কেন মায়েরা প্রসব পরবর্তী মানসিক সমস্যায় ভুগছেন?

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা সন্তান জন্মদান পরবর্তি বিষণ্ণতা একটি সাধারণ রোগ হলেও এটি সম্পর্কে সচেতনতা প্রায় শূন্যের কোটায়। রোগটি সম্পর্কে অসচেতনতা মা ও শিশুর জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। আসুন জেনে নেই পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের কারণ, উপসর্গ, চিকিৎসা ও করণীয় সম্বন্ধে।

মিনা ও রাশেদ (ছদ্মনাম) আজ দুই বছর সংসার করছে। মিনা স্নাতক পড়ছে, অন্যদিকে রাশেদ মাঝারি আয়ের একটা চাকরি করে। রাজধানীর এক ছিমছাম বাসায় দুজনের সংসার। এরমাঝেই এক দিন মিনার শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করলে চেকাপ এর পর জানা যায় মিনা অন্তঃসত্ত্বা। আকর্ষিক এই ঘটনায় দুজনের ভেতরই একটি মিশ্র অনুভূতি কাজ করে। একে মিনার পড়ালেখা শেষ হয়নি, অন্যদিকে রাশেদের আয়ে এখনি একটা সন্তান নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে কিনা এই সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে দুজনের মনে। তবুও তাদের প্রথম সন্তানের আগমনের আনন্দ কি করে অস্বীকার করতে পারে! দুজনেই পূরোদমে প্রস্তুতি নিতে থাকে অনাগত অতিথির জন্য। বাচ্চার এটা-ওটা, জামা-কাপড়, অর্থ-সঞ্চয় প্রায় সবই গুছিয়ে ফেলে দুজনে মিলে।

তারপর একসময় মিনার ডেলিভারীর তারিখ চলে আসে। ফুটফুটে একটি মেয়ে শিশুর মাতৃত্ব লাভ করে মিনা। রাশেদ তো বেজায় খুশি, মিষ্টি কিনে নিজে প্রতিবেশিদের মধ্যে দিয়ে আসে সে। মিনাও খুশি, তবে গত নয়-দশ মাসের প্রেগনেন্সির স্মৃতি ও প্রসবকালের যন্ত্রণার স্মৃতি মিলিয়ে সে যেন একটা ঘোরের মধ্যে থাকে। যেন তার চারপাশের পৃথিবী আর স্বাভাবিক নেই, কেমন গুমোট একটা বিষণ্ণতা বোধ হয় তার। সে ভাবে, হয়ত দ্রুতই এমন লাগা কেটে যাবে কিন্তু আদতে যেন আরো একটু বেড়ে যায়। সন্তান জন্মানোর পরে তার বিষণ্ণ লাগছে এ কথা রাশেদকেও জানাতে পারে না, বেচারা রাশেদ কতই না কষ্ট করেছে এই কয়েক মাস। আর তার আনন্দটাকে নষ্ট করার ইচ্ছা তার হয় না।

এভাবে আরো কিছুদিন কাটে, রাশেদ তার অফিসের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, আর মিনা একা একা বাসায় থাকে। বাচ্চা ঘুমালে একটু রান্না-বান্না, বাড়ির কাজ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনকিছুতেই যেন তার মন বসতে চায় না। এদিকে বাচ্চার দিকেও মন দিতে পারছে না। বাচ্চা শুধু কাঁদে, মিনা বুঝতে পারে না কোথায় সমস্যা। সন্দেহের কাঁটা তার হৃদয় বিদ্ধ করতে থাকে, সে কি বাচ্চার যত্ন নিতে পারছে না? সে কি মা হিসেবে তার দায়িত্বে ব্যার্থ? দুশ্চিন্তায় মিনা ঘুমাতে পারে না ঠিক মত, বাচ্চার প্রয়োজনও বুঝতে পারে না। মিনা ও তার বাচ্চা দুজনেরই শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকে। রাশেদও ওদের দুজনকে নিয়ে শঙ্কিত হয়, সাথে এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বউ-বাচ্চাকে সময় দিতে না পারার অপরাধবোধ তার ভিতরেও কাজ করে।

