ভবিষ্যতের মহামারী অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সে, যার কোন ভ্যাক্সিন নেই।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বর্তমান বিশ্বে একটি বহুল আলোচিত সমস্যার নাম। সমস্যার চাইতে বরং বিপদ বলাই সমিচীন হবে। কারণ অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স স্থায়ী ভাবে বদলে দিতে পারে মানবজতির ভাগ্য। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাক্টেরিয়ার সমস্যাটি গুরুতর হয়ে গেলে আর পেছনে নেবার কোন পথ থাকবে না। তাই বিশ্বের বড় বড় স্বাস্থ্য সংস্থা গুলোর টনক নড়তে শুরু করেছে। কিন্তু বেশি দেরী হয়ে গেল কি? এই প্রবন্ধটিতে সাধারণের বোধগম্য করে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ও এর ঝুঁকির কারণ ব্যখ্যা করার চেষ্টা করব।

অ্যান্টিবায়োটিক কি?

অ্যান্টিবায়োটিক কি জানার আগে অনুজীব ও ব্যাক্টেরিয়ার কিছু প্রাথমিক ধারণা জানা যাক। আমাদের পৃথিবীর প্রায় সমস্ত স্থান এককোষি ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা পরিপূর্ণ। উধাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, এক গ্রাম মাটিতে প্রায়  ১০০০০০০০০০০০ টি ব্যাক্টেরিয়া অবস্থান করে, আবার এই ব্যক্টেরিয়ারও আবার হাজার হাজার প্রজাতি আছে।

এখন ধরুন, মাটির একটি জায়গায় বেশি পুষ্টি উপাদান আছে। মাটির সেই অংশে থাকার জন্য বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া প্রজাতির ভেতর প্রতিযোগীতা চলবে। এর ভেতর কিছু ব্যাক্টেরিয়া এমন এক ধরণের বায়োক্যামিক্যাল উৎপন্ন করে, যা অন্য ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে। ফলে সেই সব ব্যাক্টেরিয়া অন্য সব ব্যাক্টেরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।

ব্যাক্টেরিয়াদের উৎপন্ন সেইসব বায়োক্যামিক্যাল যদি ল্যাবে উৎপন্ন করা যায় তাহলে তা ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত রোগ, ক্ষত ইত্যাদিতে ব্যাবহার করা যাবে। এই ব্যপারটাই বুঝেছিলের আলেকজেন্ডার ফ্লেমিং ১৯২৮ সালে। ব্যাক্টেরিয়া হতে উৎপন্ন এইসব বায়োক্যামিক্যালকেই মূলত অ্যান্টিবায়োটিক বলে। প্রচীন গ্রীসে ক্ষত স্থানে ছত্রাক ধরা পাওরুটি ঘষা হতো যাতে তাতে পঁচন না ধরে। তারা বৈজ্ঞানিক ভাবে এটি না করলেও তা অ্যান্টিবায়োটিক এর জন্যই কাজ করত। অ্যান্টিবায়োটিক শব্দের অর্থ জীবধ্বংশকারী। পরিপূর্ন ভাবে এমন বলা যায়,

“অনুজীব হতে উৎপন্ন এমন বায়োক্যামিক্যাল যার অন্য অনুজীব ধ্বংস করার ক্ষমতা আছে, ও এটি সঠিক গবেষণা সাপেক্ষে খুবই সতর্কতার সাথে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়”।

অ্যান্টিবায়োটিক কিভাবে কাজ করে?

অ্যান্টিবায়োটিক এর কাজ হলো ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া। এটা ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফেলার মাধ্যমে অথবা ব্যাক্টেরিয়ার বংশবৃদ্ধি বন্ধ করে ফেলার মাধ্যমে সম্ভব হতে পারে। 

পৃথিবীতে মোট ৭ টি প্রধান ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে এবং বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার উপর বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক আলাদা ভাবে কাজ করতে পারে। 

উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এমোক্সিলিন একটি এন্টিব্যাক্টেরিয়াল যা ব্যাক্টেরিয়ার কোষে অবস্থিত প্রটিন এর সাথে যুক্ত হয়ে কোষটি ভেঙে দেয়। এভাবে কোন অ্যান্টিবায়োটিক কোষ প্রাচীর ভেঙে দেয়, আবার কোন অ্যান্টিবায়োটিক কোষপ্রাচীর এর রিসিপ্টার গুলো অকেজো করে দেয় ইত্যাদি।

অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে পৌঁছানো মাত্রই তার কাজ শুরু করে দেয়। এমোক্সিলিন ঔষধটি শরীরের সকল অংশে পৌঁছাতে মাত্র এক ঘন্টা সময় লাগে। তবে পুরোপুরি ব্যাক্টেরিয়া দূর করতে ২-৩ দিন লাগতে পারে। চলুন অ্যান্টিবায়োটিক এর মূল কাজগুলোর একটা লিস্ট করা যাক, তাহলে পরবর্তি অংশে সহজে বুঝতে সুবিধা হবে, কেন ব্যাটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাওয়া বিপদজ্জনক।

  • ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ জনিত রোগে। (এর ভেতর হাজার হাজার রোগ অন্তর্গত)

  • ক্ষত স্থানে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ রোধে।

  • সব রকম শল্য চিকিৎসায় কাঁটা অংশে সংক্রমণ রোধে।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো কি কি?

প্রতি দশজনের একজন মানুষের অ্যান্টিবায়োটিক ইনটলারেন্স (পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া) থাকে। অ্যান্টিবায়োটিক ইনটলারেন্স থাকলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। অ্যান্টিবায়োটিক ইনটলারেন্স এর লক্ষন গুলো লক্ষ করুন।

  • বমি হওয়া।

  • বমি বমি ভাব।

  • ডায়রিয়া।

  • খাবারে অরুচি।

  • পেটে ব্যথা। 

  • পেট গুড়গুড় করা ইত্যাদি।

তাছাড়াও অল্প সংখ্যক মানুষের অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে এলার্জির উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে এলার্জি হওয়ার লক্ষন গুলো হলো,

  • শরীর চুলকানো

  • শুকনো কাশি

  • হাঁচি

  • শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা।

এগুলো অ্যান্টিবায়োটিক এর সাধারণ পার্শপ্রতিক্রিয়ার অন্তর্গত। দীর্ঘদিন অনিয়মিত ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন জটিলতর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে যা শুধু সেবনকারী না, পুরো মানবজাতীর জন্য হুমকি স্বরুপ হতে পারে। প্রবন্ধটির পরবর্তি অংশ গুলো সেসব নিয়ে আলোচনা করব।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কি? কিভাবে হয়? কেন হয়?

কোন অনুজীব, বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাস যদি অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতেও টিকে থাকার বৈশিষ্ট অর্জন করাকে বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। 

ধরুন কোন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে ব্যাক্টেরিয়ার কোষ প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার মাধ্যমে। এক কোটি ব্যাক্টেরিয়ার উপরে যদি তা প্রয়োগ করা হয়, দেখা যাবে গুটি কয়েক ব্যাক্টেরিয়ার কোষ প্রাচীরের উপর আলাদা একটা স্তর থাকার কারণে সেই ব্যাক্টেরিয়া গুলো বেঁচে গেছে। 

এখন সেইসব রেজিস্ট্যান্স ব্যাক্টেরিয়া যদি বংশ বৃদ্ধি করে, তাদের থেকে উৎপন্ন সব ব্যাক্টেরিয়াই কোষ প্রাচীর এর উপর কাজ করে এমন অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতিতে বেঁচে থাকার বৈশিষ্ট অর্জন করবে।

এখানে এক কোটির উদাহরণ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু আসলে এমন ভিন্ন বৈশিষ্ট সম্পন্ন ব্যাক্টেরিয়া কয়েক বিলিয়ন এও নাও থাকতে পারে কিংবা কয়েক হাজারেও থাকতে পারে।

আবার রেজিস্ট্যান্স হয়ে গেলেই যে তা ক্ষতিকর হবে তা নয়। কারণ ব্যাক্টিরিয়ার সংখ্যা কমে গেলে, মানব শরীরের প্রতিরক্ষা বেশিরাভাগ ক্ষেত্রেই তা দমন করতে পারে, তা সে রেজিস্ট্যান্স হোক বা সাধারণ হোক।

