ওজন কমাতে মৌসুমী শাকসবজি ও ফলমূল হতে পারে কার্যকারী সমাধান

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা নানান রকমের খাবার গ্রহণ করে থাকি, কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা মৌসুমি ফলমূল ও শাকসবজি-ই হতে পারে আমাদের ওজন কমাতে সব থেকে ভালো উপায়।

ষড় ঋতুর এই দেশে মৌসুমি খাবার সম্পর্কে জানব না তা হয় নাকি! মৌসুমি খাবার গ্রহণ বলতে বোঝায়, মৌসুমি ফল, শাকসবজি খাওয়া, অর্থাৎ যে মৌসুম চলছে সে সময় যেসব শাকসবজি ও ফলমূল পাওয়া যায় সেগুলো গ্রহণ করা। সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী জানা যায় , মৌসুমি খাদ্য গ্রহণ দেহের ওজন কমাতে বেশ কার্যকর। 

বিস্তারিত যাওয়ার আগে আসুন ওজন বৃদ্ধির খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

 

অতিরিক্ত ওজন কেন চিন্তার বিষয়?

বর্তমান সময়ে মানবদেহের অতিরিক্ত ওজন খুব চিন্তার একটি বিষয়। দেহের এই অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে থাকে দেহ। এই অবস্থায় মানবদেহে ডায়বেটিস, উচ্চরক্তচাপ রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির পাশাপাশি হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক সম্ভাবনা দেখা দেয়। কাজেই অতিরিক্ত ওজন কারোই কাম্য নয়। দেহের ওজন যদি বৃদ্ধি পায়, তাহলে তা কমানোর বিভিন্ন উপায় আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মৌসুমী খাদ্যগ্রহণ।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, ওজন অতিরিক্ত কী এবং ওজন কমাতে কী কী করণীয়।

 

বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কেমন হওয়া উচিৎ?

একটি মানুষের বয়স, দৈহিক উচ্চতার উপর ভিত্তি করে জানা যায় তার দেহের উপযুক্ত ওজনসীমা কত হওয়া উচিত। যখন দেহের ওজন এই সীমা অতিক্রম করে, তখনই একে দেহের অতিরিক্ত ওজন হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। আর দেহের ওজন সঠিক আছে কিনা বা অতরিক্ত কিনা তা BMI দ্বারা নির্ণয় করা হয়। 

BMI মানে বডি মাস ইনডেক্স। এটি উচ্চতা এবং ওজনের উপর ভিত্তি করে শরীরের ওজন পরিমাপ করে। BMI স্বাস্থ্যের একটি নিখুঁত পরিমাপ নয়, তবে এটির স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির ঝুঁকি অনুমান করার জন্য  প্রয়োজনীয়। আসুন দেখি BMI দ্বারা একজন ব্যক্তির ওজন কীভাবে বুঝা যায়-

  • কম ওজন: যাদের BMI ১৮.৫ এর নিচে

  • স্বাভাবিক ওজন: যাদের BMI ১৮.৫-২৪.৯ এর মধ্যে

  • অতিরিক্ত ওজন: যাদের BMI ২৫-২৯.৯ এর মধ্যে

  • স্থূলতা: যাদের BMI ৩০ বা তার বেশি 

যখন কোন ব্যক্তির দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়, তার দেহে বিভিন্ন রোগে সংক্রমিত হতে শুরু করে। এই অবস্থা চলমান থাকলে ব্যক্তির মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি অকালমৃত্যু হতেও পারে।

 

ওজন বৃদ্ধি পায় যে কারণে

ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে দুটি কারণ প্রধান। যথা: ভুল খাদ্যাভ্যাস ও পরিশ্রম/ব্যায়াম না করা।

১. ভুল খাদ্যাভ্যাস

দেহের ওজন ও মেদ বৃদ্ধির কারণগুলোর অন্যতম কারণ এটি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়। আবার খাবারের তালিকা সুষম না হলে মেদ বৃদ্ধি বা স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। সাধারণত অতিরিক্ত তেল, শর্করা, প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে দেহে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ওজন বৃদ্ধি পায়। আবার খাদ্যতালিকায় এদের উপস্থিতির হার কম থাকলে স্বাস্থ্য ভেঙে যেতে পারে।

