সহজে পরিবার ও কর্মজীবন সামলানোর ১৫টি উপায়

কর্মজীবন, ক্যারিয়ার, অর্থের পেছনে ছুঁটতে গিয়ে পরিবারের সাথে ঠিক করে সময় কাটানো হয়ে ওঠে না হয় না। আবার পরিবারে সময় দিলে অফিস ঠিক রাখা কষ্টকর হয়ে ওঠে। তবে যারা পৃথিবীতে সফল হয়েছেন, তারা কিভাবে তাদের পরিবার এবং অফিস সামলান? তা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

কর্মনিষ্ঠ চাকুরজীবি বা শতভাগ প্রফেশনাল ব্যবসায়ী - হোক সে নারী বা পুরুষ ব্যক্তিগত জীবন আর কর্মজীবনে ভারসাম্য রাখতে হিমশিম খান না এমন মানুষ খুব কম । কাজই মানুষকে সফল করে তোলে। তবে পরিবারের গুরুত্ব নিশ্চই কাজের চেয়ে বেশি নয়।

নারী-পুরুষ, চাকুরে-ব্যবসায়ী; সকলেরই সফলতা বা কাজের প্রতি নিরন্তর লেগে থাকা তার পরিবারের জন্যই। মানুষ তার নিজের জন্য যতটা না সফল হতে চায় তার চেয়ে বেশি তার পরিবার এর জন্য চায়। কাজ এবং পরিবার; একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত। এবং তা কাজ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে না, বরং পরিবার ও জীবিকার জন্যই কর্ম।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজ এবং পরিবার উভয়ই অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে দুই দিকেই ব্যালেন্স করে চলতে হয়। আপনার পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রের দিকে সমান নজর দিলে, তাতে একদিকে যেমন সফল হবেন, তেমনি অন্য দিকেও বেশ ভালো থাকবেন। এই ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে ড. আতিউর রহমানের (বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর) কথা উল্লেখ করা যায়। মূলত একসময় তিনি এবং তার মতো বিজ্ঞ কর্মজীবিরা দক্ষতার সাথে তাদের পেশাগত দিক এবং পরিবার সামলিয়েছেন। সেক্ষেত্রে তারা তাদের অফিস এবং বাসা উভয়কেই অধিক গুরত্ব দিয়েছেন। এছাড়াও তারা তাদের ফ্যামিলি ও পেশাকে পাশাপাশি রেখে সাফল্যের সাথে অফিসের এবং বাসার কাজ সম্পূর্ণ করেছেন। আসুন জেনে নেই সফল মানুষরা কিভাবে তাদের পরিবার ও কাজ সামলে থাকেন।

১. ফ্যামিলিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন

পরিবার আমাদের প্রথম এবং প্রধান প্রায়োরিটি। সেক্ষেত্রে কর্মজীবীরা তাদের  ফ্যামিলিকে ভালো রাখতে এবং আর্থিক ভাবে সচ্ছল করতে অফিসের কাজকর্মকেও অনেক বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তবে অনেকসময় তারা অফিসের কাজকর্মের পাশাপাশি বাসার বিভিন্ন কাজও করে থাকেন। এই ক্ষেত্রে তারা কোন কাজকেই অবমূল্যায়ন করেন না। কেননা তারা জানেন যে, কোন কাজই ছোট না এবং নিজের কাজ নিজে করতে কোন লজ্জা নেই।  

২. কোনটি গুরুত্বপূর্ণ তা ভেবে কাজ করেন

সাধারণত সফল কর্মজীবীরা বাসার এবং অফিসের কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে চেষ্টা করেন। কেননা অনেক সময় অফিস এবং বাসার কাজ দু’টোই সমান গুরুত্ব বহন করে থাকে। সেক্ষেত্রে তারা অফিস কিংবা বাসার কাজ কোনটা বেশি জরুরী তা বুঝে ক্রমান্বয়ে উভয়ই দিকই সামলান।  

৩. কানবান বোর্ডের সহায়তা নিয়ে থাকেন 

দক্ষ কর্মজীবীরা তাদের কাজকে সুশৃঙ্খল ভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে চলেন। সেক্ষেত্রে তারা ডিজিটাল প্রযুক্তির পাশাপাশি বিভিন্ন পদ্ধতির সহায়তা নিয়ে থাকেন। 

