স্ট্রীট ফুড কেন অস্বাস্থ্যকর? এর থেকে দূরে থাকার উপায়!
স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রধান অন্তরায় আধুনিক সমাজের আধুনিক খাবার সংস্কৃতি। শুধু মাত্র সচেতনতার অভাবেই স্ট্রীট ফুড’’নামে এক অজানা বিষ এর এর নীল ছোবলে ক্ষতিটা হয়ে যাচ্ছে অনেক!
সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে বিকালের নাস্তা, বন্ধুদের আড্ডা থেকে কাজের ফাকে আমরা হাল্কা নাস্তা খেয়ে থাকি। আর এই হালকা নাস্তা আমরা ঘরের বাইরেই করে থাকি অধিকাংশ সময়ে। ঘরের বাইরে খাওয়া এই সব খাবার অনেক সময়ই স্বাস্থ্য সম্মত হয় না। আর এই অস্বাস্থ্যকর খাবারই একসময় আমাদের স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ঘরের বাইরে আমরা যেসব খাবার খেয়ে থাকি তার আবার একটা বড় অংশ আমরা রাস্তার পাশে ব্যাঙ এর ছাতার মত গজিয়ে ওঠা ছোট ছোট খাবার এর দোকানে খেয়ে থাকি। এই খাবারই ‘’স্ট্রীট ফুড’’ নামে পরিচিত। এই খাবার যেমন দামে সস্তা তেমনি স্বাদে অপূর্ব। আবার এই খাবারই আমাদের স্বাস্থ্যহানির একটি প্রধান কারণ। আজ আমরা এই স্ট্রীট ফুড নিয়ে কিছু অজানা তথ্য জানব।
স্ট্রীট ফুড কি?
পথে চলতে গিয়ে ক্ষুধা নিবৃত্ত করা তাও আবার কম দাম এবং মুখরোচক, এই হল স্ট্রীট ফুড এর আসল বৈশিষ্ট্য। স্ট্রীট ফুড বলতে ওই সব খাবার যা রাস্তার পাশে বা খোলা জায়গায় তৈরি হয় এবং ওই সব জায়গায় হকার বা বিক্রেতার দ্বারা বিক্রি হয় এমন খাবার বুঝায়। এটি ‘’ফাস্ট ফুড’’ নামেও পরিচিত। এটি সাধারনত রেস্তরার খাবার এর চেয়ে অপেক্ষাকৃত দামে কম হয়। স্ট্রীট ফুডকে মোটামুটি ৩ টি স্বতন্ত্র ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়।
১। যে সব খাবার ছোট কারখানায় তৈরি হয় এবং ভ্রাম্যমান বিক্রেতারা তা বিক্রি করে।
২। যেসব খাবার ভ্রাম্যমান বিক্রেতারা তাদের ঘরে তৈরি করে ও সাধারন মানুষের কাছে বিক্রি করে।
৩। যেসব খাবার রাস্তার পাশে তৈরি হয় ও বিক্রি হয় , মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা কম দামে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে বিশেষ করে রাস্তা, বাস টার্মিনাল, পার্ক, স্কুল, হসপিটাল, রেলওয়ে স্টেশন এর মত যায়গায়। সময় এবং আধুনিক সভ্যতার প্রয়োজনে ইউরোপ, ভুমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বা সারা পৃথিবী জুড়ে স্ট্রীট ফুড আজ এক জনপ্রিয় খাবার।
স্ট্রীট ফুড এর ইতিহাস
স্ট্রীট ফুড এর পূর্ব ইতিহাস জানতে হলে আমাদের সভ্যতার আদিতে চলে যেতে হবে। অনুমান করা হয় প্রাচীন গ্রীসে এক ধরণের ভাজা ছোট মাছ বিক্রিই ছিল স্ট্রীট ফুডের প্রথম পথ চলা। প্রাচীন রোমে সেই সব নাগরিকরা যারা ভাড়া বাসায় থাকত এবং যাদের ঘরে উনুন বা চুলা ছিল না, তাদের হাত ধরেই স্ট্রীট ফুডের ব্যাপক প্রসার ঘটে। প্রাচীন চায়নাতেও নিম্নবিত্তদের খাবার এর তালিকায় এমন খাবার এর উল্লেখ পাওয়া যায়। স্ট্রীট ফুড বিশ্বব্যাপী ফাস্ট ফুড নামেও পরিচিত এবং এই খাবারটি আমাদের দৈনন্দিন খাবার এর তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে থাকে।
বিভিন্ন ধরণের স্ট্রীট ফুড