 

খাবারের প্রতি তীব্র আকর্ষণ কমানোর ৮ টি উপায়

 

২. পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করা

খাদ্য গ্রহণের পর তা দেহে প্রচুর শক্তি উৎপাদন করে। এই শক্তি বিভিন্ন কাজ করতে এবং বল প্রয়োগ করতে সাহায্য করে। কিন্তু খাদু গ্রহণ করার পর কোন পরিশ্রম না করা হয়, তাহলে উৎপন্ন শক্তি মেদ আকারে দেহে জমা হয় এবং ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধি করতে থাকে।

তাছাড়া কখনো কখনো জিনগত কারণে, ঔষধের প্রভাবে বা কোনো রোগের উপস্থিতির কারণে দেহে অতিরিক্ত মেদ সঞ্চিত হয়ে ওজন বৃদ্ধি পায়।

 

দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে যে ১০টি রোগে ভুগতে পারেন

সুস্থ থাকতে যন্ত্রবিহীন ৫টি উপকারী ও ঘরোয়া ব্যায়াম

 

ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকিসমূহ

অতিরিক্ত ওজন মানবদেহকে ধীরে ধীরে নিস্তেজ করে দেয় এবং নানাবিধ রোগে আক্রান্ত করে। এর মধ্যে রয়েছে-

  • ডায়বেটিস, 

  • উচ্চরক্তচাপ, 

  • কিডনিতে জটিলতা, 

  • হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, 

  • হরমোন এ অসামঞ্জস্যতা সহ বিভিন্ন জটিল রোগ। 

এই রোগগুলি যতটা না অকালমৃত্যু ঘটায় তার চেয়ে বেশি ভোগান্তির সৃষ্টি করে।

 

ওজন কমানোর উপায়

  • দেহের ওজন কমাতে অতিরিক্ত ক্যালরি বর্জন ও ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণ আবশ্যক। এই দুটি বিষয়ের দিকে নজর রেখে জীবনধারণ করলে ওজন হ্রাস ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। 

  • পাশাপাশি ব্যায়াম করাও আবশ্যক। 

  • সঠিক খাবার ও ব্যায়াম করলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে, চর্বি বৃদ্ধি পায় না। ফলে ওজনও স্বাভাবিক থাকে।

আর ওজন কমানোর ক্ষেত্রে মৌসুমী খাবার খাওয়া একটি দারুণ উপায় হতে পারে।

 

পেটের মেদ কমানোর ১৩টি সহজ উপায়

ভেজিটেরিয়ান ডায়েট কি স্বাস্থ্যসম্মত?
 

মৌসুমী খাবার খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

মৌসুমী খাবার খাওয়া আপনার খাদ্যআভ্যাস পরিবর্তনের একটি টেকসই উপায় যার বিবিধ স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। তবে এতে শুধুমাত্র আপনার ভৌগলিক এলাকার জন্য বিভিন্ন ঋতুতে উৎপাদিত ফল এবং সবজি খেতে উৎসাহিত করে, যেমন বর্ষায় লটকন, আমড়া বা কামরাঙ্গা, শীতকালে কমলা এবং গ্রীষ্মে কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি।

ঋতু অনুযায়ী খাওয়া আসলে খাবারের পুষ্টিগুণকে সর্বোচ্চ করে। উদাহরণস্বরূপ, গ্রীষ্মকালে জন্মানো স্ট্রবেরি শীতকালে জন্মানো স্ট্রবেরির চেয়ে বেশি পুষ্টিকর এবং স্বাদযুক্ত। কারণ স্ট্রবেরি উৎপাদনের প্রাকৃতিক ঋতু হচ্ছে গ্রীষ্মকাল।

সারা বছর একই ছোট ধরণের ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার পরিবর্তে, মৌসুম ভিত্তিক খাওয়া একটি বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাসকে উৎসাহিত করে। আপনার প্রিয় মৌসুমী ফল ও সবজি আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং মিনারেলস দেবে যা আপনি সাধারণত অন্যান্য সময় নাও পেতে পারেন।

এছাড়া, মৌসুমের বাইরের খাবারের তুলনায় মৌসুমী খাবারের গুণমান এবং সতেজতা ভালো থাকে। কারণ নির্দিষ্ট ফসলের চাহিদা সারা বছরই বেশি থাকে, সেগুলি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেতে এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবর্তিত হয়, কিন্তু এই পরিবর্তনগুলি তাদের কিছু পুষ্টিকর সুবিধা কেড়ে নেয়। যখন ফল এবং শাকসবজি তাদের প্রাকৃতিক সময়সীমার মধ্যে জন্মায়, তখন তারা কোনও ক্ষতিকারক সংযোজন ছাড়াই বৃদ্ধি পাবে এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকবে।

 

কিভাবে শুরু করবেন?

