পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম চেনার ৮টি লক্ষণ  

আপনার কিশোরি মেয়ের মা হওয়ার স্বপ্ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে না তো? ১৮-৪৪ বছরের কিশোরি থেকে মহিলাদের প্রায় ২% থেকে ২০% পিসিওএস রোগে আক্রান্ত হন এবং তাদের মধ্যে অধিকাংশই বন্ধ্যাত্ব বরণ করে মা হওয়ার সামর্থ হারাচ্ছে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওস সম্পর্কে সচেতন না থাকা কিংবা গোপনীয়তার ফলে এমন সমস্যা বেড়েই চলছে। পিসিওস এড়িয়ে চলতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

পিসিওস (PCOS ) কী?

Polycystic Ovarian Syndrome কে সংক্ষেপে PCOS বা পিসিওস বলা হয়। PCOS একটি নারী ঘটিত রোগ। এই সমস্যাটি নারীদের ডিম্বাশয়ে হয়ে থাকে। এটি মূলত একটি হরমোন জনিত রোগ। এই ধরণের সিস্ট হলে ডিম্বাশয়ে কম করে ১২-১৫ টা সিস্ট দেখা যায়। সাধারণত পিসিওএসের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয় থেকে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) প্রচুর পরিমাণে নির্গত হয়। যার কারণে ডিম্বাশয়ের ধার ঘেষে ফোস্কার মতো সিস্ট জন্মায়। এতে ডিম্বাশয় ভারী হয়, কেননা একেকটা সিস্ট ছয় মিলিলিটার ওজন পর্যন্ত হতে পারে। 

পিসিওসে আক্রান্ত কারা বেশি হয়

  • PCOS একটি নারী ঘটিত রোগ হওয়ায় সাধারণত প্রত্যেক নারীই ঝুঁকিতে থাকেন। 

  • তবে সদ্য পিরিয়ড শুরু হওয়া মেয়েরা পিসিওসের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। 

  • অধিক স্বাস্থ্য সম্পন্ন মেয়েরা এর ঝুঁকিতে পরে বেশি। 

  • তাছাড়া ২০-৩০ বছর বয়সী যাঁদের বিয়ের পর থেকেই সন্তান ধারণের সমস্যা ও অনিয়মিত পিরিয়ড কিংবা পিরিয়ডের সময় নানা ধরণের জটিলতা লক্ষ্য করা যায় সেক্ষত্রে পিসিওসে আক্রান্ত কি না তা নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরী। কেননা অনিয়মিত পিরিয়ডের সাথে এই রোগ সাংঘর্ষিক। তবে সব সময় যে পিরিয়ড অনিয়মিত হবে বা ব্যথা থাকবেই এমন কোনও কথা নেই।

  • অন্যদিকে ৩৫-৪০ বছর বয়সী মহিলাদের যাদের ওজন বেশি, খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ন্ত্রণ তারা এই অসুখ ডেকে আনে। 

  • এন্ড্রোমেট্রিওসিস, গর্ভধারণের সময় নানা হরমোনজনিত সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকেও এই অসুখ দানা বাঁধে। সাধারণত পিরিয়ডের সময় পেটে ক্রাম্প ও অত্যধিক ব্যথা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। 

পিসিওস এর লক্ষণ

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিস্ট হলে সহজে না বোঝা গেলেও কিছু লক্ষণ রয়েছে যা পর্যবেক্ষণে বোঝা যায় পিসিওস হয়েছে কি না। এমনও আছে অনেক মহিলা পিসিওস এ আক্রান্ত কিন্তু বুঝতে পারছেন না, তারা তাদের প্রথম মাসিকের সময় উপসর্গ পেয়ে যান।  অন্যরা কেবলমাত্র তাদের অনেক ওজন বেড়ে যাওয়ার পরে বা তাদের গর্ভবতী হতে সমস্যা হওয়ার পরেই বুঝতে পারেন তাদের PCOS আছে।

PCOS এর কিছু সাধারণ লক্ষণগুলি হল-

১) অনিয়মিত পিরিয়ড

পিসিওসের প্রাথমিক লক্ষণের মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ড অন্যতম। ওভুলেশন বা ডিম্বস্ফোটনের অভাব জরায়ুর আস্তরণকে প্রতি মাসে ঝরে যাওয়া থেকে বাধা দেয়। যার ফলে ঠিকভাবে পিরিয়ড হয় না। PCOS-এ আক্রান্ত কিছু মহিলা বছরে আটটিরও কম পিরিয়ড পেয়ে থাকেন আবার অনেকে একবারেই পিরিয়ড পান না। 