বিলাস বহুল রেস্তোরার দামী ও লোভনীয় খাবার এর পসরা সাজিয়ে তা যখন কম দামে রাস্তার পাশে বিক্রি করা হয় তখন ক্রেতারাও তা দেখে সহজেই আকৃষ্ট হয়। স্ট্রীট ফুড এর যে কত রকম আর ধরন আছে তা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না। শুধু যদি বাংলাদেশ এর এমন খাবার এর নাম বলি হয়ত একটি সুদীর্ঘ তালিকা হয়ে যাবে। চটপটি-ফুসকা থেকে শুরু করে হালিম ,নডুলস বা বার্গার সবই স্ট্রীট ফুড বা প্রকারন্তে ফাস্ট ফুড নামে পরিচিত। তাছাড়া আলুর চপ, পিয়াজু, বেগুনি বা পাকোড়া, স্যান্ডউইচ, শর্মা, পুরি, সিঙ্গাড়া, সমুচা। এককথায় হালকা নাস্তা বা খাবার যা আমরা ঘরের বাইরে রেস্তোরায় খাই সবই এই খাবার এর তালিকাভূক্ত। এছাড়া যে আরও কত খাবার আছে এই ধরণের খাবার এর তালিকায় তা বলার অপেক্ষবা রাখে না। আর এ শুধু আমাদের দেশীয় খাবার। এ ছাড়াও পৃথিবীর নানান দেশে নানান স্ট্রীট ফুডের প্রচলন রয়েছে।
ফাস্ট ফুড বা স্ট্রীট ফুড যে সব উপাদান ব্যবহার হয়
স্ট্রীট ফুড তৈরিতে যেসব রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার হয় তার মধ্যে কর্ন সিরাপ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ রয়েছে। তাছাড়া এসিসালফেইম পটাশিয়াম, স্যাকারিন, হাইড্রোজোনেট তেল রয়েছে। এগুলো হল শুধু রাসায়নিক উপাদানের ব্যবহার। এছাড়া অন্যান্য যেসব উপাদান ব্যবহার হয় তা যে নিঃসন্দেহ নিম্নমানের তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
স্ট্রীট ফুড তৈরির স্থান
এই খাবার গুলো তৈরির স্থান অবশ্যই রাস্তা বা দোকান এর আশপাশের খোলা স্থান তার সাথে রয়েছে অদক্ষ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অসচেতন কর্মী। এসব কারণে এই ধরণের খাবার তৈরিতে খরচ অপেক্ষাকৃত কম ফলে এর দাম ও থাকে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে। একটি সাধারণ যুক্তি, বিলাশ বহুল রেস্তোরাঁর খাবার গুলো খুবই সস্তায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত উপাদান এর দাম বেশি, আর উপাদানের দাম বেশি হলে খাবার এর দাম ও নিঃসন্দেহে বেশি।
স্ট্রীট ফুড (বিশ্ব ও আমরা)
২০০১ সালে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (FAO) পরিচালিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছিল যে বিশ্বের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন এইসব খাবার খায় যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার .০৩%। খাবার এর দিক থেকে আমরা উপমহাদেশের মানুষেরা অনেক বিলাসী। মজাদার খাবার তৈরিতে অনেক মসলার প্রয়োজন হয়। আর এই মসলার ভান্ডার হল উপমহাদেশ। তবে খাবার এর গুণগত মান ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে আমাদের দুর্নামও রয়েছে। বিশেষ করে বাঙ্গালী ও ভারতীয়রা। পৃথিবীর সব দেশেই স্ট্রীট ফুড এর প্রচল রয়েছে। তারা বেশ সচেতন ও মানসম্পন্ন খাবার তৈরি করে। তাদের খাবার তৈরির স্থান যেমন স্বাস্থ্যসম্মত, তেমনি তাদের কর্মীরাও সচেতন।
স্ট্রীট ফুড অস্বাস্থ্যকর হওয়ার কারণ
আমদের সকলের প্রিয় এই ফাস্ট ফুড অস্বাস্থ্যকর হবার বেশ কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। যেমন,
১। এই খাবারটি অস্বাস্থ্যকর হওয়ার প্রধান কারণ হল এটি খোলা জায়গা, রাস্তার পাশে তৈরি ও বিক্রি হয়।