তবে সে আর ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয়, দ্রুত সে মিনা ও বাচ্চাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার মিনার সমস্যা শুনে একজন সাইক্লোলোজিস্ট দেখানোর পরামর্শ দেন। সাইকোলোজিস্টকে দেখালে তিনি বলেন, মিনা খুব সম্ভবত পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভুগছে। পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হলো মায়েদের প্রসব পরবর্তি একটি মানসিক রোগ যা তীব্র বিষণ্ণতা, অবসাদ, অমনোযোগ, অসহায়বোধ এমনকি বিশেষ পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি সাধন করতে পারে। তবে রোগটির চিকিৎসা আছে ও কিছু সতর্কতা ও নিয়ম মেনে এই রোগটি প্রতিরোধ করা যায়। 

রাশেদ বুঝতে পারে মিনাকে এই অবস্থায় একা রাখা ঠিক হবে না। সে মিনাকে তার বাবা-মায়ের বাসায় দিয়ে আসে। মিনার পরিবারের সহচার্য,  সহযোগিতা ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে মিনা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে।

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন প্রসূতি মায়েদের ভেতর একটি সাধারণ ঘটনা। প্রতি ৭ জনের ১ জন মা এই ধরণের বিষণ্ণতার স্বীকার হন। তবে আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মানসিক বিষণ্ণতাকে রোগ বলেই বিবেচনা করা হয় না। সে অনুযায়ী অবাক হবার কিছু নেই যে খুব কম সংখ্যক পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনই মানুষের সামনে আসে। বেশিরভাগ নারীই তা হয় নিজেই কাটিয়ে ওঠেন কিংবা না বুঝে নিজের বা বাচ্চার বেড়ে ওঠার কিছু একটা ক্ষতি করে ফেলেন। স্বাভাবিকভাবেই সন্তান জন্ম দানের পরে নারী শারীরিক ও মানসিক ভাবে খুবই স্পর্শকাতর অবস্থায় থাকেন। এই লেখাটিতে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের ইতিবৃত্তান্ত সহজ ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করেছি।

বেবি ব্লুজঃ পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের প্রথম পর্য়ায়

সন্তান জন্মদানের পরে বিষণ্ণতা, মন ভার হয়ে থাকা, সবকিছু অর্থহীন লাগার মত উপসর্গ হলে তাকে বেবি ব্লুজ বলা হয়। সাধারণত বেশিরভাগ নারীই প্রসব পরবর্তীতে এটি অনুভব করেন। তবে বিষণ্ণ ভাব তেমন প্রকট হয়ে ওঠে না এবং ৩-৫ দিনের ভেতর চলে যায়। যদি বেবি ব্লুজ এর উপসর্গ ১৪ দিনের বেশি থাকে তবে তাকে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বলে ধরা হয়।

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন কি?

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হলো নারীর প্রসব পরবর্তি একটি গুরুতর মানসিক সমস্যা যা কিনা তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ও এমনকি বাচ্চার বিকাশের জন্য হুমকি স্বরূপ হতে পারে। সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত একজন মা বিষণ্ণতা, হতাশা, নেই নেই অনুভূতি, বাচ্চার সাথে সংযোগহীনতা এসব সমস্যার ভেতর থাকেন।

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের উপসর্গ সমূহ

  • খুব উত্তেজিত বোধ করা এবং মেজাজ থিটখিটে হওয়া

  • মন খারাপ থাকা, হতাশা বোধ করা

  • বুক ফেটে কান্না আসা

  • নিজের অথবা বাচ্চার ক্ষতি করার চিন্তা হওয়া

  • বাচ্চার সাথে কোন সংযোগ অনুভব না করা

  • বাচ্চার যত্নে উৎসাহ না পাওয়া

  • খুব কম খাওয়া বা খুব বেশি খাওয়া

  • বেশি অথবা কম ঘুমানো

  • কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে সমস্যা হওয়া

  • স্মৃতি বিভ্রাট হওয়া

  • অপরাধবোধ, সবকিছু অর্থহীন লাগা। নিজেকে ব্যর্থ মা ভাবা

  • আনন্দের কাজেও কোন আনন্দ না পাওয়া

  • পরিবার ও বন্ধুবান্ধব থেকে দূরে সরে যাওয়া

  • মাথার যন্ত্রণা, গায়ে ব্যথা ও পরিপাক ক্রিয়ায় সমস্যা হওয়া

বাচ্চার সাথে সংযোগ বলতে কি বোঝায়?