২) প্রচন্ড রক্তক্ষরণ

পিসিওস এর কারণে জরায়ুর আস্তরণ দীর্ঘ সময়ের জন্য তৈরি হয়, তাই আপনার পিরিয়ডের সময়কাল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হতে পারে। আর এতে রক্তক্ষরণও ভারী হবে।

৩) চুল বৃদ্ধি

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিস্টের লক্ষণের মধ্যে শরীরের যত্রতত্র চুল বৃদ্ধি একটি সাধারণ লক্ষণ। পিসিওস এ আক্রান্ত অবস্থায় থাকা ৭০ শতাংশেরও বেশি মহিলার মুখ এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চুল গজায়। পুরুষ মানুষের মতো তাদের পিঠ, পেট এবং বুকে সহ শরীরের অভ্যন্তরীণ জায়গায় চুল দেখা যায়। অতিরিক্ত চুল গজানোকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় হিরসুটিজম।

৪) ব্রণ

ব্রণ পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই হয়ে থাকে। তবে পিসিওস হলে ব্রণের আধিক্য দেখা দেয়। কেননা নারী দেহে তখন পুরুষ হরমোনগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে ত্বককে তৈলাক্ত করে তোলে। যেকারণে মুখ, বুক এবং পিঠের উপরের অংশে ব্রণ দেখা যায়।

৫) ওজন বৃদ্ধি

PCOS এ আক্রান্ত হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়  ৮০ শতাংশ মহিলার ওজন স্বাভাবিক ওজনের তুলনায় বেড়ে গেছে।

৬) পুরুষ প্যাটার্ন টাক (Male pattern baldness)

পিসিওস এ আক্রান্ত হলে রোগীর মাথার ত্বকের চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পড়ে যেতে থাকে। এবং চুল পড়াটা পুরুষদের টাক পড়ার মতো করে পরে। অর্থাৎ মাথার দুই সাইডের চুল কমতে শুরু করে।

৭) ত্বকের কালচে ভাব

পিসিওএস এ আক্রান্ত নারীর ঘাড়, কুঁচকিতে এবং স্তনের নিচে অনাকাঙ্খিত কালো দাগ সৃষ্টি হয়। 

৮)মাথাব্যথা

হরমোনের পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পিসিওস হলে অনেকসময় আক্রান্ত মহিলাদের মাথাব্যথা দেখা দেয়। 

পিসিওএস হওয়ার কারণ

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) হওয়ার সঠিক কারণ এখনো অজানা। তবে এটি অস্বাভাবিক হরমোনের মাত্রার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করেন চিকিসকগণ। 

ইনসুলিনের প্রতিরোধ

শরীরে ইনসুলিনের ঘাটতি হলেও পিসিওএস হতে পারে। কেননা ইনসুলিনের উচ্চ মাত্রার কারণে ডিম্বাশয় অত্যধিক টেস্টোস্টেরন তৈরি করে, যা ফলিকলগুলির বিকাশে হস্তক্ষেপ করে এবং স্বাভাবিক ডিম্বস্ফোটনে বাধা দেয়।

ইনসুলিন প্রতিরোধের ফলে ওজন বৃদ্ধিও হতে পারে, যা PCOS উপসর্গগুলিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে, কারণ অতিরিক্ত চর্বি থাকলে শরীর আরও বেশি ইনসুলিন তৈরি করে। 

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

হরমোনের বিভিন্ন ভারসাম্যহীনতার কারণেও পিসিওএস হয়ে থাকে-

  • লুটেইনাইজিং হরমোন (LH)-এর উচ্চ মাত্রা ডিম্বস্ফোটনকে উদ্দীপিত করে, কিন্তু মাত্রা খুব বেশি হলে ডিম্বাশয়ে অস্বাভাবিক প্রভাব ফেলতে পারে।

  • সেক্স হরমোন-বাইন্ডিং গ্লোবুলিন (SHBG)-এর নিম্ন মাত্রা রক্তে টেস্টোস্টেরনের সাথে আবদ্ধ হয় যার ফলে পিসিওএস হতে পারে ।

