যষ্টিমধু খাওয়ার বিস্ময়কর ৮টি উপকারিতা

যষ্টিমধুতে রয়েছে গ্লাইসাইরিজিনের মতো উপকারী উপাদান যার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিবায়োটিক এবং প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়া যষ্টিমধু ফোলা ভাব ও কাশি কমায়, এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্স সহ গ্যাস্ট্রিক ও আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে।

প্রাচীনকাল থেকেই, মানুষেরা বিভিন্ন কবিরাজী চিকিৎসায় এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যষ্টিমধু ব্যবহার করে আসছে, যেমন ইনফেকশনের সমস্যা দূর করতে এবং হজমের সমস্যায় কার্যকরী ঔষধ হিসেবে। যাইহোক, যষ্টিমধু এখনো একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক ঔষধি উপাদান। এটি চা, ক্যান্ডি, শুকনো ভেষজ ক্যাপসুল এবং তরল নির্যাস হিসেবেও বাজারে পাওয়া যায়।

এই ব্লগে, আমরা যষ্টিমধুর আশ্চর্যজনক উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব যাতে করে আপনি আপনার স্বাস্থ্য এবং সৌন্দর্যের নিয়মের অংশ হিসাবে এটিকে ব্যবহার করতে পারেন। 

 

যষ্টিমধু কী?

যষ্টিমধু একটি জনপ্রিয় প্রাকৃতিক ঔষধি উপাদান যার ইংরেজি নাম লিকোরিস (Licorice)। আভিধানিক অর্থে যষ্টি বলতে লাঠি বুঝায়, তাই যষ্টির মধু বলতে অনেকেই লাঠি মধু ভেবে থাকবেন। তবে বাস্তবে লাঠি মধু নামক কোন বস্তুর অস্তিত্ব নেই।

যষ্টিমধু মূলত গ্লাইসাইররিজা গ্লাবরা (Glycyrrhiza glabra) নামক এক ধরনের বিশেষ গাছের শেকড়। মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে জন্মানো এই লিগিউম জাতীয় বিরুৎ উদ্ভিদের শিকড় থেকে মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়। তাই এটি বাংলা ভাষাভাষীর জনগণের কাছে যষ্টিমধু হিসেবে পরিচিত।

 

যষ্টিমধুর ঔষধি ব্যবহার প্রাচীন মিশর থেকে শুরু হয়েছিল, যেখানে ফেরাউনদের জন্য এটিকে একটি মিষ্টি পানীয় হিসাবে তৈরি করা হত। এছাড়া আয়ুর্বেদ, ট্র্যাডিশনাল চাইনিজ মেডিসিন এবং গ্রীক-রোমান মেডিসিনের মতো ঐতিহ্যবাহী ঔষধ পদ্ধতিতে শতাব্দী ধরে যষ্টিমধু ব্যবহার করা হয়েছে। যষ্টিমধু গলা ব্যথা, কাশি, হজমের সমস্যা, প্রদাহ কমাতে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য সে সময়গুলিতে ব্যবহৃত হত।

 

 

 

যষ্টিমধু খাওয়ার উপকারিতা

আসুন যষ্টিমধুর বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কতগুলি সম্পর্কে জেনে নেই।

 

১. ত্বক ভালো রাখে 

যষ্টিমধুতে ৩০০ টিরও বেশি বিভিন্ন উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি অ্যান্টিসেপটিক, এবং ইনফেকশন প্রতিরোধী উপাদানএগুলো ত্বকের বিভিন্ন খারাপ অবস্থা যেমন রক্তিমভাব, ইনফেকশন এবং এলার্জি জনিত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। যষ্টিমধু আপনাকে দুধে আলতা গায়ের রংয়ের নিশ্চয়তা না দিলেও আপনার ত্বকের সুস্থতা এবং উজ্জ্বলতাকে ধরে রাখবে।

