে চায়, তাঁরা যখন নিজেরাই পরস্পরের প্রতি সহিংস আচরণ করেন, তখন সেই পরিবেশে সন্তানদের বুকভরে নিশ্বাস নিতেও অসুবিধা হয়। এর ফলে তাদের মধ্যে প্রচণ্ড অসহায়ত্ব, ভয়, নিরাপত্তাহীনতা ও ক্ষোভ তৈরি হতে থাকে। তারা বিরক্তি ও রাগ ভেতরে চেপে রেখে মাঝেমধ্যে খুব অবাক হয়ে লক্ষ করে, দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কীভাবে একেবারে অবুঝ শিশুর মতো আচরণ করছেন।"
আর এই সব ধারাবাহিক ভাবে চলতে থাকলে ছোট থেকে একই পরিস্থিতি দেখতে দেখতে কেশোরে পা রাখা সন্তানটি নিরাপত্তাহীনতায় এবং ডিপ্রেশনে ভোগে।
তাই ঘরে পরিবেশটিতে যাতে তারা মুক্তভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারে, তারা তাদের মনের কথা বাবা মার সাথে বন্ধুসুলভ ভাবেই আলোচনা করতে পারে, কোন রকম ভয়, লজ্জা, সংকোচ যেন তাদের মাঝে কাজ না করে তেমন পারিবারিক পরিবেশ তৈরি করা বাবা মার দায়িত্ব।
বাবা মা ও পরিবারের সকল সদস্যদের বেশ সচেতনতামূলক ভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
পর্যাপ্ত সময় দেয়া
কিশোরী বয়সটাতে বাবা মাকে আরও বেশি করে সন্তানকে সময় দিতে হবে। বাসায় থাকলে দিনের বেশিরভাগ কাজ একসাথে করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন - একসাথে ঘুমাতে যাওয়া, সকালে ঘুম থেকে উঠা। চা বা কফি একসাথে বসে পান করা, দিনের যেকোন একটা বেলার খাবার পরওবারের সবাই একসাথে করা।মোট কথায় তাদের সাথে সর্বোচ্চ সময় কাটানো।
উচ্চ স্বরে কথা না বলা
কিশোরী সন্তানটি কোন কথা না শুনলে চিৎকার করে ধমক দিয়ে কথা না বলা। তাকে বুঝি বলতে হবে। এতে করে কিশোরীটিও নিচুস্বরে কথা নলতে অভ্যস্ত হবে।
পারিবারিক শৃঙ্খলা তৈরি করা
পরিবারে ছোট বড় সবার জন্য একটি নিয়ম তৈরি করা। এতে করে কিশোরী বয়সের সন্তানটি পারিবারিক নিয়মেই চলতে শিখবে।
ভালো কাজের প্রশংসা করা
কিশোরীদের খারাপ কাজের জন্য আমরা বাবা মা যেমন বোকা দেন তেমনি তাদের ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত করতে হবে, ভালো কাজের প্রশংসা করতে হবে।এতে করে তাদের মানসিক অবসাদ তেরি হবে না।
নিরপেক্ষতা বজায় রাখা
কিশোরীটি যাতে কোনভাবেই চিন্তা না করে পরিবারে সে অবহেলিত। তার চেয়ে তার ছোট ভাই / বোন এবং বড় ভাই / বোন বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
মতামতের গুরুত্ব দেয়া
কিশোরী যে কোন বিষয়ের মতামতকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। তাদের দেয়া সিদ্ধান্তের ভালে মন্দ দিক তুলে ধরে তাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন কোন কাজটা কিভাবে করা উচিত হবে।
দায়িত্ববান হতে দেয়া
সব বাবা মাই তার সন্তানটি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হোক চান। ভালো মানুষ হোক, একটা ভালো অবস্থানে যাক চান।কিন্তু এই সব কিছু ওদের উপর চাপায় না দিয়ে সে আসলে কি চায় এবং দায়িত্বের সাথে তাদের চাও যাতে পূরণ করতে পারে সেই শিক্ষা দিতে হবে।
সফলতা ও ব্যর্থতা জীবনের অংশ
সফলতার আশায় আমরা যেমন কোন কিছু পেতে চেষ্টা করি তেমনি অনেক সময় সফল না হয়ে ব্যর্থও হতে পারি। সেক্ষেত্রে হতাশ না হয়ে আবার নতুন করে চেষ্টা করতে হবে। কারন সফলতার মত ব্যর্থতাও জীবনেরই একটা অংশ। এটাকেও সহজভাবে মেনে নিয়ে চলতে হবে। হতাশ হলে হবে না। এই সত্যটুকু কিশোর-কিশোরীদের ভালো করে বুঝাতে হবে।
কোন কিছু নিয়ে বারাবাড়ি না করা
