করোনার এই সময়ে ঘরে থেকেই যেভাবে বাচ্চাদের সময়টাকে কাজে লাগাবেন

করোনাকালীন এই বিশাল বন্ধটি বাচ্চাদের জন্য কি ইতিবাচক হতে পারে? এই সময়টায় বাচ্চাদের গঠনমূলক কি কি কাজ করা যেতে পারে? কিভাবে স্কুলের পড়াশুনা চালানো যায় ঘর থেকে? আসুন বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখি।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া এই প্রাণঘাতী ভাইরাস যেন সবার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এমতাবস্থায় দিনকে দিন আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যাও রীতিমতো সবার মনে কম্পনের সৃষ্টি করছে। যেহেতু এর কোন প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি, তাই করোনা ঠেকাতে বার বার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা শিশু ও কিশোররা আজ গৃহবন্দী। অযাচিত এক দীর্ঘ ছুটি। যে ছুটিতে কোন আনন্দ নেই, নেই কোন উচ্ছাস। সময় যেন থমকে গেছে। সারা পৃথিবীর ব্যস্ত শহর গুলো যেন থেমে । নেই সারি সারি গাড়ীর বহর, শিল্প কারখানার দূষিত ধোয়া, নাগরিক কোলাহল। এক মহা শক্তি যেন স্কুলের রাগী হেড স্যারের মত এক ধমকে সব কিছুকে চুপ করিয়ে দিয়েছে। 

সংকটকালীন পরিস্থিতিতে করণীয়

এই সঙ্কট কিন্তু কারো একার না। পরিবারের সবার। যিনি আয় করছেন তার যেমন, যিনি সংসার সামলাচ্ছেন তারও। যে ছেলেটা প্রতিদিন বিকালে খেলতে যেত বা যে বয়োজেষ্ঠ্য প্রতিদিন নামাজ পড়তে যেতেন তারও। প্রত্যেকের মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত। এ সময়টায় পরিবারের প্রত্যেকের উচিত একে অন্যকে সাহস দেয়া। নিজেদের মধ্যের দূরত্ব গুলো কমিয়ে ফেলার এটাই তো সময়। অনেক সময় এখন আমাদের হাতে। বাড়ীর প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মাথায় যেমন ঘুরছে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা, তেমনি যিনি ঘর সামলাচ্ছেন তিনিও সংকিত। কাজেই কেউ কারো বিপরীতে না দাঁড়িয়ে বরং পাশে বসি। নির্ভরতার হাত রাখি একজন আর একজনের হাতে।

বাচ্চারা যাতে আতঙ্কিত না হয় বোঝাতে হবে

এই লকডাউনের স্থবির অবস্থায় বাড়ির ছোট সদস্যগুলো হচ্ছে সবচেয়ে একঘেয়ে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলো তো আর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এই সময় বড়দের সাথে সাথে বাচ্চারাও বিভিন্ন রকম মানসিক চাপে ভোগে। শিশুদের মানসিক বিষয়ে ন্যাশনাল গাইড লাইনে বলা আছে, যে কোন মানসিক চাপে শিশুরা বড়দের চেয়ে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই মানসিক চাপের এই অবস্থায় বাচ্চারা বাবা মার উপরই বেশি নির্ভরশীল হয়ে পরে। কারণ একটা ছোট বাচ্চার জীবনে খুব বেশি মানুষ নেই। তাই এই সময়টাতে বাবা মাকেই সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে তাদের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য। 

এই করোনা ভাইরাসটা কি? এটা বাবা মাকেই বোঝাতে হবে তাদের এবং এই ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কেও তাদের সতর্ক করতে হবে। বাচ্চাকে বাচ্চার ভাষায়ই বর্তমান সংকটকে এবং এখন কি করণীয় এই বিষয়গুলো বোঝাতে হবে। বার বার হাত ধুতে হবে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে, হাঁচি ও কাশি আসলে রুমাল বা টিসু বা কনুই ব্যবহার করতে হবে। মোট কথায়, বাচ্চাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে সেটা বুঝাতে হবে। এই সময়টাতে বাচ্চাদের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত করে রাখতে পারলে এই বন্দী সময়টাকেও তারা যেন কাজে লাগাতে পারে এবং আনন্দঘন করে তুলতে পারে।