আপনার নিয়মিত রূপচর্চার রুটিন এর ফেসপ্যাক এ হলুদের গুড়ার সাথে যষ্টিমধু দিয়ে ত্বক উপযোগী মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন। কারণ এটি সূর্যের ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিকাল এক্সপোজারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা করে গড়ে তোলে। ফ্রি র‌্যাডিকেল ত্বকে উপস্থিত মেলানিন-গঠনকারী কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অতিরিক্ত রঞ্জক তৈরিতে বাধ্য করে।

যষ্টিমধুর নির্যাসে উপস্থিত অন্যতম আরেকটি যৌগ হলো গ্ল্যাব্রিডিন। এই পদার্থ আপনার ত্বকে রোদে পোড়া দাগ,  ব্রণের দাগ, এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে। তাছাড়া বছরের যেকোনো ঋতুতে যষ্টিমধুর প্যাকগুলো আপনার ত্বকের পাশাপাশি আপনার দেহের সার্বিক সুস্থতাও নিশ্চিত করবে। এমনকি কিছু একজিমা, সোরিয়াসিস, শুষ্ক ত্বক এবং ত্বকের ফুসকুড়ি প্রতিরোধ করতে অত্যন্ত কার্যকার ভাবে কাজ করবে।

 

২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

যষ্টিমধুতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক ঔষধি গুন পাওয়া গেছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়। এছাড়াও এর একাধিক রোগ উপশমকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য যষ্টিমধুকে ২০১২ সালের ঔষধি উদ্ভিদ বলে গণ্য করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, লিগুমিনাস পরিবারের উদ্ভিদ এর অংশ বিশেষ অর্থাৎ যষ্টিমধু আপনার টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে। 

বিভিন্ন পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত যে, যষ্টিমধুর নির্যাস রক্তে শর্করার মাত্রার হ্রাস করতে সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রে যষ্টিমধুতে উপস্থিত কয়েকটি পদার্থ, যেমন গ্ল্যাব্রিডিন এবং আমরফ্রুটিন, এই অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন বলে ধারণা করা হয়।

যদিও এখন পর্যন্ত টাইপ ২ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় বিশেষ কোনো ওষুধই রোগের উপর কার্যকর প্রভাব তৈরি করতে পারে নি। সেখানে এ রোগের ক্ষেত্রে যষ্টিমধুর ব্যবহার এবং ডাইবেটিস প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে যষ্টিমধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার জন্য নিঃসন্দেহে একটি সুখবর বটে! তবে এই ধরণের রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই শ্রেয়।

 

৩. ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে

প্রতিদিন ৩.৫ গ্রাম যষ্টিমধু খাওয়ার অভ্যাস আপনার শরীরের ৪% পর্যন্ত চর্বি কমাতে পারে। যষ্টিমধুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও রয়েছে, যা আপনার পেট ভালো রাখতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করবে।

গবেষণায় দেখা গেছে গেছে যে, যষ্টিমধুতে উপস্থিত ফ্ল্যাভোনয়েড তেলের পরিপূরক এবং অতিরিক্ত  চর্বিবহুল ব্যক্তিদের শরীরের চর্বি এবং ভিসারাল ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে পারে। আপনার শরীরের চর্বি এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে তাই নির্দ্বিধায় যষ্টিমধু দিয়ে তৈরি চা পান করতে পারেন।

 

৪. সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে

যষ্টিমধুতে উপস্থিত ইথানল এবং সুপারক্রিটিক্যাল তরল, গ্রাম-পজিটিভ এবং গ্রাম-নেগেটিভ উভয় ধরণের ব্যাকটেরিয়াদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে আপনার দেহে এ ধরণের ব্যাকটেরিয়া কোন টক্সিন উৎপাদন করতে পারবে না এবং আলফা-হেমোলাইসিন নামক ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদন হ্রাস করে আপনাকে সুস্থ রাখবে। অর্থাৎ যষ্টিমধু আপনার দেহে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