লাইফস্টাইলের পরিবর্তনগুলি অনেকসময় ভীতিজনক হতে পারে, তবে আপনি যদি মৌসুমী খাবারে আগ্রহী হন তবে আপনার যাত্রা শুরু করার জন্য আপনি কিছু সহজ পদক্ষেপ নিতে পারেন-

  • আপনার এলাকায় বা অঞ্চলে কোন ঋতুতে কী ফল এবং সবজি পাওয়া যায় তাা জানার চেষ্টা করুন।

  • গ্রীষ্মকালীন ফসল জনপ্রিয় এবং সাধারণত খাওয়া হয়, তাই শীতকালীন খাবারগুলিতে ফোকাস করুন যা সচারচর আপনি খান না।

  • ঋতুকালীন ফল এবং শাকসবজি পরবর্তীতে সংরক্ষণ করুন। অফ-সিজনে ব্যবহার করার জন্য আপনি ফ্রিজ, ডিহাইড্রেট, আচার, ক্যান, ইত্যাদি উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

মৌসুমী খাওয়া সহজ, স্বাস্থ্যকর এবং পরিবেশের জন্য ভালো।

 

ওজন কমাতে মৌসুমী খাদ্য

মৌসুমি খাদ্য বলতে বিভিন্ন ঋতুতে চাষ হওয়া সবজিকে বুঝায়। ঋতুচক্র পরিবর্তনের মত করে মৌসুমি খাদ্যের চক্রেরও পরিবর্তন হতে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রীষ্মকালীন, বর্ষাকালীন এবং শীতকালীন ফলমূল ও শাকসবজি। আর এই সকল সবজিও দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ফল ও সবজির নাম ও তাদের কার্যকারিতা।

 

১. গ্রীষ্মকালীন ফল

আম

ফলের রাজা আম একটি গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল যা পুষ্টিতে ও স্বাদে অতুলনীয়। পাকা আমে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যারোটিন, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। আর কাঁচা আমে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত পুষ্টি গুনাগুণ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আম থেকে চাটনি, আচার, আমসত্ত্ব, মোরব্বা, জ্যাম, জেলি, জুস ইত্যাদি তৈরি হয়।

কাঁঠাল

আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল হচ্ছে রুচি ও শক্তিবর্ধক। এ ফলটির বীচিসহ সব অংশই খাওয়া যায় এবং কাঁচা বা পাকা অবস্থায়ও খাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি হিসেবে ব্যবহার হয়। আর কাঁঠালের বীচি ভেজে কিংবা রান্না করে খাওয়া যায়।

লিচু

গ্রীষ্মকালীন এ রসালো ফলটি শিশু থেকে বয়স্ক সবাই পছন্দ করে, এবং এতে যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে। এতি দেহের তরলের চাহিদা ও তৃষ্ণা মেটাতে খুবই কার্যকর। লিচু গ্রীষ্মের কঠোর তাপ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মানব শরীরের তাপমাত্রায় শীতল প্রভাব বৃদ্ধি করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘সি’। 

তরমুজ

দেহের ক্লান্তি দূর করতে তরমুজের জুড়ি নেই। তরমুজে ভিটামিন এ, বি ও সি অনেক বেশি থাকে। ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

জাম

প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন সি আছে এই ফলে। রক্তস্বল্পতা দূর করে। জাম দেহের যেকোনো সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এছাড়া রয়েছে আরও অনেক গুণ। দামে সস্তা ও সহজলভ্য এই ফলটি সবাই খেতে পছন্দ করে।