স্কুলের পড়া অনুযায়ী রুটিন করা

এই অনির্দিষ্টকালীন ছুটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাচ্চাদের পড়াশুনা। তাই প্রথমেই তাদের স্কুলের সিলেবাস অনুযায়ী  রুটিন করতে হবে। এতে করে তাদের স্কুল বন্ধের কারণে পড়াশুনায় যে ঘাটতি হচ্ছে তা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠা সম্ভব। তার জন্য বাবা-মাকে সক্রিয় হতে হবে, বাচ্চাদের তাদের পড়াগুলো বোঝাতে হবে এবং তারা যাতে পড়তে আনন্দ পায় সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। পড়াটা যাতে ভীতকরন না হয় সেই চেষ্টা করতে হবে। গল্পের বই পড়ে শোনানো যেতে পারে এতে তাদের কল্পনার জগত প্রসারিত হবে।

বাচ্চাদের অলস সময়কে সংগঠিত করতে হবে

এই সময়টাতে বাচ্চাদের বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত করে রাখতে পারলে তারা এই বন্দী সময়টাকেও যেন কাজে লাগাতে পারে এবং আনন্দঘন করে তুলতে পারে।

প্রথমত রুটিন তৈরি করতে হবে। তারপর বাচ্চাদের সৃজনশীলতা অনুযায়ী তাদের পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন কাজে উৎসাহিত করতে হবে।

  • শিশুদের করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখতেই স্কুল বন্ধ করা হয়েছে। কাজেই আপনার সন্তানকে বাইরে যেতে না দিয়ে বাড়িতেই রাখতে হবে। 

  • মার্কেট, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, আত্মীয়ের বাড়ি বা দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময় এটা নয়। তাতে ঝুঁকি বাড়বে। 

  • কোচিং কিংবা নাচ–গান বা সাঁতারের ক্লাসও বন্ধ রাখতে হবে। ঘরে সীমিতভাবে শিশুদের খেলার বন্দোবস্ত করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

  • দিনের শুরু থেকে রাতে ঘুমাতে যাবার আগ পর্যন্ত কখন ঘুম থেকে উঠবে, কখন পড়তে বসবে, কখন খেলা করবে, কখন টিভি দেখবে, কটার মধ্যে খাওয়া শেষ করবে, কখন ঘুমাবে ইত্যাদি কাজের একটা সুনির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করতে হবে।  

  • শিশুদের বিরক্তিবোধ কাটাতে তাদের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে বাড়ির বড়দের। 

  • ঘরেই খেলায় মেতে উঠতে পারেন। সন্তানকে বই পড়তে ও গান শুনতে উৎসাহিত করতে হবে ।

  • কিছু একটা লিখতে দেয়া বা কোনো সৃষ্টিশীল কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে । 

  • সারা দিন টিভি দেখে বা গেম খেলে সময় কাটানো যাবে না।

  • টুকটাক ঘরের কাজে সাহায্য করতে উৎসাহিত করা যেতে পারে। যাতে ভবিষ্যতে সমস্যা না হয়।  

  • সময় মত ঘরের সবাই এক সাথে বসে খাবার খেতে হবে এতে করে বাচ্চারা সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে উঠে।

  • প্রতিদিন যাতে বাচ্চারা একটা নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যায় সেটা নিঃশ্চিত করতে হবে এবং রুটিনে ঘুমের সময়টাও উল্লেখ করতে হবে। 

বাচ্চারা যাতে সারক্ষণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে সময় না কাটায়

বর্তমান সময়টি হলো ইন্টারনেট নির্ভর। বড় ছোট সবাই আমরা মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, ট্যাব নির্ভর হয়ে গেছি। আমরা বাবা মারাই নিজেদের ব্যস্ততায় বাচ্চার হাতে তুলে দেই এই ইলেকট্রনিক ডিভাইস। 