যখন আপনার মাথার ভেতর চলবে আপনার এই পাঁচটা কাজ আজকে করতে হবে। একটি শেষ করার পর আপনি হয়ত অবচেতনেই পরের কাজটি শুরু করতে দেরী করবেন। কিন্তু তা আপনার সামনে লেখা থাকলে তা সহজে ভুলবেন না, এবং কোনটির চেয়ে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে পারবেন।

মূলত তারা অফিসের কাজের সুবিধার জন্য কানবান বোর্ড তৈরি করেন এবং তা মেনে চলতে চেষ্টা করেন। কানবান বোর্ডে তিনটি ভাগ থাকে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করলে সহজেই কাজগুলো সমাপ্ত করা যায়।  

৪. ন্যায্য পরিশ্রমিকের ছাড়া কাজ নয়

আপনি যে কাজটি পারেন, যে কাজটি করে আপনি সর্বচ্চ আয় করতে পারবেন সেটিই করবেন। এর বাইরে খুচরো কাজ করে সময় নষ্ট করবেন না। বাকি সময়টা পরিবারকে দিন।

বিজ্ঞ কর্মজীবীরা নিজেদের অবস্থান, কাজ এবং প্রারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে সচেতন থাকেন। তারা নিজের মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে ন্যায্য বেতন পান। আর এই বেতনের মাধ্যমেই তারা তাদের ফ্যামিলির সব ধরণের ব্যয় বহন করে থাকেন। সেক্ষেত্রে বলতে গেলে একজন কর্মজীবির অর্জিত বেতন তার পরিবারের দেখভালের ক্ষেত্রে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। 

এই প্রসঙ্গে ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান ‘খালেদ মুহিউদ্দিনের’ বক্তব্যটি প্রাসঙ্গিক, তিনি বলেন যে- “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হবার পর আমার এডমিন (সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ক্যাডারে চাকরি হয়েছিল, কিন্তু আমার মনে হয়েছে আমার জন্য বেতনটা কম হয়ে যাচ্ছে। তাই, চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আপনার বেতনে না পোষালে, আপনি সে চাকরি করবেন কেন? আমি কোনদিন আমার যোগ্যতার চেয়ে কম বেতনে চাকরি করিনি। আমার যোগ্যতা অনুযায়ী শুরু থেকে বেতন পেয়ে এসেছি, এখনো পাই। বেতন সৃষ্টি করে বাজারে নিজেকে অপরিহার্য এবং যোগ্য করে গড়ে তোলেন। বেতন এমনিতেই বেড়ে যাবে। টাকা, পয়সা, খ্যাতি এমনিতেই হবে একদিন। পৃথিবীতে মহান পেশা বলে কোন পেশা নেই। পেশা কখনো মহান হতে পারে না, মহান হয় ব্যক্তি!”    

৫. কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন 

কথায় আছে, পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি! সেক্ষেত্রে জীবনে পরিশ্রম বিনা সাফল্য পাওয়া যায় না। কেননা সাফল্য অর্জন করতে হলে অনেক বেশী পরিশ্রম করতে হয়।  আর তাইতো দক্ষ কর্মজীবীরা তাদের দায়িত্ব সমূহ পালনের ক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন। এছাড়াও তারা কাজে ফাঁকি না দিয়ে, দায়িত্বে অবহেলা না করে, অযথা সময় নষ্ট না করে, সময়ের কাজ সময়ে শেষ করে থাকেন।  

একটি কাজ আপনি চার ঘন্টায়ও শেষ করতে পারেন, সারাদিনও লাগিয়ে করতে পারেন। কর্ম ও পরিবার জীবনে ভারসাম্যের জন্য প্রথম পন্থাটিই অবলম্বন করা উচিত।

৬. প্রফেশনাল এবং পারসোনাল লাইফ আলাদা রেখে চলেন  

সফল কর্মজীবীরা বাসার এবং অফিসের যে কোন বিষয়কেই গুলিয়ে ফেলেন না। তারা অফিস এবং বাসা দুটি বিষয়কেই ভিন্ন রাখতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে তারা নিজের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কলিগদের সাথে খোশগল্প করেন না। মূলত তারা প্রফেশনাল এবং পারসোনাল বিষয়গুলো আলাদা রেখেই চলেন।    