আরেকটি পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যাক্টেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হতে পারে, তা হলো জিন ট্রান্সফার। ব্যাক্টেরিয়া তার জিনেরর একটি খন্ড অন্য ব্যাক্টেরিয়াকে দিতে পারে। একটি ব্যাক্টেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধী হয়ে গেলে, সে ঐ বৈশিষ্টের জিন অন্য ব্যাক্টেরিয়াকে দেওয়ার মাধ্যমে সব ব্যাক্টেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে ওঠতে পারে।

ঠিক এই সমস্যাটি করে আমাদের অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া গুলো। তারা সাধারণত মানবদেহের পরিপাকের জন্য উপকারী। তারা সবসময়ই মানব দেহে অসংখ্য পরিমানে থাকে। আর অন্ত্রের ব্যাক্টেরিয়া গুলোইর অ্যান্টিবায়োটিক নিরোধী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাদের থেকে সরাসরি ক্ষতি হয় না। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় যখন তারা সেই রেজিস্টেন্ট জিন অন্য ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার সাথে শেয়ার করে। 

কেন অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স উদ্বেগের বিষয়?

এখন খেয়াল করুন। পৃথিবীতে মাত্র সাত ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক আছে। এখন কোন ব্যাক্টেরিয়া যদি সেই সাতটি অ্যান্টিবায়োটিক থেকেই রেজিস্ট্যান্স অর্জন করে। মানব সভ্যতা বিলীন হয়ে যাবারও আশঙ্কা থাকে। কারণ দেখুন, যখন কোন ব্যাক্টেরিয়াকে দমন করার সবকটা উপায় নষ্ট হয়ে যাবে, তখন শুধু চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। কিন্তু আদৌ কি সে পর্যন্ত যাবে কোনদিন?

বিশ্বাস করুন বা না করুন, পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক দেশে এমনও ব্যাক্টেরিয়া পাওয়া যাচ্ছে যারা ৩-৪ টি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে গেছে। এতে করে মৃত্যুহার যেমন বাড়ছে, আরো বাড়ছে চিকিৎসা সেবা খরচ। 

বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার জন্য সার্জারি প্রয়োজন হয়। যেমন ধরুন সিজার, কিংবা ওপেন হার্ট সার্জারি। আর এইসব কাটাকুটির পুরোটাই নির্ভরশীল শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের উপর। 

যদি অ্যান্টিবায়োটিক তার কার্যকারীতা হারায়, এরকম সল্য চিকিৎসা হয়ে পড়বে আরো ব্যায়বহুল, অকার্যকর অনেক ক্ষেত্রে প্রাণঘাতি। আশার বিষয় হলো দেরীতে হলেও বিশ্বের বড় বড় স্বাস্থ্য সংস্থা গুলোর টনক নড়েছে। বিশ্বব্যাপি সচেতনতা সৃষ্টির নানাবিধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট কেন বাড়ছে?

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বাড়ার কারণ গুলো লক্ষ্য করুন-

অ্যান্টিবায়োটিক অপ্রয়োজনীয় ব্যাবহার

ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত কিনা না জেনেই সাধারণ অসুখে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যাবহার। 

অ্যান্টিবায়োটিক এর প্রয়োগ মাত্রা ভুল করা

ধরুন কোন ব্যাক্টেরিয়া মারতে ৫০০ মিলিগ্রাম (mg) অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ লাগবে। সেখানে ২৫০ মিলিগ্রাম (mg) ডোজ প্রয়োগ করলে কিছু ব্যাক্টেরিয়া স্বাভাবিক ভাবেই বেঁচে থাকবে যারা পরবর্তিতে সহজে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে উঠতে পারে।

অ্যান্টিবায়োটিক এর কোর্স সম্পন্ন না করা

অ্যান্টিবায়োটিক এর একটি নির্দিষ্ট কোর্স থাকে, যে সময়ের ভেতর যথা সময়ে এন্টিবায়টিক ঔষধ গ্রহণ করলে ব্যাক্টেরিয়া সমূলে ধ্বংস হবে। কিন্তু অসুখের উপসর্গ ভালো হবার সাথে সাথে ঔষধ বন্ধ করে ফেলা সাধারণ মানুষের একটি বড় ভুল।

