বিশুদ্ধ ও পরিমিত পানি পানের ১০টি উপকারিতা
আপনার শরীরের ওজনের সিংহভাগই হচ্ছে পানি এবং তা শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনের সাথে জড়িত। আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগজীবাণু প্রতিরোধে পানির ভূমিকা অপরিসীম। আসুন বিশুদ্ধ ও পরিমিত পানি পানের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসা যাক।
বিশ্ব খাদ্য দিবস (১৬ অক্টোবর)
“ Water is life, water is food. Leave no one behind.”
এই থিমটি অনুধাবন করলেই বুঝা যায় যে, পানি আমাদের জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মূলত পানির অপর নাম জীবন, তবে তা বিশুদ্ধ ও পরিমিত পরিমাণে। আমরা পানি ছাড়া বাঁচতে পারি না। আমাদের সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপনে নিয়মিত পানি পান করতে হয়। পানি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনের সাথে জড়িত। পানি দেহ থেকে বর্জ্য বের করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে সাহায্য করে থাকে। এমনকি আমাদের দেহের ৭০% পানি দিয়ে গঠিত হয়।
পানি পানের যত উপকারিতা
আপনি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সর্বোচ্চ যে কাজটি করতে পারেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হাইড্রেটেড থাকা বা নিয়মিত পানি পান করা। হাইড্রেটেড থাকা শারীরিক কর্মক্ষমতা, মাথাব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ এবং আরও অনেক কিছুতে সহায়তা করতে পারে। আসুন বিস্তারিত জেনে নেই-
১। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
আপনার দেহের তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য হাইড্রেটেড বা জলীয়পূর্ণ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং গরম পরিবেশে থাকার ফলে আপনার শরীর ঘামের মাধ্যমে পানি হারায়। সেক্ষেত্রে আপনার ঘাম শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে ঠিকই, কিন্তু আপনি যে পানি হারান তা পূরণ না করলে, দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। আবার আপনার শরীর পানিশূন্য হলে ইলেক্ট্রোলাইট এবং প্লাজমাও হারাতে শুরু করবে। আর সেজন্য ডিহাইড্রেশন এড়াতে আপনার প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা প্রয়োজন।
২। টিস্যু, স্পাইনাল কর্ড এবং জয়েন্টগুলিকে রক্ষা করে
মায়ো ক্লিনিক হেলথ সিস্টেম অনুসারে, পানি আপনার শরীরের টিস্যুগুলিকে আর্দ্র রাখে। আবার মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ মতে, পানি আপনার দেহকে হাইড্রেটেড রাখার পাশপাশি রক্ত, হাড় এবং মস্তিষ্কে আর্দ্রতার সর্বোত্তম মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও পানি আপনার মেরুদণ্ডের কর্ড রক্ষা করতে, জয়েন্টগুলির জন্য লুব্রিকেন্ট এবং কুশন হিসাবে কাজ করে থাকে।
৩। শরীরের বর্জ্য অপসারণে সহায়তা করে ও কিডনি সুস্থ রাখে
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করলে তা আপনার শরীরকে ঘাম, প্রস্রাব এবং মলত্যাগের মাধ্যমে বর্জ্য নির্গত করতে সক্ষম করে তোলে। পানি আপনার কিডনিকে রক্ত থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে এবং কিডনিতে প্রবাহিত রক্তনালীগুলিকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান করলে তা আপনার কিডনিকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি পাথর হওয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
৪। হজমে সাহায্য করে
আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যকর হজমের জন্য পানি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, খাবারের সময়, আগে এবং পরে পানি পান করা হলে তা খাবারকে আরও সহজে ভেঙে ফেলতে, হজম করতে, পুষ্টি পেতে সহায়তা করে। এই বিষয়ে মায়ো ক্লিনিক ব্যাখ্যা করে যে, পানি আপনার খাওয়া খাবার ভেঙে দিতে সাহায্য করে, আর এর ফলে পুষ্টিগুলি শরীর দ্বারা শোষিত হয়। সেক্ষেত্রে পানি পান করার পরে, আপনার ছোট ও বড় উভয় অন্ত্র তা শোষণ করে, আর যার কারণে তা আপনার রক্ত প্রবাহে চলে যায় এবং পুষ্টিগুলিকে ভেঙে ফেলার জন্যও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর এভাবেই পানি দেহের স্বাস্থ্যকর হজমের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন করে।
৫। শরীরকে ডিহাইড্রেটেড হতে বাঁধা দেয়
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুযায়ী, আপনি যখন পরিশ্রম করেন, ব্যায়াম করেন, প্রচণ্ড তাপে ঘামেন, জ্বর কিংবা বমি বা ডায়রিয়া হয়, তবে আপনার শরীর তরল হারায়। সেক্ষেত্রে আপনার পানি গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে আপনি আপনার শরীরের প্রাকৃতিক হাইড্রেশন স্তর পুনরুদ্ধার করতে পারেন। মূলত পানি আপনার শরীরকে ডিহাইড্রেটেড হতে বাঁধা দেয় এবং দেহের জলীয় ভারসাম্য রক্ষা করে।