৭. টাইম ম্যেনেজমেন্ট করে চলেন

সময় খুব বড় একটি বিষয়। কেননা কথায় আছে, সময় ও নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। তাই, সেক্ষেত্রে সফল কর্মজীবীরা সময়ের মূল্য দিয়ে থাকেন। মূলত  তারা বাসার কিংবা অফিসের কাজের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করে চলেন। এছাড়াও তারা অফিসের কাজ সময় মতো করেন এবং ডেটলাইন মেনে চলেন। 

৮. আয়-ব্যয়ের হিসাব রেখে চলেন  

কর্মজীবীরা তাদের বাসার খরচ মেইন্টেন করতে আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখেন। সেক্ষেত্রে কোন ক্ষেত্রে কতটুকু খরচ হবে, কোন ক্ষেত্রে ইনভেস্ট করতে হবে, মাস শেষে কতটা সঞ্চয় থাকবে তা ব্যবস্থাপনা করে চলেন। মূলত তারা বাসা ভাড়া, মাসের বাজার, যাতায়াত খরচ, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাসের বিল, বাচ্চার স্কুলের বেতন, চিকিৎসা খরচ ইত্যাদি ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে টাকা বরাদ্দ রাখেন।  তাই, এক্ষেত্রে তারা একটি খরচের খাতা বা নোটবুকে সবকিছুর হিসাব এবং কোন ক্ষেত্রে কতটা ব্যয় হল তা লিখে রাখেন।  

৯. সবকিছু প্ল্যান করে চলেন 

সাধারণত কাজকে ভালোবাসলে, কাজের মধ্যেই আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় আগে থেকে পরিকল্পনা করে কাজ করলে তা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে সফল কর্মজীবীরা তাদের কাজগুলো দক্ষতার সাথে শেষ করতে, আগে থেকেই একটি প্ল্যান করেন এবং সেই অনুযায়ী চলেন। তবে এক্ষেত্রে সব সময় সফলতা না আসলেও, তারা নিরাশ হন না বরং পুনরায় নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করে থাকেন।  

১০. রুটিন মেনে চলেন 

সফল কর্মজীবিরা সুন্দর-সাবলীল ভাবে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে রুটিন করে চলেন। মূলত তারা তাদের বাসার এবং অফিসের কাজের ক্ষেত্রে রুটিন মেনে চলতেই পছন্দ করেন। এমনকি তারা তাদের সমস্ত কাজই রুটিন অনুসারে করতে চেষ্টা করেন। সেক্ষেত্রে তারা স্মার্টফোনে কিংবা ডায়েরিতে তাদের কাজের কথা এবং ডেটলাইন লিখে রেখে, সময়ের কাজ সময়ে শেষ করে থাকেন। 

১১. অফিসের নিয়ম-কানুন মেনে চলেন

সফল কর্মজীবীরা অফিসের নিয়ম-কানুন, শৃঙ্খলা, রীতিনীতি ইত্যাদি মেনে চলেন। তারা তাদের কাজের প্রতি একনিষ্ঠতা এবং শ্রদ্ধাশীলতা বজায় রাখেন। তারা অফিসের বস, কলিগ এবং অধিন্যস্ত কর্মচারী সবার সাথে ভালো ব্যবহার করেন। এমনকি তারা তাদের কাজ দক্ষতার সাথে সময়মতো সম্পূর্ণ করেন। এছাড়াও টিম ওয়ার্কের ক্ষেত্রে তারা একসাথে মিলেমিশে ভালোভাবে কাজ সামলিয়ে থাকেন। 

১২. সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন

কর্মজীবীরা তাদের পরিবারের সদস্য, অফিসের কলিগ, বাইরের লোকজন মানে সবার সাথেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেন। এমন না যে তারা সবার মন জুগিয়ে চলেন, বরং  যেটা সঠিক এবং সত্য সেদিকেই মনোনিবেশ করেন। এছাড়াও তারা রাগারাগি, মারামারি, হানাহানি ইত্যাদি পরিহার করে সবার সাথে ভালো আচরণ করে থাকেন। আর যার ফলে তাদের অফিসের এবং বাসার সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করে সবদিক সামলানো অনেকটা সহজ হয়ে যায়। 