জেনেটিক

PCOS কখনও কখনও পরিবারিক ভাবে সংক্রামিত হয়। যদি আপনার মা, বোন বা খালার মতো কোনো আত্মীয়ের PCOS থাকে, তবে আপনার এটি হওয়ার ঝুঁকি প্রায়শই বেড়ে যায়।

অর্থাৎ PCOS এর সাথে একটি জেনেটিক লিঙ্ক থাকতে পারে, যদিও এই অবস্থার সাথে সম্পর্কিত নির্দিষ্ট জিনগুলি এখনও সনাক্ত করা যায়নি।

ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ

PCOS-এ আক্রান্ত মহিলাদের প্রায়ই তাদের শরীরে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ওজনও ইনফ্লামেশনে অবদান রাখতে পারে। 

কিভাবে PCOS শরীরকে প্রভাবিত করে

স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এন্ড্রোজেনের মাত্রা আপনার ফার্টিলিটি বা উর্বরতা এবং আপনার স্বাস্থ্যের অন্যান্য দিকগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে।

বন্ধ্যাত্ব

গর্ভবতী হওয়ার জন্য, আপনাকে ওভুলেশন বা ডিম্বস্ফোটন করতে হবে। যে মহিলারা নিয়মিত ডিম্বস্ফোটন করেন না তারা নিষিক্ত হওয়ার মত পর্যাপ্ত ডিম ছাড়েন না। PCOS মহিলাদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের অন্যতম প্রধান কারণ।

বিপাকীয় সিন্ড্রোম

স্থূলতা এবং পিসিওএস উভয়ই একসাথে মিলে আপনার ঝুঁকি বাড়ায়-

  • উচ্চ রক্ত ​​শর্করা

  • উচ্চ রক্তচাপ

  • কম এইচডিএল "ভাল" কোলেস্টেরল

  • উচ্চ এলডিএল "খারাপ" কোলেস্টেরল

একত্রে, এই ঝুঁকিগুলিকে মেটাবলিক সিনড্রোম বলা হয় যার জন্য নিম্নোক্ত ঝুঁকিগুলি বেড়ে যায়-

  • হৃদরোগ

  • ডায়াবেটিস

  • স্ট্রোক

নিদ্রাহীনতা

পিসিওএস এর সাথে দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা সম্পর্কযুক্ত। পিসিওএস এর কারণে রাতে শ্বাস-প্রশ্বাসে বারবার বিরতি হয়, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।

অতিরিক্ত ওজনের মহিলাদের মধ্যে স্লিপ অ্যাপনিয়া বেশি দেখা যায়, বিশেষ করে যদি তাদের PCOS থাকে। যেসব নারীদের স্থূলতা এবং PCOS উভয়ই আছে তাদের জন্য যাদের PCOS নেই তাদের তুলনায় স্লিপ অ্যাপনিয়ার ঝুঁকি ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি।

এন্ডমেট্রিয়াল ক্যান্সার

ডিম্বস্ফোটনের সময়, জরায়ু আস্তরণের ক্ষরণ হয়। আর আপনি যদি প্রতি মাসে ডিম্বস্ফোটন না করেন তবে আস্তরণগুলি জমা হয়ে থাকবে।

একটি ঘন জরায়ু আস্তরণ আপনার এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

বিষণ্ণতা

হরমোনের পরিবর্তন এবং অবাঞ্ছিত চুলের বৃদ্ধির মতো লক্ষণ উভয়ই আপনার আবেগকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে যার কারণে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগ দেখা দেয়। 

পিসিওএস ও প্রেগনেন্সি 

পিসিওএস থাকলে গর্ভবতী হওয়া অসম্ভব নয়, তবে পিসিওএস থাকলে গর্ভধারণ করার চেষ্টা করা অবশ্যই অন্যান্য ক্ষেত্রের থেকে বেশি কঠিন হতে পারে। এর কারণ হল পিসিওএস এর নারীদের হরমোন ভারসাম্যহীনতা থাকে যা স্বাভাবিক ডিম্বস্ফোটন এবং মাসিক চক্র বিঘ্নিত করতে পারে।