মায়ের সাথে শিশুর আলাদা একটা সংযোগ তৈরি হয়। বাচ্চার কাঁদার ধরণ, আওয়াজ, অঙ্গভঙ্গি সবকিছু থেকেই মা বুঝতে পারে কখন বাচ্চার ক্ষুধা পেয়েছে, কখন মলত্যাগ করেছে কিংবা অসুস্থ বোধ করছে। পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত নারী মনোযোগ এর সমস্যা থেকে বাচ্চার সাথে সংযোগ সেভাবে গড়ে উঠে না। বাচ্চাটিও আরামদায়ক পরিবেশ পায় না কারণ তার মা তার প্রয়োজন গুলো বুঝতে পারছে না। অন্যদিকে মায়েরও বাচ্চার অনবরত কান্নাকাটি ও কান্না না থামাতে পারার ব্যর্থতা থেকে অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। 

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের কারণ

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের কোন সুনির্দিষ্ট করণ জানা যায় না। তবে প্রসবকালে শরীরের হরমনের পরিবর্তনকে এক্ষেত্রে দায়ী করা হয়। প্রসবের পরে এস্টোজেন ও প্রোজেস্টোরেন নামক দুটি হরমনের মাত্রা সবচাইতে বেড়ে যায় এবং ২৪ ঘন্টার ভেতরে হঠাৎ স্বাভাবিক হয়ে যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের উপর হরমনের এই হ্রাস-বৃদ্ধির ভূমিকা আছে বলে জানা যায়। আরো কিছু কারণ পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনকে প্রভাবিত করে,

  • প্রসব পরবর্তি ক্লান্তি

  • কোন কারণে দুশ্চিন্তা

  • প্রসবের আগে ভালোমত ঘুম না হওয়া

  • অবসর সময়ের অভাব

  • একা থাকা, পরিবারের সহায়তা না পাওয়া

  • সন্তানের কোন রকম সমস্যা থাকা

  • অর্থাভাবের আশঙ্কা

মায়ের পোস্টপোর্টম ডিজঅর্ডার বাচ্চার উপর যে যে প্রভাব ফেলতে পারে

  • ভাষাগত সমস্যা, কথা বলা শিখতে দেরী হওয়া

  • মায়ের সাথে বিচ্ছিন্ন থাকা

  • বুদ্ধি বিকাশে সমস্যা হওয়া

  • অনবরত কাঁদতে থাকা

  • ওজন ও উচ্চতা না বাড়া ইত্যাদি

  • সামাজিক হতে না পারা

যাদের পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বেশি

  • পূর্বে ডিপ্রেশন বা বাইপোলার ডিপ্রেশনের ইতিহাস থাকা

  • পরিবারের কারো ডিপ্রেশন বা বাইপোলার ডিসঅর্ডারের ইতিহাস থাকা

  • পরিবার ও বন্ধুদের থেকে বিচ্ছিন্নতা

  • গর্ভাবস্থায় ডিপ্রেশনে থাকা

  • পূর্বে প্রসব ও জন্মদান সম্পর্কে বাজে অভিজ্ঞতা থাকা

  • অপ্রাপ্ত বয়সে গর্ভধারণ

  • এলকোহল, ধূমপান সহ যেকোন বেআইনি দ্রব্য গ্রহণ

  • বুকের দুধ খাওয়াতে সমস্যা হওয়া

  • অপরিকল্পিত ভাবে গর্ভধারণ করা

 

বাইপোলার ডিজঅর্ডারের  উপসর্গ ও করণীয়।

 

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের চিকিৎসা

যদিও যেকোনো মানসিক রোগে আসেপাশের মানুষের আন্তরিকতা, সহমর্মিতা ও রোগটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান রাখাই সবচাইতে সহায়ক। তবুও পরিস্থিতি উন্নতির দিকে না গেলে অতি অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।  সাধারণত রোগটি যেভাবে চিকিৎসা করা হয়-

থেরাপি

এটি সাধারণত কোন বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে সে অনুযায়ী কাজ করা ও বোঝার চেষ্টা করা।  মনোবিদ, থেরাপিস্ট কিংবা মানসিক সহায়তা করে এমন কোন প্রতিষ্ঠান হতে পারে। থেরাপির ক্ষেত্রে রোগীকে তার সব অনুভূতি খুলে বলতে হয়, সেগুলো দিয়ে থেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা বুঝতে পারেন ও মানসিক সমস্যা থেকে কিভাবে নিস্তার পাওয়া যায় তার পরামর্শ দেন।