৬। মুখের লালা তৈরি করতে সাহায্য করে
পানি মুখের লালার একটি প্রধান উপাদান। লালার মধ্যে অল্প পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইট, শ্লেষ্মা এবং এনজাইমও থাকে। মূলত শক্ত খাবার ভাঙ্গা এবং মুখ সুস্থ রাখার জন্য এটি অপরিহার্য। সেক্ষেত্রে নিয়মিত তরল গ্রহণের সাথে আপনার শরীর সাধারণত পর্যাপ্ত লালা তৈরি করে। অনেকসময় বয়স কিংবা নির্দিষ্ট ওষুধ অথবা থেরাপির ফলে আপনার মুখের লালা উৎপাদন কমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে যদি আপনার মুখ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি শুষ্ক হয়, তাহলে পানি খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
৭। আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে সহায়তা করে
গবেষণা দেখায় যে, ডিহাইড্রেশন স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং শক্তির কার্যকারিতা কমিয়ে আনে। কারণ, এটা অবাক না হওয়ারই কথা যে মস্তিষ্কের ৭৫ শতাংশই হচ্ছে পানি। তাই শরীর ও মস্তিষ্কের পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট কমে গেলে আপনার মাথা ঝিমাতে শুরু করে, মাথাটা কেমন জানি ঝাপসা হয়ে যায়।
পর্যাপ্ত ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য আপনার শরীরকে সর্বোত্তমভাবে কাজ করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কম ইলেক্ট্রোলাইট পেশী দুর্বলতা, ক্লান্তি এবং বিভ্রান্তি সহ নানা ধরণের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
আপনার শরীর যদি পর্যাপ্ত পানি না পায় তবে তা আপনার মুড বা মেজাজকেও প্রভাবিত করতে পারে। ডিহাইড্রেশন ক্লান্তি এবং বিভ্রান্তির পাশাপাশি উদ্বেগেরও কারণ হতে পারে।
৮। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খাওয়াই কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের একমাত্র উপায় নয়। এক্ষেত্রে আপনার নিয়মিত পানি খাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে মলত্যাগে সমস্যা না হয়। এছাড়াও আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার গ্রহণ না করেন, তবে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে। সেজন্য কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত হতে না চাইলে, দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
৯। পুষ্টির শোষণে সহায়তা করে
সাধারণত খাদ্য ভাঙ্গনে সাহায্য করার পাশাপাশি, পানি আপনার খাবার থেকে ভিটামিন, খনিজ এবং অন্যান্য পুষ্টি দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে। তারপরে তা এই ভিটামিন উপাদানগুলিকে শরীরের বাকি অংশে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও দৈনিক সকালে খালি পেটে পানি পান করলে, তা পুষ্টির দ্রুত শোষণকে সক্ষম করতে সাহায্য করে। আর এর কারণেই কোলন স্বাস্থ্যও ভালো হয়ে থাকে।
১০। আপনার কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে সুস্থ রাখে
পানি আপনার রক্তের একটি বিশাল অংশ। উদাহরণস্বরূপ, প্লাজমা যা আপনার রক্তের ফ্যাকাশে হলুদ তরল অংশ এবং যার প্রায় ৯০ শতাংশই পানি। তাই আপনি যদি কোন কারণে ডিহাইড্রেটেড হয়ে যান, আপনার রক্ত আরও ঘনীভূত হয়ে যায়, যা এতে থাকা ইলেক্ট্রোলাইট খনিজগুলির (সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম) ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে। এই ইলেক্ট্রোলাইটগুলি আপনার পেশী এবং হার্টের যথাযথ ফাংশনের জন্য প্রয়োজনীয়।
ডিহাইড্রেশনের ফলে রক্তের পরিমাণও কমে গিয়ে ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ হতে পারে। যার ফলে আপনি হালকা মাথা ব্যথা ও দাঁড়িয়ে থাকতে অস্বস্তিকর বোধ করতে পারেন।
পানি আপনার পুরো শরীরে সহায়ক পুষ্টি এবং অক্সিজেন বহন করে। দৈনিক পানি খাওয়ার ফলে আপনার রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এছাড়াও পানি গ্রহণ করলে তা আপনার বিপাক প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে সহায়তা করে। এছাড়াও সকালবেলা খালি পেটে পানি পান করলে তা বিপাকীয় হারকে প্রায় ২৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি করে। আর এতে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
পানি নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন
১. প্রতিদিন কতটুকু পানি খাওয়া উচিৎ?