পিসিওএস হলেও প্রেগন্সি নিয়ে ভয় না পাওয়াই শ্রেয়। কেননা যদি পিসিওএস আক্রান্ত নারীর বয়স বয়স ৩৫ বছরের কম হয়, নিয়মিতভাবে ডিম্বস্ফোটন হয়, এবং রোগীর সঙ্গীর অন্য কোনো চিকিৎসা পরিস্থিতি না থাকে যা গর্ভধারণের উর্বরতাকে প্রভাবিত করে, তাহলে সম্ভাবনা হল গর্ভাবস্থা এক বছরের মধ্যে এবং সম্ভবত তাড়াতাড়ি ঘটবে। পিসিও থাকুক বা না থাকুক এটাই সত্য। তবে রোগীর বা রোগীর সঙ্গীর অন্য চিকিৎসার অবস্থা থাকে যা রোগীর উর্বরতাকে প্রভাবিত করে, যেমন কম শুক্রাণুর সংখ্যা বা এন্ডোমেট্রিওসিস, সেক্ষেত্রে গর্ভধারণে এক বছরের বেশি সময় নিতে পারে। 

তবে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন যে যদি রোগী ৩৫ বছরের কম হন এবং এক বছর চেষ্টার পরও গর্ভধারণ করতে পারেননি সেক্ষেত্রে তার গর্ভধারণ সংক্রান্ত চিকিৎসা নেওয়া জরুরী।

প্রতিকার

পিসিওস থেকে পরিত্রাণ পেতে ডাক্তারি চিকিৎসা ও ঘরোয়া চিকিৎসা দুধরণের চিকিৎসাই কার্যকর।

ডাক্তারি চিকিৎসা

পিসিওএস থেকে পরিত্রাণ পেতে ডাক্তারি চিকিৎসার বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে পিসিওস থেকে মুক্তি মেলে।

ঘরোয়া চিকিৎসা 

পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া চিকিৎসাও বেশ ভূমিকা রাখে। প্রথমত ডায়েট চার্ট মেনে ও ব্যায়াম করে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমালে পিসিওএস থেকে মুক্তি মেলে। তাছাড়া দুগ্ধজাত খাবার কম খেলে, মিষ্টি না খেলে পিসিওএস থেকে মুক্তি মেলে। পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসাঃ

  • দারচিনি

এক গ্লাস গরম পানিতে এক চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে হবে। এতে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর হয় এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যা কমে। যদি গরম জলে দারচিনি গুঁড়ো না খেতে পারেন, তা হলে চায়ে অথবা দইয়ে মিশিয়ে খেতে পারেন।  এটা কিন্তু নিয়ম করে খেয়েই যেতে হবে।

  •  অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার

দু’ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অথবা লাঞ্চ-ডিনারের আগে কয়েক মাস খেততে হবে। অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরে খুব তাড়াতাড়ি ওজনও কমে।

শেষ কথা

পিসিওএস নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত ব্যায়াম, খাদ্যাভাস পরিবর্তনের কোনো উপক্রম নেই সেই সাথে ডাক্তারের পরামর্শ। পিসিওস নিরাময়ে দরকার সুশৃঙ্খল জীবন ব্যবস্খা আর এটি মেনে চলতে পারলে দ্রুতই এই সমস্যা থেকে পরিত্রান মিলবে।

কিছু সাধারণ প্রশ্ন

১) পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে কি ডায়েটচার্ট মানতে হবে?

উঃ হ্যাঁ। পিসিওএস নিয়ন্ত্রণ করতে চিকিৎসকের পরামর্শে একটি ডায়েট চার্ট তৈরী করে নিয়মিত খেতে হবে।

২) পিসিওএস হলে মা হওয়া যায়?

উঃ পিসিওএস হলে গর্ভধারণ জটিল প্রক্রিয়া হলেও সন্তান ধারণ করা যায় এবং রোগী মা হতে পারেন। 

৩) পিসিওএস-ই কি একমাত্র সিস্ট যা ওভারিতে হয়?

উঃ না। পিসিওএস ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের সিস্ট হয়ে থাকে ওভারিতে। সেসব সম্পর্কে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ুন-

Default user image

বিশাল সাহা, লেখক, আস্থা লাইফ

পড়ছি ঢাকা কলেজে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে। লেখালিখির প্রতি টান ক্লাস নাইনের শেষ থেকে। মূলত কবিতা লিখলেও গল্প, জাতীয় পত্রিকায় কলাম লেখা হয় নিয়মিত। আস্থা লাইফ এ লেখার সুযোগ পেয়ে আমার জানার ও লেখার পরিধিটা বিস্তৃত হচ্ছে। ইমেইলঃ bishalsahabd@gmail.com

Related Articles