২। এটি যেসব উপাদান দিয়ে তৈরি তা রাসায়নিক ও নিম্নমানের।
৩। এটি যেসব উপাদান দিয়ে তার অনেক সময়ই মেয়াদ থাকে না। কারণ এটি নিয়ন্ত্রন করার জনবল সীমিত। যার ফলে এখানে অনিয়ম হওয়াটা স্বাভাবিক।
৪। এটি তৈরির স্থান অস্বাস্থ্যকর।
৫। এটির পরিবেশনাও স্বাস্থ্যকর নয়।
৬। এর কর্মীরা স্বাস্থ্য সচেতন নয়।
অস্বাস্থ্যকর খাবার এর ক্ষতিকর প্রভাব
অস্বাস্থ্যকর খাবার এর ক্ষতিকর প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ তা বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথা শুনলে ভালো বুঝা যাবে। পৃথিবীর ৩১ টি দেশের ৫ লাখ মানুষের উপর পরিচালিত একটি জরীপে দেখা যায় স্ট্রীট ফুড বা ফাস্ট ফুডের মত খাবার গুলো খেলে অ্যাজমা, রাইনাইটিস (নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া রোগ), একজিমা (চর্মরোগ) এর মত অসুখ গুলো বেশি হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে শিশু এবং কিশোরেরা ফাস্ট ফুড এর মত খাবার গুলো খেয়ে বাসার খাবার এর চেয়ে বেশি ক্যালরি গ্রহণ করছে। তাদের মতে এটি বিপদজনক কারণ এই খাবার গুলো খেয়ে শিশুরা প্রয়োজন এর চেয়ে ১৬০ ক্যালরি ও কিশোরেরা ৩১০ ক্যালরি প্রতিদিন বেশি গ্রহন করছে। এবং এটি আমেরিকা সহ সারা বিশ্বে শিশুদের মুটিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ।
ফাস্ট ফুড বা স্ট্রীট ফুড খেলে আরও যে সব সমস্যা হতে পারে তাদের তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,
১। ফাস্ট ফুডে ব্যবহৃত মনোসোডিয়াম গুল্টামেট ক্যান্সার, টিউমার এর জন্য দায়ী।
২। নিউরোজিক্যাল ডিজঅর্ডারের জন্য ফাস্ট ফুড দায়ী।
৩। লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই খাবার এ ব্যবহৃত ক্যামিকেলের জন্য।
৪। ত্বকে এলার্জির মত সমস্যা হতে পারে, নষ্ট হতে পারে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য।
৫। শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক, সকলের শরীরকে মেদবহুল করে তোলে ফাস্ট ফুড।
৬। ডায়াবেটিস রোগের সম্ভাবনা তৈরি করে ফাস্ট ফুড।
৭। হৃদরোগ এর জন্য দায়ী ফাস্ট ফুড।
৮। ফাস্ট ফুড অস্থিমজ্জার ক্ষতি করে।
৯। মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অঞ্চল সংকুচিত হয়ে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। নতুন কিছু আত্মস্থ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
১০। মানুষকে হতাশার দিকে নিয়ে যায় ও কর্মবিমুখ করে তোলে।
স্ট্রীট ফুড থেকে দূরে থাকার উপায়
বার্গার, স্যান্ডউইচ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ছাড়া কিভাবে দিন চলবে বা ঘুরতে বের হলে টং দোকানে চা বা পুরি, পেঁয়াজু না খেয়ে কিভাবে চলবে তা অনেকেই ভাবতে পারেন না। এইসব খাবারে যাদের আসক্তি ধরে গেছে তাদের জন্য এটি ত্যাগ করা প্রায় অসম্ভব। তবে মানুষের ইচ্ছা শক্তির উপর কিছু নাই। চাইলেই সম্ভব। সুস্থ্য শরীরে বেঁচে থাকার জন্য হলেও এই ধরনের খাবার আমাদের ত্যাগ করতে হবে। এর জন্য ইচ্ছা শক্তির পাশাপাশি মেনে চলতে পারেন কিছু কার্যকরি উপায়। যেমন,