এর ফলস্বরূপ,যে শিশুরা স্ক্রীনের সামনে বেশি সময় কাটায় তারা খুব অল্পতে উত্তেজিত হয়, মেজাজ, রাগ বা আবেগ নিয়ন্ত্রণে তাদের সমস্যা হয়।  ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে শিশুদের মধ্যে হতাশা, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, এডিএইচডি (এটেনশন ডেফিসিট হাইপার এক্টিভিটি ডিসঅর্ডার) অর্থাৎ কোন কাজে মনোযোগ দেবার যে ক্ষমতা সেটা থাকেনা । তাই এই বন্ধে বাচ্চাদের এই ডিভাইস আসক্তি দূর হয় সে জন্য বাড়ির বড়দের সর্বচ্চো সময় কাটাতে হবে বাচ্চাদের সাথে। 

বাচ্চাদের সাথে বেশী করে সময় কাটান

পরিবারের সবাই বসে লুডু, ক্যারাম, দাবা, বালিশ খেলা ইত্যাদি ঘরোয়া খেলা খেলে ও বাচ্চাদের সময় দিয়ে তাদের সাথে হয়ে যাওয়া দূরত্ব কমানো যেতে পারে। আর বাচ্চারাও বাবা মার সাথে একত্রে অনেকটা সময় কাটানোর সুযোগ পায় যা বাচ্চাদের মানসিক প্রশান্তির জন্য খুবই উপকারী। বাচ্চারা যদি মোবাইলে বা আইপ্যাডে গেম খেলে তবে বাবা মাও তাদের সাথে বসে গেমটা খেলতে পারে। এতে করে তাদের মধ্যকার একটা শেয়ারিং ভাব চলে আসে প্রত্যেক বাচ্চাই চায় বাবা মার সাথে একত্রে সময় কাটাতে, তাদের মনোযোগ পেতে। পরিবারের সবাই একসাথে কোন খেলা খেলতে পারে। সকালে সবাই একসাথে ঘুম থেকে উঠে মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারে এতে করে বড়দের সাথে সাথে বাচ্চাদেরও মনঃসংযোগ হয়। এতে করে বাচ্চাদের ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর প্রতি আকর্ষণ কমবে।

গল্পের বই পড়তে উৎসাহিত করা

ইটারনেট নির্ভর এই যুগে ছোট বড় সবাই বই পড়ার কথা ভুলেই গেছি। আমরা ভুলেই গেছি বইয়ের  প্রতিটা পাতায় রয়েছে এক গভীর রহস্য, আকর্ষণ আর অজানাকে জানার পিপাসা। সেই আকর্ষণটাকে আবার উপলব্ধি করে দেখতে পারি আর আমাদের বাচ্চাদেরও গল্পের বই পড়তে উৎসাহিত করতে পারি। তাদের ছোট ছোট গল্প, কবিতা লিখতেও আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারি। এতে ওদের মাঝে পড়ার বা লিখার আগ্রহের সাথে সাথে সৃজনশীলতারও সৃষ্টি হবে আর একাকিত্বও দূর হবে।   

সৃজনশীল কাজে উৎসাহিত করা

বিভিন্ন সৃজনশীল কাজেও বাচ্চাদের উৎসাহিত করা। যেমন কাগজ কেটে বিভিন্ন নকশা তৈরি করা, গাছের পরিচর্চা করা, রান্না করা, ঘরের অপ্রয়োজনীয় বস্তু দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানানো  ইত্যাদি। এই কাজগুলো বাচ্চাদের আনন্দ দেবে আর তারা নতুন কিছু অভিজ্ঞতাও নিতে পারবে।

বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বাচ্চাদের সাথে মতবিনিময় করা

বর্তমানে আমরা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তার সঠিক ও নির্ভরযাগ্য তথ্য বাচ্চাদের দিতে হবে। পরিস্থিতিটাকে আশাব্যঞ্জক করেই উপস্থাপন করতে হবে। মানে এখন যে সংকটের মাঝে আছি তা স্থায়ী না অচিরেই এই সংকট মোকাবেলা করতে পারবো। আর এই সংকট মোকাবেলা করতে আমাদের মানে বড় ছোট সবাইকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। আর এই করোনা ভাইরাস সম্পর্কে পূঙ্খানুপুঙ্খ খবর তাদের দিতে হবে। তবে এমন ভাবে যে তারা এই বিষয়টা নিয়ে সিরিয়াস হয় তবে আতঙ্কিত নয়। বিজ্ঞানসম্মত আর সঠিক সূত্র থেকে তথ্য নিতে হবে এবং তাদের বুঝিয়ে বলতে কেন বাড়িতে থাকতে হচ্ছে, বাইরে গেলে কী সমস্যা হতে পারে আর কীভাবেই–বা আমরা সতর্ক থাকতে পারি।