এছাড়াও গ্লাইসাইরিজিন হল একটি সংক্রমণ প্রতিরোধী উপাদান, যা দেহের প্রদাহের স্থানে দ্রুত থ্রম্বিন এবং ফাইব্রিনোজেন ক্যামিকেলগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও যষ্টিমধুতে উপস্থিত লিকোরাইজ যৌগটি এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। একাধিক গবেষণা থেকে এটি প্রমাণিত যে, যষ্টিমধুতে উপস্থিত গ্লাইসাইরিজিন আপনার দেহে একজিমা সংক্রমণের উপসর্গগুলি উপশম করতে সাহায্য করবে।

 

 

৫. গ্যাস্ট্রিক এবং পেটের সমস্যা দূর করে

ইদানিং সময়ে বেশিরভাগ মানুষই আলসারসহ পেটের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন, যার অন্যতম কারণ হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলে মানুষের পেটে পেপটিক আলসার হতে পারে। তবে সুসংবাদ হল ১২০ জনের একটি ক্লিনিকাল পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, দীর্ঘকালীন স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট হিসেবে যষ্টিমধু ব্যবহারের ফলে হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়া নির্মূলে রোগীরা উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। সুতরাং আপনার ক্ষেত্রেও পেটে বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় এবং দেহের সুস্থতায় অ্যান্টি-আলসার গুণসম্পন্ন যষ্টিমধু নিরাপদ হবে।

 

৬. লিভার সুরক্ষায়

হেপাটাইটিস হলো একটি ভাইরাস যা আপনার লিভারকে সংক্রমিত করবে এবং দুর্ভাগ্যবশত ধীরে ধীরে আপনাকে মৃত্যুর পথেও এগিয়ে দেবে। তবে এক্ষেত্রেও যষ্টিমধুতে উপস্থিত উপকারী উপাদান গ্লাইসাইরিজিন হেপাটাইটিস সি এর চিকিৎসায় সাহায্য করে। সুতরাং হেপাটাইটিস সি এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যষ্টিমধু আপনার জন্য কার্যকর হবে, তবে হেপাটাইটিস সি প্রতিকারে যষ্টিমধু কখনোই ওষুধের বিকল্প হবে না।

যাইহোক, বিভিন্ন গবেষকগণ তাদের পরীক্ষালব্ধ তথ্য হতে রিপোর্ট করেন যে, গ্লাইসাইরিজিন দেহ কোষে হেপাটাইটিস সি-এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে এবং ভবিষ্যতে এই ভাইরাসের কার্যকরী ঔষধ হিসেবে গ্লাইসাইরিজিন কাজে লাগতে পারে।

 

৭. দাঁতের ক্ষয় রোধ করে

কিছু গবেষণা হতে গবেষকগণ মত দেন যে দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টিকারী মুখের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে যষ্টিমধুর নির্যাস উপযোগী এবং নির্ভরযোগ্য প্রাকৃতিক চিকিৎসা। ২০২০ সালে করা একটি গবেষণা হতে দেখা যায়, যষ্টিমধু হতে নিষ্কাশিত প্রাকৃতিক যৌগগুলোর অ্যান্টিক্যারিওজেনিক বা দাঁতের ক্ষয় রোধ কার্যকারিতা রয়েছে, তবে তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য উপাদানগুলো হচ্ছে গ্লাইসাইরিজিন।

আরো জানা যায় যে, এই গ্লাইসাইরিজিন এর অ্যান্টিঅ্যাডারেন্ট কার্যকারিতা আপনার মুখে উপস্থিত স্ট্রেপ্টোকক্কাস মিউটান ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ, আপনার দাঁতের চারপাশে ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন এসিডের মাত্রা হ্রাস পাবে এবং দাঁতে কোন ধরনের গর্ত তৈরিতে বাধা দান করবে।

 

৮. গলা ব্যথা ও শ্বাসতন্ত্রের চিকিৎসায় 

যদি কোন ধরণের গলা ব্যথা বা শ্বাসতন্ত্রের কোন সমস্যা অনুভব করেন, তবে এক্ষেত্রেও যষ্টিমধু আপনার জন্য উপকারী হবে। কারণ এতে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের উপাদান গলা ব্যথা চিকিৎসায় এবং শ্বাসতন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে। একটি গবেষণা হতে জানা যায় যে, অস্ত্রোপচারের আগে সামান্য পরিমাণ যষ্টিমধুর ব্যবহারের ফলে সাময়িক পোস্টঅপারেটিভ গলা ব্যথা এবং ব্যথার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে। 