এছাড়া অন্যান্য যেসব গ্রীষ্মকালীন ফল নানা পুষ্টিগুণে ভরা থাকে-

  • তাল,

  • বেল,

  • জামরুল,

  • বাঙ্গি,

  • গাব,

  • আতা,

  • করমচা,

  • ডেউয়া,

  • আনারস ইত্যাদি।

 

২. বর্ষাকালীন খাবার

টক জাতীয় ফলমূল 

সাধারণত লেবু, লটকন, কমলা, আমড়া, কামরাঙ্গা, জাম্বুরা ইত্যাদি সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। এই ফলমূলগুলি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে পরিচিত। আর তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

বেরি জাতীয় ফলমূল

সাধারণত বেরি জাতীয় ফলমূল যেমন- জাম (ব্ল্যাক বেরি), স্ট্রবেরি, লটকন, আমলকি (গুস বেরি), ব্লুবেরি, চেরি ইত্যাদি ফলমূল ফাইবার বা আঁশ যুক্ত এবং যা বর্ষাকালে স্বাস্থ্যকর পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা পালন করে।

সবুজ শাক-সবজি

এই মৌসুমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি কিংবা মিনারেল যুক্ত শাকসবজি যেমন- বিভিন্ন ধরণের শাক, লাউ, পটল, করল্লা,  চালকুমড়া, কাকরোল, পেপে, শসা, বড়বাটি, মিষ্টি কুমড়া, কচু, বিটরুট, ঝিঙে, শশা, ঢেড়স প্রভৃতি বেশি করে খাওয়া উচিত। মূলত নিয়মিত ভাবে এই শাকসবজি গুলো খেলে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করবে।

 

বর্ষাকালের ডায়েট - সুস্থ থাকতে করণীয়

 

৩. শীতকালীন শাকসবজি ও ফলমূল

গাজর

গাজর একটি শীতকালীন খাবার। তবে এর হাইব্রিড প্রজাতি সারাবছর পাওয়া গেলেও শীতকালের তুলনায় অন্য সময় গাজরের মূল্য একটু বেশি হয়। গাজরেও আছে ফাইবার এবং অল্প ক্যালরি যা ওজন কমাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। এটি কাচা অবস্থায়, সালাদ হিসেবে এবং তরকারিতে খাওয়া যায়।

ফুলকপি ও ব্রকলি

ফুলকপি ও ব্রকলি শীতকালীন খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, খনিজ, ভিটামিন ও ফটো-ক্যামিকেল যা দেহে চর্বি জমতে দেয় না। ফলে দেহের ওজন বৃদ্ধি পাওয়া রোধ হয়।

এছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে রয়েছে- 

  • বাঁধাকপি, 

  • শিম, 

  • টমেটো, 

  • লাউ, 

  • মুলা, 

  • মটরশুঁটি, 

  • পালংশাক, 

  • বিট, বিনস, ক্যাপসিকাম, ইত্যাদি।

ফলমূল

শীতকালীন বিভিন্ন ফলমূলের মধ্যে রয়েছে কমলালেবু, ডালিম, সফেদা, কুল, জলপাই, আমলকী, আপেল, আঙুর ইত্যাদি। এসব ফল ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নানা পুষ্টি গুণে ভরপুর থাকে।

 

পরিশেষ

দেহের ওজন বৃদ্ধি মোটেও কোনো ভালো বিষয় নয়। ওজন বৃদ্ধি পেলে দেহে তৈরি হয় বিভিন্ন রোগের 

ঝুঁকি, স্বাস্থ্য ভগ্নাত্মা। আর এই ওজন স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে মৌসুমী খাবার বেশ উপাদেয়। তবে কেবল মৌসুমী খাবার নয়, ব্যায়াম করাটাও আবশ্যক।
 

আরও পড়ুনঃ

Default user image

রাইসা মেহজাবীন, লেখক, আস্থা লাইফ

রাইসা মেহজাবীন, গভর্নমেন্ট কলেজ অফ এপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স এ ডিপার্টমেন্ট অফ ফুড এন্ড নিউট্রিশন এ পড়ালেখা করছি। পড়ালেখার পাশাপাশি খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে লেখালেখি করছি। স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে খাদ্য ও পুষ্টি সচেতনতা। সেই লক্ষ্যেই এই বিষয়ক লেখালেখিতে মনোনিবেশ করা।

Related Articles