ল্যাকটিন মুক্ত ডায়েট - পর্ব ১ঃ খাদ্যাভাসের নতুন তত্ত্ব
আমেরিকার চিকিৎসা বিজ্ঞানী স্টিভেন গ্যান্ড্রি তার বই “The Plant Paradox: The Hidden Dangers in ‘Healthy’ Foods that cause the Disease and Weight Gain” তে খাদ্যাভাসের একটি নতুন তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন। যাকে আমরা ল্যাকটিন মুক্ত ডায়েট নামে জানি। এই ডায়েটে ল্যাকটিন সমৃদ্ধ খাবার পরিহার করতে উৎসাহিত করা হয়। এছাড়া স্টিভেন গ্যান্ড্রি ল্যাকটিন প্রতিরোধে বিউটারেট এর ভূমিকা এবং কিভাবে খাদ্য থেকে বিউটারেট পাওয়া যায় তাও উল্লেখ করেছেন। সংক্ষিপ্ত কথায় গবেষণাটি সাদামাটা মনে হতে পারে, কিন্তু আদৈতে গবেষণাটি বেশ কৌতুহল উদ্দীপক ও চমকপ্রদ।
চিকিৎসা ব্যবস্থা ও শুভঙ্করের ফাঁকি প্রসঙ্গে
কখনো ভেবে দেখেছেন, আধুনিক বিজ্ঞান যে হারে বেড়ে চলেছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতি কেন সে হারে হচ্ছে না? একটু চিন্তা করুন, দশ বছর আগে যেখানে ইন্টারনেটের গতি যত ছিলো, আজ দশ বছর পর সে গতি বেড়েছে ৫০-১০০ গুণ। কিন্তু মানুষের আয়ু কি এক বছরও বাড়ানো সম্ভব হয়েছে? হ্যাঁ, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ফলে গড় ১-২ বছর আয়ু বেড়েছে বলে ধরা হয়। কিন্তু বৈশ্বিকভাবে তা বাড়ানো সম্ভব হয়নি। উল্টো গত কয়েক দশকে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ক্যান্সারের মত রোগ সারা বিশ্বে বেড়েছে কয়েকগুণ। তাছাড়া চর্মরোগ, কোষ্টকাঠিন্য, ওজন বেড়ে যাওয়া, দুর্বলতা, অবসাদ, মাথাব্যাথার মত অন্তত এক বা একাধিক রোগে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ ভুগে থাকেন। জিনতত্ব ব্যাবহার করে অহরহ নতুন প্রজাতির উদ্ভাবন হচ্ছে, চাঁদে মানুষের পদচিহ্ন আঁকা গেছে, শব্দের চেয়ে দ্রুত গতির বিমান বানানো গেছে; বিজ্ঞানের অন্তহীন সাফল্যের পরও, তবে কেন সুস্থভাবে দীর্ঘজীবন লাভের উপায় কেন বলে দিতে পারছে না?
একটু বোঝার চেষ্টা করুন, প্রচলিত চিকিৎসা শুধু ব্যবস্থা আমাদের রোগ সারানোর কাজ করে। কিভাবে রোগমুক্ত থেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়, তার উপায় আমাদের বলে দেয় না। উল্টো, আমরা যদি সুস্বাস্থ্যের সূত্র না জানি, তাতে চিকিৎসা ব্যবস্থার লাভ। বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা যতটা না সেবা, তার বহুগুণ হলো বানিজ্য। প্রতিটি দেশেরই আয়ের বড় একটা অংশ আসে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ শিল্প থেকে, এবং চিকিৎসা বানিজ্যের সাথে জড়িত থাকে সমাজের রাঘব-বোয়ালেরা। মানুষ যত অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিতে আসবে, ততই তাদের লাভ। সে কারণেই মূলত সুদূরপ্রসারী চিন্তা করেই, মূলত চিকিৎসা ব্যবস্থা বড় আকারে সুস্বাস্থ্যের রহস্য নিয়ে গবেষণা করে না। বা করা হলেও সেটা জনসাধারণের সামনে আনা হয়নি। পৃথিবীর প্রতিটি সিস্টেম কিভাবে চলবে তা নির্ধারণ করে সম্পদশালী মানুষেরা, তারা তাদের স্বার্থের বাইরে একচুলও নড়ে না। যদিও কিছু মহৎ মানুষ এই পুঁজিবাদের নিয়ম ভেঙে মানবকল্যানে নিরলস ভাবে গবেষণা করে যান। তাঁদেরই একজন অগ্রপথিক, ড. স্টিভেন গান্ড্রির অভূতপূর্ব আবিষ্কার নিয়ে এই প্রবন্ধটি।