একই ধরনের আরেকটি গবেষণা দেখা গেছে যে, পোস্টঅপারেটিভ গলা ব্যথায় অন্যান্য সমাধানগুলোর তুলনায় যষ্টিমধুর উচ্চ মাত্রার পুষ্টিগুণ অধিক কার্যকর। তাছাড়া  যষ্টিমধুতে উপস্থিত উপকারী বৈশিষ্ট্যগুলো হাঁপানি রোগের ভেষজ ঔষধ হিসেবে কার্যকর। যাইহোক, আপনার হাঁপানি সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং দীর্ঘকালীন সময় সুস্থ ভাবে জীবন যাপনের জন্য যষ্টিমধুর ব্যবহার আপনার ক্ষেত্রে সঠিক পছন্দ হতে পারে।

 

 

যষ্টিমধু খাওয়ার নিয়ম

যষ্টিমধু আপনি খাওয়ার ট্যাবলেট, তরল নির্যাস, ক্যাপসুল, পাউডার এবং দারচিনির মত আলগা ভেষজ উপাদান হিসেবে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং লোকাল বাজারে কিনতে পাবেন। তবে তবে যষ্টিমধু ব্যবহারের নির্দিষ্ট কোন পদ্ধতি বা নিয়ম নেই। বিভিন্ন লোকেরা এটি ঔষধ তৈরিতে ব্যবহার করে, কেউবা ফেসপ্যাক তৈরিতে ব্যবহার করে, কেউ আবার খাবার হিসেবেও চা তৈরিতে, ক্যান্ডি তৈরিতে, ব্যবহার করতে পারেন।

সাধারণ খাদ্য পরিমাণে খাওয়া হলে বেশিরভাগ লোকের জন্য যষ্টিমধু সম্ভবত নিরাপদ। আর গ্লাইসিরিজিন উপাদান অপসারণ করা যষ্টিমধু ৪ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন ৪.৫ গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া নিরাপদ।

 

সতর্কতা 

যষ্টিমধু মূলত খাওয়ার জন্য নিরাপদ। তবে একটি প্রবাদ আছে, উনো ভাতে দুনো বল, অতি ভাতে রসাতল। অর্থাৎ যষ্টিমধু অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে, উপকারিতার বদলে উল্টো বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। অনেকসময়, দীর্ঘস্থায়ী বা অত্যধিক গ্লাইসাইরিজিন গ্রহণের ফলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাছাড়া গুরুতর হাটের রোগী বা গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক যষ্টিমধু গ্রহণ অধিক উপযুক্ত। 

 

শেষকথা

প্রাচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত ষষ্টিমধু বিভিন্ন উপকারী গুণাগুণের জন্য বহুল পরিচিত। তবে সতর্কতা মেনে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক পরিমাণে যষ্টিমধু গ্রহণের ফলে দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া সম্ভব। 

 

আরও পড়ুনঃ

 

Default user image

মেহেবুবা হাসান, লেখক, আস্থা লাইফ

সৃষ্টিকর্তার অসীম কৃপায় পৃথিবীর অপার সৌন্দর্য ও জ্ঞান সমুদ্রের মাঝে জন্ম নেওয়া আমি এক সামান্য মানুষ, মেহেবুবা হাসান। উদ্ভিদ তত্ত্বের বই পুস্তকের বাইরে সাহিত্যকে ভালোবেসে কলম হাতে নেওয়া। আমার বিশ্বাস প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ভাষা থাকে, আমার ভাষা কলম। সমাজকে রাতারাতি পরিবর্তন বা পরিমার্জনের আশা ব্যতিরেকে নিজস্ব পরিতৃপ্তি এবং মানুষের সামান্যতম উপকারে আসা আমার একান্ত প্রচেষ্টা।

Related Articles