বাচ্চাদের সাথে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি ও বর্তমান বিশ্বে ঘটে যাওয়া ঘটানগুলো আলোচনা করে তারা কি ভাবছে তা জানা ও তাদের মতামত কি তাও জানতে চাইলে বাচ্চারা বিষয়গুলো সম্পর্কে ভাববে ও তাদের স্বাধীন মতামত দিতে সক্ষম হবে। এর ফলে বর্তমান পরিস্থিতি অনুভব করতে পারবে। আর অলস সময়টাকে কিভাবে অর্থবহ করা যায় সেই পথ তারাই বের করবে এবং সময়টাকে কাজে লাগাতে সক্ষম হবে।

এ সময় পত্রপত্রিকায়, টেলিভিশনে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত নানা সংবাদ শিশুরা ভীত–উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতে পারে। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে যে, দেশের এই সংক্রমণ হচ্ছে বলে যে সবারই হবে, তা নয়। সংক্রমিত বেশির ভাগ রোগীই যে সেরে ওঠে, তা সম্পর্কেও তাদের জানাতে হবে। 

 

পরিশেষে, এই পুরো বন্ধটা পরিবারের সবাই একসাথে ঘুম থেকে উঠলে, তিন বেলার খাবার খেলে, হাসি ঠাট্টার মধ্যে থাকলে বাচ্চাদের সময়টাও ভালো কাটবে আর পরিবারের সম্পর্কটাও মজবুত হবে। বাচ্চারা বাবা মাকে বন্ধু ভাবতে পারলে আর বাবা মাও বাচ্চাদের সাথে বন্ধ সুলভ আচরণ করলে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ভালো হবে। বাচ্চারাও ছোট বড় সব কিছু মা বাবার সাথে শেয়ার করতে দ্বিধা বোধ করবে না। 

বাচ্চাদের সৃজনশীল ও মুক্ত চিন্তার একজন মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে ঘরের লোকদেরই সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। এতে করে বাচ্চাদেরও বন্ধটা ভালো কাটবে এবং তাদের চিন্তা ভাবনা সম্পর্কেও বড়রা জানবে ও বুঝতে পারবে। যা তাদের মানসিক বিকাশে নিশ্চয় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Default user image

ত্রপা চক্রবর্তী, লেখক, আস্থা লাইফ

নিজেকে ও নিজের মতামতটাকে উপস্থাপনের লক্ষ্যে এই লেখালিখির পেশায় হাতে খরি। মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হচ্ছে ভাষা তবে অনেকেই আছেন যারা হয়তো অনেক কিছু বলে উঠতে পারেন না বা বোঝাতে পারেন না। আর লিখালিখি হয়তো সেই জড়তাটা দূর করতে সহায়তা করে, মুখে বলতে না পারা কথা লিখে অনায়াসে বলা যায়। মুক্তভাবে চিন্তা করতে ভালোবাসি। গল্প, হৈ চৈ করতে ভালোবাসি, রেগে গিয়ে হেরে জেতে চাই না আর ভালো লাগে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে এবং ঔ জায়গার সম্পর্কে মানে ভাষা, সংস্কৃতি, পোশাক ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে। মনে প্রানে বিশ্বাস করি প্রতিটা মানুষের মাঝে এমন কিছু তো আছেই যা তাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করে ও সুন্দর করে। পরচর্চা না করে কারো চর্চা বিষয় হওয়াটাকে সৌভাগ্যের মনে করি।" একদিনে হবে না তবে একদিন ঠিকই হবে" এই বিশ্বাসটা জাগিয়ে তোলার লক্ষ্য উৎসাহিত করার এবং আমার সোনার বাংলাদেশটাকে উন্নত দেশ হিসাবে দেখার স্বপ্ন দেখি।

Related Articles