ড. স্টিভেন গান্ড্রির ও তাঁর অভাবনীয় গবেষণা
ড. স্টিভেন গান্ড্রি, একজন সার্জেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী। তিনি বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়বেটিস, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ সহ অনেক জটিল রোগের সাথে অন্ত্রের যোগসূত্র লক্ষ করেন। তাঁর সুদীর্ঘ চিকিৎসা জীবনের ৪০ বছর তিনি হার্টের দশ হাজারের অধিক অপারেশন করেছেন। আমেরিকার চিকিৎসা বিভাগে ওনাকে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্রই বলা যায়। জীবনব্যাপি হাজার হাজার হৃদরোগীর কেস স্টাডি করার ফলে তিনি লক্ষ করেন, বেশিরভাগ রোগীই সুস্থ অন্ত্রের অধিকারী নন। এই সূত্র ধরে তিনি অন্য রোগের সাথে অন্ত্রের যোগাযোগ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। অবাক করা বিষয় হলো, তিনি অসংখ্য ছোটবড় রোগের সাথে অন্ত্রের যোগাযোগ খুঁজে পান।
তখনও কেউ মানব অন্ত্র ও বিভিন্ন রোগ এর সূত্র নিয়ে বেশি গভীর ভাবে গবেষণা করেন নি। তাই ড. স্টিভেন কেইত যোগসূত্র টি খুঁজে বের করতে হতো। অনেক বছর নিরলস পরিশ্রম ও তার সহকর্মিদের সাহোযোগীতায় তিনি যোগসূত্রটি খুঁজে পান ও এ থেকে পরিত্রাণের উপায়ও বের করেন। তিনি এমন একটি জীবনপদ্ধতি ও খাদ্যাভাসের গঠন করেন, যা মাত্র ২০ দিনে আপনাকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে সহায়তা করবে। সুস্বাস্থ্য বলতে, আপনি বয়স্ক হলে, শারিরীক ভাবে কম করে দশ বছর তরুণ অনুভব করবেন, শারিরীক পরিশ্রম ও যাবতিয় কাজকর্মে পাবেন প্রচুর এনার্জি ও মনোযোগ, সবসময় থাকবেন প্রাণশক্তিতে উজ্জিবিত ও প্রাণবন্ত, সেই সঙ্গে ছোট বড় রোগ থেকেও পাবেন নিশ্চিৎ মুক্তি! হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটি সত্য, এ সম্পুর্ণ বৈজ্ঞানিক, যেটার প্রমাণ আপনি এই লেখাটি থেকেই পেয়ে যাবেন।
ল্যাকটিন কি?
আমাদের খাদ্যাভাসের বড় একটি অংশে ল্যাকটিন নামক একটি উদ্ভিজ্জ আমিষ থাকে। ল্যাক্টিন হলো উদ্ভিদের তৈরি এক প্রকার প্রোটিন যেটা আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে। ল্যাকটিন উদ্ভিদের জন্য এক প্রকার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। আমরা মানুষ ও পশুপাখি উদ্ভিদের বিভিন্ন অংশ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি। কিন্তু উদ্ভিদ রা তো নিজেদের রক্ষা করতে পালিয়ে যেতে বা কামড়ে দিতে পারে না। তাই, তারা ল্যাকটিন উৎপন্ন করে যাতে আপনি গাছটি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে অসুস্থ হয়ে যান, ও পরবর্তিতে গাছটা এড়িয়ে চলেন।
কিছু উদ্ভিদ সরাসরি বিষাক্ত হয়ে থাকে তাই আমরা সেসব উদ্ভিদের থেকে সতর্ক থাকতে পারি। কিন্তু উদ্ভিদে উপস্থিত ল্যাকটিন, সূক্ষভাবে শরীরের সামগ্রিক অবস্থা খারাপ করে দেয়।
ল্যাকটিন কিভাবে কাজ করে?