১। খাবার এর তালিকায় প্রোটিন ও ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন। এগুলো খেলে ক্ষুধা কম লাগে। দুধ, ডিম, ছানা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর প্রোটিন থাকে।
২। আপনি যদি সারাদিনের জন্য বাসার বাইরে বের হন তবে দুপুরের খাবার বাসা থেকে নিয়ে বের হন, এতে করে বাইরে খাওয়ার প্রবণতা কমবে।
৩। সকালের খাবার ও দুপুরের খাবার বা দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার এর মাঝের সময়টাতে হালকা নাস্তা হিসেবে এইসব জাংক ফুড না খেয়ে ফল বা বাদাম খেতে পারেন। আর এগুলো চাইলেই সাথে রাখা যায়।
৪। ডায়েটের নামে একই ধরণের খাবার প্রতিদিন খেলে খাবার এর প্রতি একঘেয়েমি আসতে পারে ও ফাস্ট ফুড এর মত খাবার এর প্রতি আগ্রহ হতে পারে। তাই খাবার এর তালিকায় স্বাস্থ্যকর ও নতুন নতুন খাবার রাখতে পারেন।
৫। প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন।
৬। অনেক সময় মানসিক চাপের কারণে ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।
৭। সর্বপরি নিজেকে সুস্থ্য ও ফিট রাখার জন্য নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই ধরণের খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
আপনার শিশুকে যেভাবে ফাস্ট ফুড থেকে দূরে রাখতেন পারেন
অবশ্যই আপনার শিশুটি জাংক ফুড বা ফাস্ট ফুড বলতে অজ্ঞান। তার সব আবদার আপনি যেমন পূরণ করতে প্রস্তুত তেমনি তার সব আবদার শুরু আর শেষ এই ফাস্ট ফুড দিয়ে। বিভিন্ন অজুহাতে তার এই খাবারে অভ্যাস হয়ে গেছে তেমনি আপনিও আছেন দুশ্চিন্তায়। কেমন করে এই বদ অভ্যাস ছাড়াবেন। চলুন কিছু কৌশল নিয়ে আলোচনা করি যাতে করে আমরা আমাদের শিশুকে এইসব খাবার থেকে দূরে রাখতে পারব।
১। আপনি নিজে এইসব খাবার খাওয়া বন্ধ করুন। বাসায় এইসব ফাস্ট ফুড নিয়ে আসা এবং রাখা বন্ধ করুন।
২। বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন এবং খাবার এর স্বাস্থ্য উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে ধারণা দিন।
৩। সপ্তাহে একটি দিনকে জাংক ফুড ডে হিসেবে বলুন এবং ঐ দিন তাকে এসব খাবার খাতে দিন। এতে করে শিশু আস্তে আস্তে এই খাবার থেকে দূরে চলে যাবে।
৪। শিশুরা যেহেতু একটু একটু করে বার বার খায়, আপনিও ওর জন্য কিছু মুখোরোচক খাবার বাসায় তৈরি করে রাখুন।
৫। শিশুকে উপহার দেওয়ার কথা বলে প্রলুব্ধ করুন। বাসার খাবার খেতে দিন, বলুন যে বাসার খাবার খেলে তাকে বিভিন্ন উপহার দিবেন এবং সত্যিই দিন। এতে করে শিশু প্রলুব্ধ হয়ে এইসব খাবার থেকে দূরে থাকবে।
স্বাস্থ্যই হলো সকল সুখের মূল। স্বাস্থ্য ভালো থাকার মানে হলো সব ভালো। আপনার সুস্থ্য শরীর আপনাকে কাজের একটি সুস্থ্য জীবন দিতে পারে। সুস্থ্য জীবন, সুস্থ্য শরীরই হলো ভালো থাকা। এত পরিকল্পনা বা কৌশল, সবই ভালো থাকার জন্য। আপনি আমি কিভাবে ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড বা স্ট্রীট ফুডের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকব, কিভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে সেটাই হলো গুরুত্বপূর্ন। এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পেলেই ভালো থাকব আমরা ভালো থাকবে আমাদের ভবিষ্যৎ।
আরও পড়ুন...