১৩. কাজকর্ম ভাগভাগি করে নেন

কর্মজীবীরা শুধুমাত্র অফিসেই ভালো পারফ্যমেন্স করেন না, বরং তারা বাসার কাজের ক্ষেত্রেও সমান পারদর্শিতা দেখান। সেক্ষেত্রে তারা ফ্যামিলির অন্য সদস্যদের সাথে বাসার কাজগুলো ভাগ করে নেন। এতে তারা এবং তাদের পরিবারের লোকজন যার যার সুবিধা মতো কাজ করে থাকেন। আবার অপরদিকে অফিসে টিম ওয়ার্কের ক্ষেত্রেও তিনি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেন। তাই বলা যায় যে, অনেকসময় সফল কর্মজীবিরা তাদের বুদ্ধি এবং বিচক্ষণতা দিয়ে অফিস ও বাসা উভয়ই একই সাথে সামলিয়ে থাকেন।    

১৪. মূল্যবোধ বজায় রেখে চলতে চেষ্টা করেন     

আদর্শ কর্মজীবিরা জীবনের সব ক্ষেত্রে নৈতিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে চেষ্টা করেন। তারা তাদের সততা, মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা মেনে কাজ করে থাকেন। মূলত বাসা এবং অফিস সামলানোর ক্ষেত্রেও তারা কোন ধরণের অনৈতিকতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে, বরং সৎ ভাবে অফিস ও বাসা সামলিয়ে থাকেন।  

১৫. ক্লান্তি দূর করতে ঘুরতে যান 

অনেকসময় সফল কর্মজীবিরাও অফিসের কাজ এবং বাসার দায়িত্ব পালন করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেন। সেক্ষেত্রে তারা তখন নিজেদের কাজের গতি বাড়াতে কিংবা ক্লান্তি দূর করতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ট্যুরে যান। মূলত এতে প্রকৃতির সান্নিধ্যে ঘুরাঘুরি করলে তাদের মাইন্ড ফ্রেশ হয় এবং তারা নতুন উদ্যমে কাজ করার এনার্জি পান। তাই, অফিস এবং বাসা সামলানোর পাশাপাশি নিজের মনকে কাজের প্রতি নিবিষ্ট করতে ঘুরাঘুরি করা কিংবা বেড়াতে যাওয়াটা ভ্রমণপিপাসু কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।  

সাধারণত সফল কর্মজীবিদের কাজের প্রতি অঢেল ভালোবাসা থাকে। আর  কাজকর্মের ক্ষেত্রে ভালোবাসা থাকলে তা খুব দ্রুতই সম্পন্ন করা যায়। ফলে তারা বাসার কিংবা অফিসের কাজে, উভয়ক্ষেত্রেই দারুণ সফলতা পান। তবে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তারা এটাও খেয়াল রাখেন যে, বাসার কিংবা অফিসের কাজ যেন সাংঘর্ষিক হয়ে না পড়ে। মূলত এভাবেই বিজ্ঞ কর্মজীবিরা তাদের ফ্যামিলি এবং কর্মক্ষেত্র উভয়কেই বেশ গুরুত্ব দিয়ে সামলিয়ে থাকেন।     

সার কথা

অনেকসময় একসাথে অফিস ও বাসার কাজ নিয়ে যাতে ঝামেলায় পড়তে না হয়, সেজন্য কর্মজীবীরা কাজের গুরত্ব অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। তবে কর্মজীবনে সফল হতে হলে অফিসের কাজে বেশি গুরত্ব দিতে হয়। সেক্ষেত্রে বাসার এবং অফিসের কাজ নিয়ে যাতে কনফ্লিক্ট কিংবা ঝামেলা না হয়, সে জন্য পরিবারের সদস্যদেরও সহযোগীতা প্রয়োজন।

Default user image

সাবরিনা দিলশাদ এলিন, লেখক, আস্থা লাইফ

আমি একজন কন্টেন্ট রাইটার! আমি বই পড়তে, গল্প করতে এবং ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করি। মূলত লেখালিখি আমার প্যাশন এবং তা এখন আমার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে! আশা করি আস্থা লাইফের সাথে আমার এই লেখালিখির জার্নিটা অনেক দূর এগিয়ে যাবে!

Related Articles