ঔষধপত্র

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আপনার সমস্য বিবেচনা করে ঘুম, ডিপ্রেশন প্রতিরোধি ঔষধ দিয়ে থাকেন। মনে রাখবেন শরীরের ঔষধের চেয়ে মনের ঔষধের পার্শপ্রতিক্রিয়া বেশি হয়ে থাকে, যদি না তা ঠিকভাবে গ্রহণ করা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ খাবেন না।

ইলেক্ট্রোকনভ্যুলসিভ থেরাপি (ECT)

গুরুতর পর্যায়ে এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যখন কোন রোগীর উপর অন্য কোন চিকিৎসা কাজ করে না, সে পর্যায়ে রোগীর মস্তিষ্কে পরিমিত ফ্রিকুয়েন্সির বিদ্যুৎ তরঙ্গ পাঠিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এটি গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই রোগের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পর্যায় হলো পোস্টপোর্টম সাইকোসিস। এ অবস্থায় রোগী মানসিকভাবে একেবারে বিকারগ্রস্থ হয়ে পড়েন। সাধারণত বাইপোলার ডিজঅর্ডার বা অন্য মানসিক রোগের ইতিহাস থাকলে এটি হতে পারে। 

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত রোগীর করণীয়

  • পর্যাপ্ত ঘুমানো

  • বাড়ির লোকেদের আপনার অনুভূতি প্রকাশ করুন, তাদের সহযোগীতা চান

  • খুব বেশি কাজ করবেন না, একেবারে অলসভাবে বসেও থাকবেন না

  • বন্ধুর সাথে কথা বলুন, অন্য মায়েদের সাথে কথা বলুন

  • বাবা-মায়ের সাথে থেকে আসতে পারেন

  • আনন্দ পান এমন কিছু করার চেষ্টা করুন

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে আক্রান্ত রোগীর পরিবারের করণীয়

  • গর্ভবতী মায়ের প্রতি আলাদা ভাবে যত্নবান হওয়া

  • তাকে সঙ্গ ও মানসিক ভাবে স্বস্তি দেওয়া

  • কোন রকম দুশ্চিন্তার ভেতর না রাখা

  • বাচ্চার দায়িত্ব শুধু মায়ের উপর না দিয়ে দেওয়া

  • বাড়ির কাজে সহায়তা করা

  • মা পর্যাপ্ত অবসর পাচ্ছে কিরা খেয়াল রাখা

  • ঘুম ঠিকমতো হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখা

  • পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের উপসর্গ দেখা গেলে, তাকে বোঝানোর চেষ্টা করা যে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার ও চিন্তার কোন কারণ নেই

  • অবস্থা খারাপের দিকে গেলে বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া

 

পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন নারীর জীবনে খুবই সাধারণ একটি মানসিক রোগ। এটিকে অবহেলা মা ও সন্তানের জন্য  বয়ে আনতে পারে নানাবিধ জটিলতা। তাই অবহেলা নয়, সচেতনাতা, সতর্কতা ও সঠিক সময়ে বিশেষজ্ঞের স্বরনাপন্য হলেই রোগটি থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব।

Default user image

দিগ্বিজয় আজাদ, লেখক, আস্থা লাইফ

আমি শিল্প সাহিত্যের লোক, একই সাথে বিজ্ঞানের কৌতুহলী ছাত্র। লিখালিখি আঁকাআঁকি করতে ভালোবাসি, পড়ালেখা করছি মাইক্রোবায়োলোজি নিয়ে। আস্থা ব্লগে কাজ করতে পেরে চরিত্রের দুটো দিকই যেন সমানভাবে সন্তুষ্ট হচ্ছে। চেষ্টা করি কত সহজে আপনাদের সামনে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা যায়। এবং এই প্রক্রিয়ায় যদি কেউ লাভবান হন, বা কিছু শিখতে যদি পারি সেই আমার পরম প্রাপ্তি। ব্যক্তিগত জীবনে শখের মিউজিশিয়ান। নেশার মধ্যে বই পড়া ও ঘুরে বেড়ানো।

Related Articles