ইউএস ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিসিন নির্ধারণ করেছে যে, সমস্ত পানীয় এবং খাবার থেকে দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল গ্রহণের পরিমাণ হচ্ছে-
-
পুরুষদের জন্য দিনে প্রায় ১৫.৫ কাপ বা ৩.৭ লিটার তরল
-
মহিলাদের জন্য দিনে প্রায় ১১.৫ কাপ বা ২.৭ লিটার তরল
তরল গ্রহণের এই সুপারিশের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, অন্যান্য পানীয় (সফট ড্রিঙ্কস, ফলের পানি ইত্যাদি), এবং বিভিন্ন খাদ্যের পানিও অন্তর্ভুক্ত। সাধারণত দৈনিক তরল গ্রহণের প্রায় ২০% সাধারণত খাবার থেকে আসে এবং বাকিটা পানীয় থেকে।
২. দৈনিক ৮ গ্লাস বা ২ লিটার পানি পান করার পরামর্শ কী সঠিক?
আপনি অবশ্যই দিনে আট গ্লাস বা দুই লিটার পানি পান করার পরামর্শ শুনেছেন। আসলে এটি মনে রাখা সহজ, এবং এটি শুধুমাত্র বিশুদ্ধ পানির ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে, সব তরলের ক্ষেত্রে নয়।
বেশিরভাগ সুস্থ মানুষ যখনই তৃষ্ণার্ত বোধ করেন তখনই পানি এবং অন্যান্য তরল পান করে হাইড্রেটেড থাকতে পারেন। কিছু লোকের জন্য, দিনে আট গ্লাসেরও কম পানিই যথেষ্ট হতে পারে। তবে অন্য লোকেদের ক্ষেত্রে আরও বেশি পানি প্রয়োজন হতে পারে। পানি খাওয়ার এই তারতম্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে থাকে-
-
ব্যায়াম,
-
পরিবেশ,
-
সার্বিক স্বাস্থ্য,
-
গর্ভাবস্থা এবং
-
বুকের দুধ খাওয়ানো ইত্যাদি।
৩. হাইড্রেটেড থাকার জন্য পানিই কি একমাত্র বিকল্প?
না। আপনার তরল চাহিদা মেটাতে আপনাকে শুধুমাত্র পানির উপর নির্ভর করতে হবে না। আপনি অন্যান্য যা খান তাও একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তরল প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, অনেক ফল এবং শাকসবজি, যেমন তরমুজ এবং পালং শাক ইত্যাদি যাদের ওজনের প্রায় ১০০ ভাগই পানি।
এছাড়াও, দুধ, জুস এবং ভেষজ চায়ের মতো পানীয়গুলি বেশিরভাগ পানি দিয়ে গঠিত। এমনকি ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় যেমন, কফি এবং সোডা যা আপনার প্রতিদিনের পানি গ্রহণে অবদান রাখতে পারে। তবে চিনি বা মিষ্টিযুক্ত পানীয়গুলি পরিহার করার চেষ্টা করবেন।
৪. আপনি যথেষ্ট পানি পান করছেন কিনা তা কিভাবে বুঝবেন?
আপনার তরল গ্রহণ তখনই পর্যাপ্ত হবে যখন-
-
আপনি খুব কমই তৃষ্ণার্ত অনুভব করেন
-
আপনার প্রস্রাব বর্ণহীন বা হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে এবং আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় তরল রয়েছে তা নিশ্চিত করতে, বিশুদ্ধ পানিকেই আপনার পছন্দের পানীয় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এক গ্লাস পানি পান করা সবচেয়ে ভাল সময় হচ্ছে-
-
প্রতি বেলা খাবারের আগে ও পরে
-
ব্যায়ামের সময় এবং এর আগে ও পরে
-
তৃষ্ণা লাগলে
৫. পানি বেশি পান করলে কি কোন সমস্যা হবে?
অত্যধিক পানি পান করা স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্ট প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তেমন সমস্যা না। অ্যাথলেটরা দীর্ঘ বা তীব্র ব্যায়ামের সময় ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করার জন্য মাঝে মাঝে খুব বেশি পানি পান করতে পারে।
তবে আপনি যখন খুব বেশি পানি পান করেন, তখন আপনার কিডনি অতিরিক্ত পানি নির্গত করতে পারে না। তখন আপনার রক্তের সোডিয়ামের ঘনত্ব পাতলা হয়ে যায়। একে হাইপোনাট্রেমিয়া বলা হয় এবং এটি জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে।
পরিশেষ
আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গের স্বাভাবিক এবং মসৃণ কার্যকারিতার জন্য পানি অপরিহার্য। মূলত পানি আমাদের সুস্থ রাখতে অনেকটা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে। এছাড়াও শরীরকে হাইড্রেট বা জলীয়পূর্ণ রাখতে এবং বিভিন্ন রকমের রোগ-জীবাণু প্রতিরোধে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে পানি হতে হবে বিশুদ্ধ এবং পরিমিত।