আমাদের অন্ত্র হলো লম্বা প্যাচানো নাড়ির সমষ্টি। লম্বা করে টেনে ধরলে যা একটি টেনিস কোর্ট থেকেও বড় হবে। আমাদের খাদ্য থেকে যত পুষ্টি উপাদান সব এই অন্ত্র থেকে শোষিত হয়। অন্ত্রের দেওয়ালের একটি কোষ সমপরিমান সরু পর্দাই মূলত এই খাদ্যগুণ শোষনের কাজ করে। ল্যাকটিন প্রোটিন মূলত সূক্ষ্ম কাটার বলের মত কাজ করে। যা অন্ত্রের পাতলা আবরণে খুব সহজেই ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারে। এই ক্ষত সৃষ্টি হলে খাদ্যশক্তি গ্রহণ হয়ে পড়ে ত্রুটিপূর্ন। চায়ের ছাকনীতে ফুটো বড় থাকলে যেমন চায়ের কাপে চাপাতি চলে আসে, ঠিক তেমন ভাবেই অন্ত্রের সূক্ষ ক্ষত গুলো দিয়ে খাদ্য শক্তির সাথে অতিক্ষুদ্র মল বা বজ্র রক্তে মিশে যায়। বলাই বাহুল্য রক্ত আমাদের শরীরের মূল চালিকা শক্তি। এই দূষিত রক্ত আমাদের শরীরে যাবতীয় ছোট খাটো অস্বস্তিকর রোগের কারণ হতে পারে। যেমন, মাথা ব্যাথা, দুর্বলতা, শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা হওয়া, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়া, চর্মরোগ ইত্যাদি। অনেক বছর নিয়মিত ল্যাকটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করলে শরীরে ক্যান্সার, উচ্চরক্তচাপ, ডায়বেটিস, হার্টের রোগের মত জটিল রোগ ব্যাধি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ল্যাকটিন যুক্ত খাবার যথাসম্ভব বর্জন করে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অভাবনীয় উন্নতি করা সম্ভব।
ল্যাকটিন সমৃদ্ধ খাবার কি কি?
পাঁচ ধরনের খাবার প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিন সমৃদ্ধ থাকে।
১) শিম, ও বাদাম জাতীয় খাদ্য যেমন চিনা বাদাম, মটরশুটি, শিম, ডাল। এখন মনে হতে পারে বাঙালী এসব খাবার ছাড়া কিভাবে থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে এসব খাবার প্রেশার কুকারে রান্না করলে অতিরিক্ত ল্যাকটিন ভেঙে যায়।
২) মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া ও কুমড়া শাক।
৩) টমেটো, আলু, বেগুন, ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটিন থাকে।
৪) কামরাঙা, স্ট্রবেরি, আনারস, শসা।
৫) শস্য জাতীয় খাবার যেমন গম, ভু্টা, লাল চাল, শরিষাতে প্রচুর পরিমান ল্যাকটিন থাকে।
এই খাবার গুলো এড়িয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্য অনেকাংশে উন্নত করতে পারে কিন্তু একজন ব্যস্ত মানুষের পক্ষে একটি খাদ্যাভাস নিয়মিত অনুস্বরণ করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে যেটা করা যেতে পারে তা হলো অন্ত্রের ক্ষতিকর খাদ্য তা যথাসম্ভব বর্জন করা ও অন্ত্রের উপকারী খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করা। চলুন ল্যাকটিন এর প্রভাব দূর করে এমন একটি উপাদান সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
ল্যাকটিন প্রতিরোধে বিউটারেট এর ভূমিকা
বিউটারেট হলো এমন একটি উপাদান যা, অন্ত্রের ক্ষতি খুব কার্যকরী ভাবে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। আরেকটু ভেঙে বললে বলতে হয়, মূলত অন্ত্রে কিছু উপকারী ব্যাক্টেরিয়া ঐ খাবারগুলো থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে একটি এক ধরণের ফ্যাটি এসিট তৈরি করে যার নাম "Butyrate". বিউটারেট শুধু অন্ত্রই না, আমাদের শরীরে জন্য একটি অতি উপকারী উপাদান। এটি অন্ত্রে প্রদাহ কমিয়ে আনে, অন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করে, দেহের কোষগুলোকে সজীব করে রাখে অর্থাৎ এন্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করে এবং আমাদের মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে কাজ করে। মূলত, এটি অন্ত্রের প্রতিটি কোষকে সুস্থ রাখতে ও অন্ত্রের পাতলা আবরণ সুদৃঢ় রাখতে সাহায্য করে। যদি অন্ত্রের কোন স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেক্ষেত্রে বিউটারেট একটি রক্ষাকারী আবরণ হিসেবে কাজ করে ও সেরে উঠতে সাহায্য করে। মূলত বিউটারেট একটি সুস্থ্য ও অসুস্থ অন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়।
তাছাড়া বিউটারেট শরীরে শক্তির ভারসাম্য এনে দেয়, ও লিভার সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে।
আমাদের দেশের একজন সাধারণ মানুষের খাদ্যাভাস লক্ষ করুন, আজকাল, কোন কীটনাসক, এস্টিবায়োটিক, ও রাসায়নাক দ্রব্য ব্যাতিত শহর-জীবন কল্পনাও করা যায় না। এইসব খাবার আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য একেবারে নিঃশেষ করে দেয়। অসুস্থ অন্ত্র হলো একটি নিরব ঘাতক, অনেক রকম উপস্বর্গ দেখা দিলেও ঠিক অসুস্থ অন্ত্রের কারণেই যে তা হচ্ছে, কখনো নিশ্চিৎ হতে পারবেন। বায়োটিন আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও সর্বপরি আপনার স্বাস্থ্য উন্নত করতে পারে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই।
কিভাবে খাদ্য থেকে বিউটারেট পাওয়া যায়?