কিশোরী সন্তানটি যদি বাবা মার কোন জথা বা সিদ্ধান্ত মানতে না চায় তবে জোর করে তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না কারন সমস্যার সম্মুখীন হলেই তারা বুঝতে পারবে বাবা মা ঠিক ছিলেন। তা না হলে তাূের বাবা মা কজটি করার যোগ্য মনে করছে না ভেবে হীনমন্যতায় ভুগতে পারে হতাশাগ্রস্ত হতে পারে।
কিশোরীর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে গোয়েন্দাগিরি না করা
কিশোরীর ব্যক্তিগত বিষয় গুলো তার সাথে আলোচনার মাধ্যমেই জানার চেষ্টা করতে হবে। অহেতুক গোপনে জানার চেষ্টা করলে সন্তানটি তার বাবা মার উপর বিশ্বাস হারাতে পারে। পরে একটা সময় সব কিছু লুকানোর প্রবনতা বাড়বে।
উদাসীন না হওয়া
কিশোরী বয়সটি খুবই কৌতুহলী হয়। তাই এই সময় সন্তানটি কোথায় যাচ্ছে, কি করছে, কার সাথে মিশছে ইত্যাদি বিষয়ে নজর রাখতে হবে। তাদের শিক্ষক , বন্ধু সবার সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।
মোট কথায়, কৈশোর বয়সটি খুবই সংবেদনশীল সময়। এই সময় টা ঠিকঠাক পার করতে পারলে সন্তানটি খুব সুন্দর করে তার জীবনকে আগায় নিয়ে যেতে পারে। তাই এই সময় সন্তানটি যাতে কোন রকম বাবা মা থেকে দূরে সরে না যায় এবং কোন রকমভাবে যাতে হতাশাগ্রস্ত না হয় তাই সবার্ত্বক চেষ্টাই করতে হবে বাবা মাকে। সব কিছু সব সময় অনুকূলে থাকে না তাই প্রতিকূলতায় কিশোরীটি যাতে কোন রকম ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে জীবনের সুন্দর সময়কে নষ্ট না করে সেক্ষেত্রে বাবা মা, পরিবার, আত্মীয় স্বজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা খুবই প্রয়োজন।
হতাশাগ্রস্ত কিশোরের চিকিৎসা
পারিবারিক সহযোগিতা ও সহানুভূতি খুবই দারকারী একজন হতাশাগ্রস্ত কিশোরীর জন্য। তাছারাও ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াও খুবই দরকারী।
ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত এন্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ গুলি যাতে যথাযথভাবে নেওয়া হয় সেদিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে পরিবারের সবাইকে। হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তির হতাশার লক্ষণগুলি দূর করতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ডাক্তার নির্ধারিত ঔষুধগুলো ব্যবহার করা উচিত।
কৈশোরবস্থায় হতাশাই এমন একটি রোগ যা অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত, কারণ এটির যথাযথ চিকিৎসা না করা হলে এটি মাদকের অপব্যবহার এবং আত্মহত্যার মতো পরিণতির কারণ হতে পারে যা কৈশোরের জীবনে মারাত্মক সমস্যায় ফেলতে পারে।
কিশোর-কিশোরীদের হতাশা থেকে পুনরুদ্ধারে সহায়তা করার জন্য নানা রকমের খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্যক্রম মনস্তাত্ত্বিক এবং সঠিক পদ্ধতিতে প্যারেন্টিংয়ের অনুশীলন গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত হতাশা নিরাময়ের কার্যকরী পদক্ষেপ বাবা মা ও ঘরে উপস্থিত সদস্যদেরই নিতে হবে।
দুঃখ নয় জীবন থেকে পাওয়া আনন্দের মুহূর্তগুলোকে নিয়েই ভাবা উচিত। না পাওয়া বা ব্যর্থতাগুলো নিয়ে চিন্তা করে হতাশার সাগরে বিলীন হয়ে জীবনটাকে অসহনীয় করার মাঝে কোন সার্থকতা নেই এই উপলব্ধিটা কিশোর-কিশোরীদের একান্ত প্রয়োজন। প্রত্যেক কৈশোর বয়স হোক আনন্দের।কোন রকম হতাশায় কিশোরীর সুন্দর জীবন যাতে হতাশার অন্ধকারে নিমজ্জিত না হয় সেটাই কাম্য।