ফার্মেসী দোকানীর হাতুড়িগীরি

গ্রামে একটা সময় ছিলো, স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তার হাতড়ে হাতড়ে অসুখ বের করতেন। আজকের যুগে ফার্মেসীর দোকানদারই সেই হাতুড়ে ডাক্তার হয়ে উঠেছেন। অনেকেই দেখা যায় অসম্পুর্ণ জ্ঞান ও কোন প্রকার টেস্ট রিপোর্টের বালাই ছাড়াই শক্তিশালি অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ দিয়ে দিচ্ছেন। 

এ দায় শুধু তাদের নয়, চিকিৎসা ব্যাবস্থার ভোগান্তি, দুর্ব্যাবস্থাপনা ও ব্যায়বহুল্যতাই এর বড় একটি কারণ।

খাদ্য

আজকাল অ্যান্টিবায়োটিক যেন বাতাসে ছড়ায়। কিভাবে সতর্ক হবেন! দুধ, গোসত এমনকি ডিমেও যে থাকতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক! লআভজনক পশু খামারের একটি অপরিহার্য হলো অ্যান্টিবায়োটিক। 

কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে তা প্রয়োগে খাবারে অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেশ বন্ধ করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে তা কতটুকু মানা হয় তাতে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে তা বলাই বাহুল্য।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধে করনীয়

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে, যা সারা বিশ্বের সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া উন্নতি করা সম্ভব না। আর তার জন্যও দরকার ব্যাক্তিগত পর্যায় হতে সতর্কতা। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স রোধে যা যা করতে পারেন,

  • হাত ধোয়ার বিকল্প নেই, দেহে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করলেই তবেই রেজিস্ট্যান্সের প্রশ্ন।

  • একই কারণে শাকসবজি ধুয়ে খান, মাংস সঠিক তাপে রান্না করুন ও বাইরের খাবার বর্জন করুন।

  • অসুস্থ হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

  • কোন প্রকার ঔষধই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করবেন না।

  • অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স পরিপুর্ণ ভাবে শেষ করবেন, অসুখ সেরে গেলেও কোর্স শেষ করার বিকল্প নেই।

  • দায়িত্বনিষ্ঠ ফার্ম থেকে সংগ্রহকৃত দুধ, ডিম ও মাংস গ্রহণ করুন, অর্গানিক হলে সবচেয়ে ভালো।

অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহন করার নিয়মাবলীগুলো কি?

অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করার একমাত্র ও অপরিহার্য নিয়ম হচ্ছে ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করা। যে ঔষধ প্রেসক্রাইব করেছেন, যতদিন ও দিনে যখন যখন সেবন করতে বলেছেন তাই অনুস্বরণ করুন।

উপরের আলোচনা থেকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ কতটা স্পর্শকাতর হতে পারে। ছোট একটি ভুল থেকে হয়ে যেতে পারে মহামারী। তাই যার-তার কথা শুনে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের কোন সুযোগ নেই।

শেষ কথা

অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া পৃথিবী হবে রোগ শোক আর মহামারীতে বিদ্ধস্ত। দু-এক শত বছর আগেও কোটি কোটি মানুষ কলেরা জাতীয় রোগে মারা যেত। অ্যান্টিবায়োটিক এর ভুল ব্যাবহার আবার সেই ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে পারে। তাই চলুন, জীবন বাঁচানো এই ঔষধটিকে যথাযথ মূল্যায়ন ও ব্যাবহার করি।

Default user image

দিগ্বিজয় আজাদ, লেখক, আস্থা লাইফ

আমি শিল্প সাহিত্যের লোক, একই সাথে বিজ্ঞানের কৌতুহলী ছাত্র। লিখালিখি আঁকাআঁকি করতে ভালোবাসি, পড়ালেখা করছি মাইক্রোবায়োলোজি নিয়ে। আস্থা ব্লগে কাজ করতে পেরে চরিত্রের দুটো দিকই যেন সমানভাবে সন্তুষ্ট হচ্ছে। চেষ্টা করি কত সহজে আপনাদের সামনে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করা যায়। এবং এই প্রক্রিয়ায় যদি কেউ লাভবান হন, বা কিছু শিখতে যদি পারি সেই আমার পরম প্রাপ্তি। ব্যক্তিগত জীবনে শখের মিউজিশিয়ান। নেশার মধ্যে বই পড়া ও ঘুরে বেড়ানো।

Related Articles