বিউটারেট সরাসরি কোন খাদ্য উপাদান নয় বরং এটি আমাদের শরীরের ভেতরই উৎপন্ন হয়। বিউটারেট উৎপন্ন হতে মাত্র দুইটি জিনিস প্রয়োজন।
১) উপকারী ব্যাক্টেরিয়া
আমাদের অন্ত্রে অসংখ্য উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার বসবাস যারা আমাদের খাবার হজম করতে সাহায্য করে। ব্যাক্টেরিয়া গুলো বিভিন্ন এনজাইম তৈরি করে ও খাবারের বড় অংশ ভেঙে দেয়। আমাদের শরীর মূলত একটি ব্যাক্টেরিয়ার মহাবিশ্ব। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন আপনার শরীরে এই মুহুর্তে ২ কেজি সমপরিমাণ ব্যাক্টেরিয়া থাকা উচিৎ। মানবদেহে প্রতিটি কোষে গড়ে ১০ টি ব্যাক্টেরিয়ার বসবাস। এই ব্যাক্টেরিয়া গুলো কোন রকম ক্ষতি করে না, বরং এদের ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকতে পারত না। এই ব্যাক্টেরিয়াদের বলা হয় প্রো-বায়োটিক।
২) প্রবায়োটিক
দেহের উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার জন্য খাদ্য উপাদান, যাকে বলা হয় প্রি-বায়োটিক। ব্যাক্টেরিয়া আর ব্যাক্টেরিয়ার খাবার থাকলে দেহে যথেষ্ট পরিমাণ বিউটারেট উৎপন্ন হবে। বেশ কিছু খাদ্য উপাদান উল্লেখযোগ্য হারে ব্যাক্টেরিয়ার খবার প্রদান করে, তবে দুঃখজনক ভাবে উপমহাদেশে বেশিরভাগই সুলভ নয়। আমাদের দেশে পাওয়া যায় এমন যে খাবার থেকে প্রিবায়োটিক পাওয়া যায় তার একটা তালিকা দেওয়া হলো-
-
রসুন
-
পেঁয়াজ
-
লাল আটা
-
ওটস
-
বার্লি
-
এসপারাগাস
-
কলা
-
নারকেল
তালিকাটি দেখে বোঝা শক্ত নয় যে, আমাদের স্বাভাবিক খাদ্যাভাস থেকে দেহে যথেষ্ট প্রিবায়োটিক ও বিউটারেট উৎপন্ন হয় না। পেঁয়াজ রসুন প্রত্যহ ব্যাবহার হলেও তা পরিমাণে সামান্য, যার দ্বারা বড় স্বাস্থ্যের উন্নতি সম্ভব না। সে জন্য প্রয়োজন প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে এই খাবার গুলো গ্রহণ করা।
উল্লেখ্য, স্টিভেন গান্ড্রির তৈরি করা এই খাদ্যাভাস এখনো গবেষণাধীন রয়েছে। অসংখ্য মানুষ, এমনকি ড. স্টিভেন গান্ড্রি নিজেও এই খাদ্যাভাসে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিশ্বের অনেক বড় বড় চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক তাঁর গবেষণার ভুয়সী প্রসংসা করেছেন। তাই আপনার সুস্বাস্থ্যের যাত্রায় ল্যাকটিন তত্ত্ব হতে পারে ট্রাম কার্ড। তবে এই ডায়েট শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার ডায়েটিশিয়ানকে অবহিত করতে হবে।